Image default
ইতিহাস ১০১

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ইতিহাস: ফিরে আসছে ছাত্র সংসদের সোনালী অতীত

তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন তাদের সবারই রাজনীতির প্রথম পাঠশালা ছিল ছাত্র সংসদ। কয়েক দশক পর, সেই নেতৃত্ব তৈরির কারখানা আবার খুলতে চলেছে। ক্যাম্পাসে ফিরেছে ভোটের উৎসব! পোস্টার, গান আর বিতর্কে উত্তাল ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর। এই নতুন দিনের প্রচারণার সাথে অতীতের সেই কিংবদন্তিতুল্য ডাকসু নির্বাচনের মিল-অমিল কোথায়?

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাতাসে এখন এক অন্যরকম উত্তাপ। দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের ঘুম ভেঙে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু করে জাহাঙ্গীরনগরের মুরাদ চত্বর কিংবা রাজশাহীর প্যারিস রোড; সর্বত্রই এখন নির্বাচনী উত্তাপ। করিডোরে, ক্যান্টিনে, হলের আনাচে কানাচে নির্বাচনী প্যানেলের কানাঘুষা, শোনা যাচ্ছে প্রার্থীদের বক্তৃতার শব্দ, আর চায়ের কাপে উঠছে বিতর্কের ঝড়। দেশ যেন এক নতুন নির্বাচনের অপেক্ষায় সরগরম।

২০২৫ সালের আগস্ট মাসটা যেন ফিরিয়ে এনেছে সেই পুরনো সময়কে, যখন ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছিল দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দীর্ঘদিনের স্থবিরতা কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ফিরে পেয়েছে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ। কিন্তু এই নির্বাচন মামুলী কোন উৎসব নয়, ভবিষ্যতে নেতৃত্বে কারা আসতে চলেছেন, তা বাছাই করার গণতান্ত্রিক একটি পন্থা। 

সোনালী অতীত: যখন ছাত্র সংসদ ছিল ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’

ছাত্র সংসদ, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-কে একসময় বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’ বা ‘নেতৃত্ব তৈরির কারখানা’ বলা হতো। এটি কোনো বাড়াবাড়ি ছিল না। ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে নব্বই পর্যন্ত, এই ছাত্র সংসদগুলোই ছিল দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরির প্রধান পাঠশালা। জাতীয় সংসদের মতোই এখানেও দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বিতর্ক হতো। ডাকসুর গৃহীত প্রস্তাবগুলো সরকার এবং দেশের জনগণ বেশ গুরুত্বের সাথে নিত। এটি ছিল একটি ছায়া সংসদ, যা কাজ করতো দেশের বিবেক হিসেবে।

ছাত্রনেতাদের সাথে ডাকসু ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন উপাচার্য ড. মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী

তারার হাট: ছাত্র সংসদ থেকে জাতীয় নেতৃত্বে

এখান থেকেই উঠে এসেছেন এমন সব ব্যক্তিত্ব, যারা পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনীতি, কূটনীতি এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।

  • তোফায়েল আহমেদ: ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ডাকসুর ভিপি (সহ-সভাপতি) হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক। তার নেতৃত্বেই ঊনসত্তরের আন্দোলন গতিশীল হয়। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং একাধিকবার মন্ত্রী হয়েছেন।
  • আ স ম আব্দুর রব: ১৯৭০ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন। তিনিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
১৯৮২ সালের ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় মান্না
  • মতিয়া চৌধুরী: ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের একজন বলিষ্ঠ নেত্রী ছিলেন এবং ডাকসু নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘অগ্নিকন্যা’ হিসেবে পরিচিতি পান এবং দেশের কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
  • রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু: দুজনেই ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন, যারা ডাকসু এবং ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং পরবর্তীতে মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
  • মাহমুদুর রহমান মান্না: স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ডাকসুর ভিপি হিসেবে তার ভূমিকা ছিল অনবদ্য।

এই তালিকা আরও অনেক দীর্ঘ। এই নেতারা শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে পদে আসতেন না, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেদের যোগ্যতা এবং আদর্শ প্রমাণ করেই নেতা হতেন।

১৯৮৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

অতীতের প্রচারণা ও সাংস্কৃতিক জাগরণ:

অতীতে নির্বাচনী প্রচারণা ছিল অনেক বেশি মুখোমুখি এবং আদর্শকেন্দ্রিক।

  • মধুর ক্যান্টিন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনই ছিল ছাত্র রাজনীতির মূল কেন্দ্র। এখানে বসেই তৈরি হতো নির্বাচনী কৌশল, লেখা হতো ইশতেহার। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা এখানে প্রকাশ্য বিতর্কে অংশ নিতেন, যা শোনার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাত।
মধুর ক্যান্টিনের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা
  • হাতে লেখা পোস্টার: তখন ডিজিটাল প্রিন্টিং ছিল না। প্রার্থীরা এবং তাদের কর্মীরা রাত জেগে হাতে লিখতেন এবং আঁকতেন হাজার হাজার পোস্টার। এই পোস্টারগুলোতে শুধু প্রার্থীর নামই থাকত না, থাকত আদর্শিক স্লোগান এবং দারুন সব ছড়া।
  • গণসংযোগ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড: প্রার্থীরা প্রতিটি হলের রুমে রুমে গিয়ে, ক্লাসের ফাঁকে এবং ক্যাম্পাসের অলিতে-গলিতে শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি কথা বলতেন। তবে ছাত্র সংসদ শুধু রাজনৈতিক বিতর্কেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণ। ডাকসুর উদ্যোগে আয়োজন করা হতো সপ্তাহব্যাপী নাট্যোৎসব, সঙ্গীতানুষ্ঠান, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, যা শিক্ষার্থীদের মেধা ও মনন বিকাশে ভূমিকা রাখত। এই সাংস্কৃতিক জাগরণই একটি মুক্তমনা ও প্রগতিশীল প্রজন্ম তৈরি করেছিল।

স্থবিরতার ত্রিশ বছর: বাংলাদেশ কী হারিয়েছে?

নব্বই দশকের পর থেকে প্রায় তিন দশক ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ ছিল। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ শুধু কিছু ছাত্র নেতাই হারায়নি, হারিয়েছে আরও অনেক কিছু। যেমন-

  • নেতৃত্বের সংকট: তৃণমূল থেকে উঠে আসা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরীক্ষিত নেতৃত্বের যে স্বাভাবিক প্রবাহ ছিল, তা বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় রাজনীতিতে হঠাৎ করে প্রভাবশালী হয়ে ওঠার প্রবণতা বাড়ে।
  • জবাবদিহিতার অভাব: নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য ছিল না। এর ফলে, হলের আবাসন সংকট, খাবারের নিম্নমান, লাইব্রেরির দৈন্যদশা এবং গবেষণায় অপর্যাপ্ত বরাদ্দের মতো সমস্যাগুলো বছরের পর বছর ধরে জমতে থাকে।
  • সংস্কৃতির অবক্ষয়: ছাত্র সংসদ না থাকায় ক্যাম্পাসগুলোতে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের যে প্রাণচাঞ্চল্য ছিল, তা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়। এর পরিবর্তে, পেশিশক্তি এবং অসহিষ্ণুতার রাজনীতি সেই জায়গা দখল করে নেয়।

২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, সেই কমিটি তার মেয়াদ শেষ করার পর আবার তৈরি হয় এক দীর্ঘ শূন্যতা।

নতুন দিনের প্রচারণা: ডিজিটাল বিপ্লব ও সৃজনশীলতার ছোঁয়া

এবারের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সবচেয়ে চোখে পড়ার মতো বিষয়টি হলো এর প্রচারণার ধরণ। নব্বই দশকের পর জন্মানো একটি প্রজন্ম যখন প্রথমবার তাদের ক্যাম্পাসে ভোট দিতে যাচ্ছে, তখন তাদের প্রচারণার পদ্ধতিতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন।

  • প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রার্থীদের পরিচিতি এখন আর শুধু হাতে লেখা পোস্টার বা লিফলেটে সীমাবদ্ধ থাকছে না। প্রতিটি প্যানেল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীর রয়েছে নিজস্ব ফেসবুক পেইজ, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেল। ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে তারা সরাসরি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংযুক্ত হচ্ছেন, তাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। ইশতেহার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কিউআর কোড। একটি পোস্টারের কোণায় থাকা কিউআর কোড স্ক্যান করলেই শিক্ষার্থীর মোবাইলে চলে আসছে প্রার্থীর বিস্তারিত পরিকল্পনা। 
  • সৃজনশীলতার বিস্ফোরণ: এবারের প্রচারণা শুধু গতানুগতিক বক্তৃতার মধ্যে আটকে নেই। প্রার্থীরা তাদের সবটা দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছে। প্রত্যেক প্রার্থীর রয়েছে নিজস্ব স্টাইল। কেউ জেন জি-কে ফোকাস করে করছেন তাদের প্রচারণা কেউ বা প্রচলিত স্টাইলে। সবাই সবার মত ভিন্ন ভিন্নভাবে চালাচ্ছেন নিজেদের প্রচারণা। এমনকি একই পদের দুই প্রার্থী এক সাথে প্রচারণা চালানোর মত ঘটনাও ঘটেছে। কিংবা টেলিভিশনে বা গ্রুপের লাইভে এসে প্রার্থীরা বিতর্ক করছেন কেন তিনিই যোগ্য প্রার্থী।
ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছে
  • ইস্যুভিত্তিক রাজনীতি: দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিতৃষ্ণাকে পুঁজি করে, এবারের প্রার্থীরা অনেক বেশি ইস্যুভিত্তিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। হলের আবাসন সংকট, খাবারের মান, পরিবহন সমস্যা, লাইব্রেরির আধুনিকায়ন এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোই হয়ে উঠেছে তাদের প্রচারণার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এর পাশাপাশি আলোচনায় আসছে আরও আধুনিক সব দাবি। যেমন শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেলের আধুনিকায়ন, এবং একাডেমিক কারিকুলামকে শিল্পজগতের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। প্রার্থীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেট নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন, যা ছাত্র রাজনীতির এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে পেশিশক্তির প্রদর্শন প্রায় নেই বললেই চলে; তার স্থান দখল করেছে যুক্তি, ডেটা এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন বোঝার ক্ষমতা।

এই নতুন ধারার প্রচারণা প্রমাণ করে, প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতা ছাত্র রাজনীতিকে এক নতুন মাত্রা দিতে পারে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, অতীতে কেমন ছিল এই নির্বাচনী উৎসব? যখন ফেসবুক ছিল না, তখন কীভাবে প্রার্থীরা পৌঁছাতেন হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছে?

বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের স্বপ্ন

২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর, শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান দাবিই ছিল সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী  বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রধান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নির্বাচনী হাওয়া বইছে।

এই নির্বাচন শুধু কিছু ভিপি বা জিএস নির্বাচিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রভাব আরও সুদূরপ্রসারী। 

এই নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাগ্রত হবে। এতদিন তারা যে বিষয়টি শুধু বইয়ে পড়ে এসেছে, তার বাস্তব প্রতিফলন দেখবে ডাকসু, জাকসু বা রাকসুর মাধ্যমে। শিক্ষার্থীরা শিখবে কীভাবে গঠনমূলক সমালোচনা করতে হয়, কীভাবে ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সম্মিলিতভাবে নিজেদের অধিকার আদায় করতে হয়।

 ছাত্র সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক সুযোগ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসবে, তারাই হয়তো একদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাদের হাত ধরেই হয়তো আমরা পাবো আরও বেশি গণতান্ত্রিক, সহনশীল এবং সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশ। তাই, আজকের এই নির্বাচনী উত্তাপ শুধু ক্যাম্পাসেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ঢেউ আছড়ে পড়ছে পুরো জাতির হৃদয়ে, জাগিয়ে তুলছে এক নতুন দিনের স্বপ্ন।

তথ্যসূত্রঃ

Related posts

গরম থেকে স্বস্তি: এয়ার কন্ডিশনার কিভাবে বদলে দিলো মানবজীবন

চুল কাটার প্রচলন : প্রাচীন মিশর থেকে আধুনিক সেলুনের গল্প

জামদানি – রঙে নকশায় তাঁতে লেখা কবিতা

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More