আপনি জেনে অবাক হবেন, নেপালের কাঠমান্ডুর ১৫ কিলোমিটারের মধ্যেই সাতটি ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কালচারাল সাইট রয়েছে, যা নেপালকে “লিভিং কালচারাল মিউজিয়াম” হিসেবে পরিচিত করেছে
নেপাল নামটি শুনলে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে হিমালয় পর্বতমালা ও মাউন্ট এভারেস্ট এর চিত্র । কারণ নেপালে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি হিমালয় পর্বতশৃঙ্গের আবাসস্থল, যার মধ্যে ৮টি হিমালয় পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৪টি শৃঙ্গের (৮,০০০ মিটারের বেশি উচ্চতা) মধ্যে পড়ে। তাই নেপালকে ‘হিমালয়ের কন্যা’ বলা হয়।
কিন্তু নেপাল শুধুমাত্র তার হিমালয়ের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত নয়। এটি তার মনোরম দৃশ্যাবলী, প্রাচীন মন্দির এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে উপমহাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নেপাল ভ্রমণ করতে আসে।কেউ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে, কেউ বা আবার ট্রেকিং এবং অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে।
আজকের এই ভ্রমণ গাইডে থাকছে ৫ দিন ৪ রাত নেপাল ভ্রমণের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা। যা নেপালে আপনাকে সহজেই ঘুরতে এবং নেপালের সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানার ইচ্ছা থাকলে, সেটাও জানাতে সহায়তা করবে।
নেপাল ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি
নেপালে ভ্রমণের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর নাগরিক, বিশেষ করে বাংলাদেশিরা, বিনামূল্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পান। নেপালের ভিসা পেতে আপনাকে নেপাল এমব্যাসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অন-এরাইভাল ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরন করতে হবে।
নেপাল ভ্রমণে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন
ফর্ম পূরনের সময় আপনাকে নিম্নোক্ত ডকুমেন্টগুলো আপলোড করতে হবে-
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ
- পাসপোর্ট
- সুপারিশপত্র (যদি থাকে)
নেপালের ভিসা পেতে সাধারণত একদিন সময় লাগে।
মানি ট্রান্সফার এবং বাজেট নির্ধারণ
বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগে অবশ্যই টাকার এক্সচেঞ্জ করে নিবেন। থাকা, খাওয়া, যাতায়াত এবং নেপালে আপনার সমস্ত এক্টিভিটিসের একটি বাজেট আগে থেকেই নির্ধারণ করে যাবেন। তাহলে নেপালের আপনার থাকাকালীন সময়ে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।
নেপাল ভ্রমণের সঠিক সময়
নেপাল ভ্রমণের জন্য মার্চ-মে (বসন্ত) এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর (শরৎ) সবচেয়ে ভালো সময়। এই সময় আবহাওয়া বেশ শীতল ও পরিষ্কার থাকে ।তাই দর্শনীয় স্থানগুলোর সৌন্দর্য ভাlলোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ থেকে নেপাল কিভাবে যাবেন?
বাংলাদেশ থেকে নেপাল পৌঁছানোর সবচেয়ে দ্রুততম ও সহজ উপায় হল ফ্লাইট। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করে। ফ্লাইটে নেপাল যেতে সাধারণত সময় লাগে প্রায় দেড় থেকে দু ঘন্টা। ফ্লাইটে জনপ্রতি আপনার খরচ হতে পারে ১৭-৩৫ হাজারের মতো।
নেপালে ৫ দিন ৪ রাতের ট্যুর প্ল্যান
প্রথম ও দ্বিতীয় দিন: কাঠমান্ডু ভ্রমণ
কাঠমান্ডুকে বলা হয় হিমালয়ের প্রবেশপথ। এখানেকার মানুষরা বেশ শান্ত, নম্র ও স্থির প্রকৃতির। কাঠমান্ডুর হোটেলগুলোর খুব ভালো না হলেও খুব খারাপও না। ট্যুরিস্ট এরিয়া বলে অন্য শহরগুলোর চেয়ে এখানে হোটেল ভাড়া একটু বেশি। তবে সোলো ট্রাভেলারদের জন্যে এক হাজার টাকায় রাত কাটানোর মতো হোটেল আছে। একটু খুঁজলে আপনার বাজেটের মধ্যেই হোটেল পেয়ে যাবেন।
এখানকার সবচেয়ে সুবিধার বিষয় হলো নেপালের খাবারের সাথে বাংলাদেশি খাবারের অনেক মিল আছে। তাই নেপালে খাবার নিয়ে আপনার খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না। আপনি চাইলে এখানকার নেপালি থালি অর্ডার করতে পারেন। যেখানে থাকবে ভাত, ডাল, শাক, সবজির তরকারি ও অর্ডার অনুযায়ী মুরগী বা খাসির মাংস।
স্বয়ম্ভুনাথ স্তূপ (বানরের মন্দির)
এটি কাঠমান্ডু শহরের পশ্চিম পাহাড়ের চুড়ায় অবস্থিত একটি মন্দির। যেখানে যেতে হলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ৩৬৫ টি পাথরের সিড়ি। সিঁড়ির ধাপে ধাপে উঠে আপনি মন্দিরের জটিল স্থাপত্য এবং স্থানীয়দের রঙিন প্রার্থনা পতাকাগুলো দেখতে পাবেন, যা স্থানের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে। সিড়ি চড়বার সময়ই আপনার নজর কাড়বে এখানকার বানরের দল। এই সমস্ত বানরকে নেপালীরা পবিত্র দূত মনে করে যা জায়গাটিতে অন্যতম আকর্ষণ।
কাঠমান্ডু দরবার স্কোয়ার
নেপালের রাজপ্রাসাদের ঠিক উল্টোদিকেই অবস্থিত কাঠমান্ডু দরবার স্কয়ার। এই স্কয়ারে অনেকগুলো মন্দির, মূর্তি এবং খোলা উঠান রয়েছে। হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় উৎসবের জন্য এই স্থানটি ব্যবহার করে থাকে। রাজ-রাজড়াদের আমলে দরবার স্কয়ার জনসাধারণের একত্র হওয়ার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বৌদ্ধনাথ স্তূপ
এটি কাঠমান্ডুর একটি অন্যতম ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় স্থান, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। বৌদ্ধনাথ স্তূপটি বৌদ্ধ ধর্মের আলোকবর্তিকা হিসেবে পরিচিত, যেখানে ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রার্থনা করতে আসে।
স্থানটি দেখলেই সবার আগে চোখে পড়ে একটি বিশাল গম্বুজ, যার ওপর রয়েছে পিরামিড আকৃতির টাওয়ার। এখানে এসে আপনি শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতি অনুভব করবেন না, বরং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটিয়ে মানসিক প্রশান্তি পাবেন।
পশুপতিনাথ মন্দির
এই মন্দিরটি কাঠমান্ডুর পশ্চিমাঞ্চলে বাগমতি নদীর তীরে অবস্থিত। এটি হিন্দু দেবতা পশুপতি অর্থাৎ শিবকে উৎসর্গ করে বানানো হয়েছে। এখানে আসলে এক অন্যরকম অনুভূতি অনুভব হয়; বিশেষ করে পূর্ণিমা আর ধর্মীয় উৎসবে, যখন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এখানে সমবেত হয়। তাই সময় থাকলে জায়গাটি ঘুরে আসতে পারেন।
রাতের থামেল শহর
রাতের থামেল শহরটি এক অন্যরকম উন্মাদনায় ভরে ওঠে। এই এলাকার আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলোর দুই পাশে রয়েছে সারি সারি দোকান, যেখানে আপনি চাইলে কেনাকাটা করতে পারেন। এছাড়া থামেলে অসংখ্য নাইটক্লাব, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ও বার রয়েছে, যা পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ।
রাতের বেলা থামেলের পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে অনেক বাঙালি পর্যটকের সাথেও দেখা হয়ে যেতে পারে আপনার। কারণ বেশিরভাগ পর্যটক এখানেই রাতের খাবার উপভোগ করেন। থামেলের সঙ্গীত, আলো আর ব্যস্ততার মুখোর প্রাণবন্ত পরিবেশ আপনার কাঠমান্ডু ভ্রমণকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে।
তৃতীয় দিন: পোখারা যাত্রা
সকালের আলো ফুটতেই আপনি কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে পারেন। বাস বা ফ্লাইট—যেকোনো মাধ্যমেই সেখানে যাওয়া সম্ভব। তবে সবচেয়ে দ্রুত যেতে পারবেন যদি কাঠমান্ডু থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যেতে পারেন, সাথে আকাশ থেকে হিমালয়ের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগও মেলবে।
ফেওয়া লেক
পোখারায় বেশ কয়েকটি লেক আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো ফেওয়া লেক। এর স্বচ্ছ নীল পানিতে নৌকাভ্রমণ আপনাকে এনে দিবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এর চারপাশে সবুজ পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য আর লেকের মাঝখানে অবস্থিত ছোট্ট বরাহি মন্দির এই সৌন্দর্যকে আরও মনোমুগ্ধ করে তোলে।
ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডা
নৌকাভ্রমণের পর আপনি অল্প সময়ের হাইকিং করতে পৌঁছে যেতে পারেন শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক ওয়ার্ল্ড পিস প্যাগোডায়। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই প্যাগোডা থেকে পুরো পোখারা শহর, ফেওয়া লেক, এবং আশেপাশের পাহাড়ের দৃশ্য দেখা যায়। এখানকার নিরিবিলি পরিবেশ, বুদ্ধের শান্তির বার্তা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
শান্তি স্তূপ
এরপর আপনি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত শান্তি স্তূপ দর্শন করতে পারেন। এটি বৌদ্ধ ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এই জায়গার বিশেষত্ব হলো, এখান থেকে পুরো পোখারা উপত্যকা এবং হিমালয়ের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যা হতে পারে আপনার ভ্রমণ ডায়েরির এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা।
ডেভিস জলপ্রপাত ও গুপ্তেশ্বর গুহা
ডেভিস জলপ্রপাত নেপালের এক রহস্যময় জলপ্রপাত। এখানে পানি হঠাৎ করেই মাটির নিচে হারিয়ে যায়! চোখের সামনে এভাবে জলপ্রপাত অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখাটা সত্যিই অবাক করার মতো।
এর ঠিক পাশেই আছে গুপ্তেশ্বর গুহা, যেখানে ভেতরে ঢুকলেই দেখা মিলবে এক বিশাল শিবলিঙ্গ। প্রকৃতির এই অসাধারণ সৃষ্টি শুধু রহস্যময়ই নয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি পবিত্র স্থানও।
চতুর্থ দিন: সারাংকোট সানরাইজ ও অ্যাডভেঞ্চার
সারংকোটে ভোরবেলা
সারাংকোট থেকে অন্নপূর্ণা এবং ধৌলাগিরি পর্বতমালার মুগ্ধকর সূর্যোদয়ের সাক্ষী হতে হলে আপনাকে একদম ভোরবেলায় সেখানে হাজির হতে হবে। সেখানকার পাহাড়চূড়া থেকে অন্নপূর্ণা পর্বতমালার বুকে সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার অনুভূতি সত্যিই অবর্ণনীয়! ধীরে ধীরে যখন সোনালি আলোয় পাহাড়ের চূড়াগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, আর মেঘের নিচে লুকিয়ে থাকা উপত্যকাগুলো স্নিগ্ধতার চাদরে মুড়ে যায় তখন জায়গাটি পরিণত হয় এক স্বর্গরাজ্যে।
মাউন্টেন মিউজিয়াম
অ্যাডভেঞ্চারের পর এবার একটু শান্ত পরিবেশে ইতিহাস ও সংস্কৃতির ছোঁয়া নিতে হলে চলে যেতে পারেন মাউন্টেন মিউজিয়ামে। এখানে হিমালয়ের অভিযান, পর্বতারোহণের ইতিহাস ও নেপালি সংস্কৃতির নানা দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পুরাতন বাজার
যদি মিউজিয়ামে ঘুরতে না চান তাহলে একটু কেনাকাটাও করে আসতে পারেন। পোখারার ঐতিহ্যবাহী পুরাতন বাজার ঘুরে দেখতে পারেন। যেখানে হাতে তৈরি কারুকাজ, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও নেপালি শিল্পের অনন্য নিদর্শন পাবেন।
পঞ্চম দিন: কাঠমান্ডু ফিরে আসা ও বিদায়
শেষ দিনটি ভ্রমণের জন্য না রেখে রেস্ট এর জন্য রাখুন। সকালেই পোখারা থেকে যাত্রা শুরু করুন কাঠমান্ডুর পথে। ফেরার সময় পাহাড়ি পথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য আপনাকে পুনরায় মুগ্ধ করবেই। এই রাস্তার সৌন্দর্যগুলো এতটাই মনোমুগ্ধকর যে, বারবার দেখলেও মনে হবে প্রথম বার দেখছেন। সময় কম থাকলে ফ্লাইটে ফিরতে পারেন, এতে মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই কাঠমান্ডু পৌঁছে যাবেন।
বিদায়ের আগে নেপালি খাবারের স্বাদ না নিয়ে চলে যাওয়া মানেই কিছু একটা অপূর্ণ থেকে যায়! তাই মোমো, থুকপা, নিউারি থালি বা স্থানীয় অন্য কোনো খাবার উপভোগ করে নিন।
বিকেলের দিকে সময় হয়ে আসবে বিদায়ের। কাঠমান্ডুর চমৎকার স্মৃতি, পাহাড়ের সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হৃদয়ে নিয়ে রওনা দিন বিমানবন্দরের পথে, পরবর্তী নতুন কোন সফরের আশায়!
ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস-
- অন-অ্যারাইভাল ভিসা: নেপালে পৌঁছে ভিসা নিতে চাইলে পাসপোর্ট, সদ্য তোলা ছবি ও কিছু নগদ ডলার সঙ্গে রাখুন।
- স্থানীয় মুদ্রা: কেনাকাটা ও ছোট খরচের জন্য নেপালি রুপি কিছু পরিমাণে সংগ্রহ করে নিন।
- অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস: পোখারায় প্যারাগ্লাইডিং, বানজি জাম্পিং বা অন্যান্য অ্যাডভেঞ্চার করতে চাইলে আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রাখুন।
- নিরাপত্তা: যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য ভ্রমণ বীমা করে নেওয়া ভালো।
- পোশাক: নেপালের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে গরম ও ঠান্ডার উপযোগী পোশাক সঙ্গে নিন, বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেলে।
- উচ্চতাজনিত সমস্যা: উচ্চ এলাকায় গেলে শারীরিক সমস্যা হতে পারে, তাই পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও ধীরে ধীরে উঠুন।
আমরা অনেকেই ভাবি বাংলাদেশের বাহিরে ভ্রমণ করা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ বিষয়, কিন্তু এমনটি নয়। নেপাল ভ্রমণ আপনার বাজেট অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব। সামান্য পরিকল্পনা করলেই এটি একটি বাজেট-সাশ্রয়ী ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে। তাই যদি আপনি ভ্রমণ পিপাসু হয়ে থাকেন তাহলে আজই নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলুন।