আপনার সোশ্যাল মিডিয়া ফিডে কি অদ্ভুত দাঁতওয়ালা এক পুতুল ঘুরে বেড়াচ্ছে? এটিই লাবুবু, যা নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় চলছে তুমুল আলোড়ন। জানুন, কীভাবে হংকং-এর এক শিল্পীর ডিজাইন করা এই মিষ্টি পুতুলটিই আজ ইন্টারনেটের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রহস্যে পরিণত হয়েছে।
আপনার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টিকটক ফিডে নিশ্চয়ই সম্প্রতি অদ্ভুত চেহারার একটি পুতুলের ছবি বা ভিডিও চোখে পড়েছে। খরগোশের মতো লম্বা কান, বড় বড় গোল কৌতুহলী চোখ, আর সবচেয়ে অদ্ভুত মুখভর্তি ধারালো দাঁত বের করে দেওয়া এক দুষ্টু কিন্তু মিষ্টি হাসি। এই পুতুলটির নাম ‘লাবুবু’ (Labubu)।
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কাছে এটি এখন শখের এক সংগ্রহ, ফ্যাশনের এক নতুন অনুষঙ্গ। কিন্তু এর পাশাপাশি লাবুবুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অন্য জগৎ। ভয়, অভিশাপ আর প্যারানরমাল সব ঘটনার এক রহস্যময় দুনিয়া। ইতিহাসে অ্যানাবেল বা রবার্ট দ্য ডলের মতো অভিশপ্ত পুতুলের গল্প আমরা শুনেছি, কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল যুগে এসে কোনো পুতুল যে এমন বিশ্বব্যাপী ভয়ের আইকনে পরিণত হতে পারে, তা ছিল অকল্পনীয়।
বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইন্সের মতো এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, লাবুবু এখন শুধু একটি পুতুল নয়, এটি এক ভাইরাল ভয়ের নাম। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একের পর এক ভৌতিক কাহিনী। কেউ বলছেন, বাড়িতে লাবুবু আনার পর থেকেই অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে। কেউ দাবি করছেন, রাতের বেলা পুতুলটি নিজে থেকেই জায়গা বদল করে। এমনকি পুতুলটিকে পুড়িয়ে ফেলে অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার ভিডিও-ও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা দাবি করছেন, পুতুলটি পোড়ানোর সময় তারা অদ্ভুত শব্দ শুনেছেন বা অশুভ কিছুর উপস্থিতি অনুভব করেছেন।
কিন্তু কী এই লাবুবু? কোথা থেকে এলো এই পুতুল? একটি সাধারণ খেলনা কীভাবে রাতারাতি এক ‘অভিশপ্ত পুতুল’ বা ভয়ঙ্কর রহস্যের প্রতীকে পরিণত হলো?
লাবুবুর আসল পরিচয়: কে এই মিষ্টি দৈত্য?
লাবুবুকে ঘিরে যত ভয়ঙ্কর কল্পকাহিনীই থাকুক না কেন, এর জন্ম কোনো অভিশপ্ত কারখানা বা ভৌতিক বাড়ি থেকে হয়নি। এর জন্ম হয়েছে একজন প্রতিভাবান শিল্পীর কল্পনা এবং ইউরোপীয় লোককথার প্রতি তার ভালোবাসা থেকে। লাবুবু চরিত্রটির স্রষ্টা হলেন কাসিং লুং (Kasing Lung), হংকং-এ জন্মগ্রহণকারী একজন শিল্পী, যিনি নেদারল্যান্ডসে বড় হয়েছেন এবং বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করেন। তার শিল্পকর্মে ইউরোপীয় রূপকথার গভীর প্রভাব দেখা যায়।
২০১৫ সালে কাসিং লুং “The Monsters” নামে একটি গল্পের সিরিজ এবং চিত্রকর্ম তৈরি করেন, যা মূলত তার ছোটবেলায় পড়া নর্ডিক বা স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলের পৌরাণিক কাহিনী ও রূপকথা দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল। এই “The Monsters” সিরিজেরই একটি প্রধান চরিত্র হলো লাবুবু। গল্পের জগতে লাবুবু হলো এক ধরনের দুষ্টু-মিষ্টি এলফ বা পরী, যে কিছুটা রাগী এবং বদমেজাজি স্বভাবের হলেও তার মনটা খুবই দয়ালু। সে সবসময় অন্যদের সাহায্য করতে চায়, কিন্তু তার ভাগ্য এতটাই খারাপ যে, সাহায্য করতে গিয়ে সে প্রায়ই সবকিছু আরও গণ্ডগোল করে ফেলে। শিল্পী কাসিং লুং চেয়েছিলেন এমন একটি চরিত্র তৈরি করতে, যা নিখুঁত নয়, যার মধ্যে দোষ-গুণ দুই-ই আছে, যা তাকে আরও বেশি বাস্তব এবং ভালোবাসার যোগ্য করে তোলে।
তার চেহারার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ৯টি ধারালো দাঁত বের করা এক অদ্ভুত হাসি। এই হাসিটিই তাকে একই সাথে মিষ্টি এবং কিছুটা ভয়ঙ্কর করে তুলেছে, যা তার দ্বৈত চরিত্রের প্রতীক। লাবুবু ছাড়াও এই মনস্টার জগতে আরও অনেক জনপ্রিয় চরিত্র আছে, যেমন জিমোমো (Zimomo), যে লাবুবুর মতোই দেখতে কিন্তু তার মাথায় একটি খুলির টুপি থাকে, অথবা টাইকোকো (Tycoco), যে একটি যোদ্ধা মনস্টার। এই চরিত্রগুলো মিলে একটি সমৃদ্ধ এবং কাল্পনিক জগৎ তৈরি করেছে।
জনপ্রিয়তার শুরু: POP MART এবং ব্লাইন্ড বক্সের জাদু
কাসিং লুং প্রথমে হংকং-এর একটি কোম্পানি ‘How2Work’-এর সাথে মিলে তার মনস্টার চরিত্রগুলোর কিছু ফিগার তৈরি করেন। কিন্তু লাবুবুর জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালে, যখন তিনি চীনের বিখ্যাত খেলনা প্রস্তুতকারক কোম্পানি POP MART-এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।
POP MART লাবুবুকে তাদের বিখ্যাত “ব্লাইন্ড বক্স” (Blind Box) মডেলে বাজারজাত করা শুরু করে। এই ব্লাইন্ড বক্সের ধারণাটিই ছিল এর জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি। প্রতিটি ব্লাইন্ড বক্সের ভেতরে কোন ডিজাইনের পুতুলটি আছে, তা বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় থাকে না। একটি সিরিজে সাধারণত ১২টি ভিন্ন ডিজাইনের পুতুল থাকে, সাথে থাকে একটি বা দুটি ‘সিক্রেট’ বা ‘রেয়ার’ এডিশন, যা খুব কম বক্সে পাওয়া যায়।
এই মডেলটি ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা এবং সংগ্রহের নেশা তৈরি করে। ক্রেতারা একটি সিরিজের সবগুলো পুতুল সংগ্রহ করার জন্য বা তাদের পছন্দের দুর্লভ ডিজাইনটি পাওয়ার জন্য বারবার বক্স কিনতে থাকেন। এটি শুধু একটি পণ্য কেনা নয়, এটি এক ধরনের গেমিং অভিজ্ঞতা। এই ‘সারপ্রাইজ’ এবং ‘সংগ্রহ’ করার নেশাই লাবুবুকে তরুণ প্রজন্মের কাছে, বিশেষ করে Gen Z-এর কাছে, এক ক্রেজে পরিণত করে। মানুষ তাদের ব্লাইন্ড বক্স খোলার ভিডিও (“unboxing video”) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে শুরু করে, যা এর জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ব্ল্যাকপিঙ্ক-এর লিসার মতো বিশ্বখ্যাত তারকারা যখন তাদের ব্যাগে লাবুবুর কি-চেইন ব্যবহার করা শুরু করেন, তখন এটি খেলনার জগৎ থেকে ফ্যাশনের জগতে প্রবেশ করে এবং একটি স্ট্যাটাস সিম্বলে পরিণত হয়।
রহস্যের শুরু: কীভাবে লাবুবু ‘ভয়ংকর’ হলো?
যে পুতুলটি ছিল শখ, সংগ্রহ এবং ফ্যাশনের প্রতীক, সেটিই কীভাবে এক ডিজিটাল ভূতের গল্পে পরিণত হলো? এর পেছনে কয়েকটি ভাইরাল ঘটনা এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব
টিকটক, ইউটিউব এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মে হঠাৎ করেই লাবুবুকে নিয়ে ভয়ঙ্কর সব গল্প ছড়াতে শুরু করে। অনেক ব্যবহারকারী ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন যে, বাড়িতে লাবুবু আনার পর থেকে তারা রাতে দুঃস্বপ্ন দেখছেন, ঘরের জিনিসপত্র নিজে থেকে পড়ে যাচ্ছে, বা পোষা প্রাণীগুলো পুতুলটির আশেপাশে অদ্ভুত আচরণ করছে। টিকটকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যবহারকারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্ণনা করছেন কীভাবে তার নতুন কেনা লাবুবু পুতুলটি ড্রয়িং রুমে রেখে তিনি ঘুমাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু মাঝরাতে ঘুম ভেঙে দেখেন পুতুলটি তার বিছানার পাশে রাখা। এই ধরনের হাজারো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গল্প দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং মানুষের মনে ভয় তৈরি করে।
সিম্পসন্স-এর “ভবিষ্যদ্বাণী”
ভৌতিক কাহিনীর পাশাপাশি ‘দ্য সিম্পসন্স’ কার্টুনের পুরাতন একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে হোমার সিম্পসন একটি অভিশপ্ত পুতুল (Krusty the Clown doll) বাড়ি নিয়ে আসে, যা দেখতে কিছুটা লাবুবুর মতো এবং তার সাথেও অশুভ ঘটনা ঘটতে থাকে। যেহেতু সিম্পসন্স কার্টুনের অনেক কিছুই পরবর্তীকালে সত্যি হয়েছে বলে একটি জনপ্রিয় ধারণা প্রচলিত আছে, তাই অনেকেই এই ক্লিপটিকে লাবুবুর অশুভ শক্তির “প্রমাণ” হিসেবে ধরে নেন।
পাজুজু’র সাথে তুলনা
ইন্টারনেটে একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে লাবুবু পুতুলের সাথে মেসোপটেমীয় সভ্যতার এক ভয়ংকর দৈত্য পাজুজু (Pazuzu)-র তুলনা করা হয়। পাজুজু ছিল ঝড়, খরা এবং প্লেগের অশুভ দেবতা। যদিও শিল্পীর মতে লাবুবুর অনুপ্রেরণা নর্ডিক রূপকথা, কিন্তু লাবুবুর ধারালো দাঁত এবং দুষ্টু হাসির সাথে পাজুজু’র চেহারার এক কাল্পনিক মিল খুঁজে বের করে ষড়যন্ত্র তাত্ত্বিকরা প্রচার করতে শুরু করে যে, লাবুবু আসলে পাজুজু’র আধুনিক রূপ এবং এটি বাড়িতে রাখলে অশুভ শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এই ডিজিটাল গুজবগুলো এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে, বহু মানুষ আতঙ্কে তাদের শখের লাবুবু পুতুল পুড়িয়ে ফেলার বা আবর্জনায় ফেলে দেওয়ার ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করে। তারা দাবি করে, পুতুলটি ধ্বংস করার পরেই তারা মানসিক এবং আত্মিক শান্তি ফিরে পেয়েছে।
লাবুবু কি সত্যিই ভয়ঙ্কর? বিজ্ঞানের চোখে পুতুলের রহস্য
লাবুবুকে ঘিরে যত ভৌতিক ঘটনাই প্রচারিত হোক না কেন, এর কোনোটিই বাস্তবে প্রমাণিত নয়। তাহলে প্রশ্ন হলো, কেন মানুষ একটি সাধারণ পুতুলকে এত ভয় পাচ্ছে? এর পেছনে রয়েছে গভীর মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
অটোমেটোনোফোবিয়া (Automatonophobia)
মানুষের মতো দেখতে কিন্তু প্রাণহীন বস্তু, যেমন পুতুল, ম্যানিকুইন বা রোবট দেখে ভয় পাওয়ার প্রবণতাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় অটোমেটোনোফোবিয়া বলা হয়। আমাদের মস্তিষ্ক মানুষের চেহারা চিনতে অভ্যস্ত, কিন্তু যখন আমরা মানুষের মতো দেখতে কোনো বস্তুর মধ্যে প্রাণের কোনো লক্ষণ (যেমন চোখের পলক, নিঃশ্বাস) দেখতে পাই না, তখন এক ধরনের অস্বস্তি বা ভয় তৈরি হয়। একে “আনক্যানি ভ্যালি” (Uncanny Valley) ইফেক্টও বলা হয়। আমাদের মস্তিষ্ক তখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কারণ বস্তুটি দেখতে পরিচিত কিন্তু আচরণে অপরিচিত। লাবুবুর বড় বড় গোল চোখ এবং মানুষের মতো ধারালো দাঁতওয়ালা হাসি এই অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা তাকে এই “আনক্যানি ভ্যালি”-র ঠিক মাঝখানে ফেলে দেয়।
প্যারাইডোলিয়া (Pareidolia)
এটি একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা, যেখানে মানুষ অসম্পূর্ণ বা এলোমেলো কোনো বস্তুর মধ্যে পরিচিত কোনো প্যাটার্ন বা চেহারা খুঁজে পায়। যেমন মেঘের মধ্যে পশুর মুখ দেখা বা চাঁদের গায়ে মানুষের মুখের অবয়ব খুঁজে পাওয়া। একইভাবে, রাতের অন্ধকারে ঘরের কোণায় রাখা লাবুবু পুতুলের মুখের অভিব্যক্তি বা চোখের দৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে মনে হতে পারে, যা আসলে আমাদের মস্তিষ্কেরই এক ধরনের ভ্রম। আমাদের মস্তিষ্ক শূন্যস্থান পূরণ করতে ভালোবাসে, আর ভয়ের পরিবেশে সেই শূন্যস্থানটি পূরণ হয় কোনো অশুভ কল্পনা দিয়ে।
ডিজিটাল কন্টেইজিওন (Digital Contagion):
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভয় বা গুজব আগুনের চেয়েও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একজন যখন একটি ভৌতিক গল্প পোস্ট করে, তখন অ্যালগরিদমের কারণে সেই গল্প হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। মানুষ যখন একই ধরনের গল্প বারবার দেখতে থাকে, তখন ‘সোশ্যাল প্রুফ’-এর কারণে অবচেতনভাবেই তা বিশ্বাস করতে শুরু করে। যদি এত মানুষ ভয় পাচ্ছে, তবে নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো সত্যতা আছে এই ধারণাটিই ভয়কে আরও সংক্রামক করে তোলে। লাবুবুর ভয়ংকর হয়ে ওঠার পেছনে এই ডিজিটাল সংক্রামক প্রভাবই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।
লাবুবুর ইতিহাস ঘেঁটে একটি বিষয়ই পরিষ্কার, এটি কোনো অভিশপ্ত বা ভয়ঙ্কর বস্তু নয়। এটি হংকং-এর একজন প্রতিভাবান শিল্পীর সৃষ্টি, যার অনুপ্রেরণা ইউরোপীয় রূপকথা, কোনো মেসোপটেমীয় দৈত্য নয়। এর জনপ্রিয়তার পেছনে রয়েছে POP MART-এর সফল ব্যবসায়িক কৌশল এবং আধুনিক পপ কালচার। আর এর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পেছনের রহস্য হলো মানুষের আদিম ভয়, মনস্তাত্ত্বিক প্রবণতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অনিয়ন্ত্রিত শক্তি। লাবুবু পুতুলের কাহিনী আমাদের এটাই শেখায় যে, একবিংশ শতাব্দীতে একটি গুজব বা মিথ্যা তথ্য কতটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কীভাবে তা একটি নিরীহ বস্তুকে রাতারাতি এক ভয়ঙ্কর প্রতীকে পরিণত করতে পারে। এটি আধুনিক যুগের লোককথার এক চমৎকার উদাহরণ, যেখানে অ্যানাবেলের মতো পুরনো ভূতের গল্পগুলোই টিকটকের হাত ধরে এক নতুন রূপ পেয়েছে। তাই, পরেরবার যখন আপনি আপনার ফিডে ধারালো দাঁতের মিষ্টি হাসির লাবুবুকে দেখবেন, তখন ভয় পাওয়ার আগে তার আসল গল্পটা হয়তো মনে করতে পারেন।
তথ্যসূত্র –
- https://www.labanglatimes.com/news/details/lifestyle/42995
- https://www.sangbadpratidin.in/photo/the-simpsons-most-shocking-predictions-over-labubu-doll/
- https://newsnow24.com/feature/X1AsrCZeWX
- https://www.bd-pratidin.com/international-news/2025/07/16/1137122
- https://www.aajkaal.in/gallery/story/Famous_Labubu_Doll_is_being_considered_as_haunted_by_many_owners
- https://www.somoynews.tv/news/2025-07-03/T9DILyCK
- https://www.prothomalo.com/lifestyle/fashion/se5gg64czu
- https://www.ajkerpatrika.com/lifestyle/feature/ajpmtujpwg7mc