Image default
জাতি পরিচয়

মারমা জনগোষ্ঠী পরিচয়: আরাকান থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম

পাহাড়ের বুকে এক ভিন্ন রঙের উৎসব! মারমাদের বর্ণিল জীবনযাত্রা, লোকসংস্কৃতি আর ধর্মীয় অনুশীলন আকর্ষণ করবে আপনাকে।

মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী। পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসকারী এই জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ঐতিহ্য, আলাদা জীবনযাপন পদ্ধতি আর সুন্দর ভাষার কারণে তাদের উপর আলাদাভাবে নজর যায়। 

এই লেখায় আমরা মারমা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। প্রকৃতির সাথে মিশে থেকে যুগ যুগ ধরে স্রোতের বিপরীতেও কীভাবে তারা নিজেদের বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে, সে সম্পর্কেও জানব।

মারমা জনগোষ্ঠী

মারমা জাতির উৎপত্তি ও ইতিহাস

মারমা জাতির পূর্বপুরুষেরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এসেছিলেন। সেখান থেকে তারা ধীরে ধীরে এসে আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস শুরু করেছেন। ‘মারমা’ শব্দটি পালি শব্দ মারম্মা থেকে এসেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারা আরাকান থেকে এসেছে বিধায় তাদের ‘ম্রাইমা’ নাম থেকে নিজেদের ‘মারমা’ নামে ভূষিত করে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭ থেকে ১৮ শতকের দিকে মারমারা পার্বত্য চট্টগ্রামে আসা শুরু করেন। সেই সময় আরাকানে ব্রিটিশ ও বার্মিজদের শাসনের ফলে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধের কারণে নতুন জায়গার খুঁজতে খুঁজতে তারা পাহাড়, নদী আর সবুজে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম এসে বসতি করেছিলেন।

মারমা গ্রাম

মারমা জনগোষ্ঠীর ভৌগোলিক বিস্তার ও বসতি

রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির এই তিন পার্বত্য জেলায় মারমাদের বসবাস দেখা গেলেও মূল জনগোষ্ঠীর অধিকাংশের বসবাস বান্দরবানে। ঐতিহ্যবাহী মারমা গ্রামগুলো সাধারণত বেশ কয়েকটি বাড়ি নিয়ে তৈরি হয়, যার প্রধান থাকেন গ্রাম প্রধান বা রোয়াজা। আর এই বসতিগুলো শুধু তাদের থাকার জায়গা নয়, এগুলো তাদের সংস্কৃতির প্রতিফলন এবং প্রকৃতির সাথে জীবনের মিশে যাওয়ার এক অসাধারণ উদাহরণ।

মারমা সম্প্রদায়ের জীবনধারা ও সমাজ

মারমা জনগণের প্রধান পেশা কৃষি। জুমচাষ তাদের জীবিকা নির্বাহের মূল উপকরণ। অবশ্য এর পাশাপাশি তারা পাহাড়ি অরণ্য থেকে গাছের পাতা, মূল এবং কন্দ সংগ্রহের মাধ্যমে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। মারমা জনগণের মধ্যে বসতবাড়ি-সংলগ্ন ভিটায় ক্ষুদ্র আকৃতির বাগানচাষও দেখা যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে ঝুড়ি তৈরি, চোলাই মদ তৈরি এবং মজুরি শ্রম। বস্ত্রতৈরি মারমা মেয়েদের মধ্যে একটি খুবই সাধারণ কর্মকান্ড।

মারমা সম্প্রদায়ের জুম চাষ

মারমাদের ভাষা ও সাহিত্য

মারমাদের নিজস্ব ভাষার নাম মারমা ভাষা। এটি তিব্বতি-বর্মী ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তবে, মারমা ভাষার জন্য আলাদা কোনো লিপি নেই। তারা সাধারণত বার্মিজ (বর্মী) লিপি ব্যবহার করে। মারমা ভাষায় অনেক পুরনো লোককথা, রূপকথা আর গান রয়েছে, যা তাদের জীবন ও সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে।

মারমা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য

মারমা সংস্কৃতি আনন্দ এবং ঐতিহ্যের রঙে রাঙানো। প্রাচীন রীতিনীতি, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, সুর ও ছন্দে ভরা লোকগান ও নৃত্য, আর হাতে গড়া শিল্পের অপূর্ব সম্ভার দিয়ে পরিপূর্ণ মারমা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। 

থামি পোশাক পরিহিত মারমা নারী

ঐতিহ্যবাহী পোশাক

মারমা নারীদের প্রধান পোশাক হলো থামি। মেয়েরা নিম্নাগ্নে এই বিশেষ ‘থ্বিং’ বা ‘থামি’ পরিধান করে যা উজ্জ্বল রঙের কাপড়ে বোনা হয় এবং ব্লাউজের সাথে পরা হয়। থামিগুলো সাধারণত লম্বা হয় এবং বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ দিয়ে তৈরি করা হয়, যা মারমা নারীদের সৌন্দর্য ও আভিজাত্য বাড়িয়ে তোলে। মেয়েরা ‘বেদাই আঙগি’ নামক এক ধরনের ব্লাউজ পরেন।

পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকও বেশ সুন্দর। পূর্বে মারমা পুরষেরা ‘দেয়াহ্’ (ধুতি) নামে এক প্রকার তাঁতে তৈরি কাপড় পরতো। বর্তমানে তারা সাধারণত ফতুয়া বা শার্ট এবং লুঙ্গি পরেন। তবে বিশেষ অনুষ্ঠানে তারা ঐতিহ্যবাহী খবং’(পাগড়ি) ও কোট পরেন, যা তাদের সংস্কৃতিকে বিশেষভাবে তুলে ধরে।

লোকগান ও নৃত্য সংস্কৃতি 

মারমাদের লোকগান ও নৃত্য তাদের আনন্দ, দুঃখ এবং জীবনের বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করে। সাংগ্রাই হলো মারমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান, যা তাদের নববর্ষ সাংগ্রাই ঊৎসবে পরিবেশন করা হয়। 

এছাড়াও য়ইং ও ময়ুর নৃত্য বেশ জনপ্রিয় মারমা নাচ৷ এগুলো সাধারণত দলবদ্ধভাবে পরিবেশন করা হয়, যেখানে পুরুষ ও মহিলা উভয়েই অংশ নেয়। বাঁশির মিষ্টি ধ্বনি ও মাদলের তালে তালে নৃত্যশিল্পীরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে। বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই গান ও নাচ পরিবেশন করা হয়, যা মারমা সংস্কৃতিকে জীবন্ত রাখে। 

এছাড়াও, মারমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের লোকগান ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। এই গান ও নৃত্যগুলো মারমা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

মারমাদের সাংগ্রাই উৎসব

শিল্পকলা ও হস্তশিল্প

মারমাদের শিল্পকলা ও হস্তশিল্প তাদের সৃজনশীলতা এবং কারিগরি দক্ষতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছে। মারমা নারীদের হাতে তৈরি থামি, শাল এবং অন্যান্য কাপড়ে বুনন শিল্পের পরিচয় পাওয়া যায়। তারা নিজেদের তাঁতে বাঁশ, বেত ও তুলা ব্যবহার করে বিভিন্ন নকশা তৈরি করে, যা তাদের পোশাক ও ব্যবহার্য জিনিসপত্রে বিশেষত্ব যোগ করে। 

বাঁশ ও বেতের কাজও মারমা হস্তশিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাঁশ ও বেত দিয়ে তারা ঝুড়ি, ডালা, মোড়া এবং ঘর সাজানোর নানান জিনিস তৈরি করে, যা তারা প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহার করে এবং বাজারেও বিক্রি করে। এই হস্তশিল্পগুলো মারমা সংস্কৃতি ও অর্থনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি 

জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি সামাজিক অনুষ্ঠান মারমারা নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতি মেনে পালন করে। শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পরপরই জন্ম অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাঙ্গলিক আচার-অনুষ্ঠান করা হয়, যেখানে আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসীর উপস্থিতি অপরিহার্য।

এছাড়াও, বিবাহ মারমা সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রথা। ঐতিহ্যবাহী মারমা বিবাহ অনুষ্ঠানে বর ও কনে উভয় পক্ষের পরিবার এবং গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে বিভিন্ন রীতি ও উৎসব পালন করা হয়। বৌদ্ধ মঠ বা কার্বারীর বাড়িতে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় এবং এটি কয়েকদিন ধরে চলতে থাকে। মৃত্যুর পর মারমা সমাজে বৌদ্ধ রীতি অনুযায়ী অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, যেখানে শোক ও শ্রদ্ধার সাথে মৃতের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। 

মারমাদের জল ঊৎসব

ঐতিহ্যবাহী উৎসব

মারমা সমাজে বিভিন্ন উৎসব ও পার্বণ আনন্দ ও উৎসাহের সাথে পালিত হয়, যা তাদের সংস্কৃতিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। উৎসবগুলোর মধ্যে সাংগ্রাই হলো মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব, যা বাংলা নববর্ষের শুরুতে পালিত হয়। 

এদিন বয়স্করা শীল পালন করে। তরুণ-তরুণীরা মৈত্রী পানি ছিটিয়ে একে অপরের মঙ্গল কামনা করে। পাড়ায় পাড়ায় উৎসবের আমেজে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে। এই উৎসবে মারমা তরুণ-তরুণীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে বিভিন্ন খেলাধুলা, গান-নাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। জলকেলি হলো এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ, যেখানে সকলে একে অপরের দিকে জল ছিটিয়ে আনন্দ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে। 

এছাড়াও বৈশাখী পূর্ণিমা বা বুদ্ধ পূর্ণিমা মারমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এই দিনে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিশেষ পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং মারমা সম্প্রদায়ের লোকেরা পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ করে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

মারমাদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় উৎসব ‘কঠিন চীবর দান’। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর দান করার মাধ্যমে পালন করা হয় এবং এটি মারমা সমাজে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে উদযাপিত হয়। এই সকল উৎসব মারমা সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ ও বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে এবং তাদের সামাজিক জীবনধারাকে এক বিশেষ রূপ দিয়েছে।

ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি

মারমারা মূলত বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। ধর্মীয় উৎসব হিসেবে তারা ক্ছংলাপ্রে বা বুদ্ধ পূর্ণিমা, ওয়াছো বা আষাঢ়ী পূর্ণিমা এবং ওয়াগোয়াই বা প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে। প্রবারণা উৎসবের রাতে আকাশে রঙ্গিন ফানুস উড়ানো হয়। রথ যাত্রা হয়।  বুদ্ধ পূজা করা হয়। করা হয় বয়স্ক পূজাও। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়। 

মারমা গ্রামের সকাল শুরু হয় বুদ্ধ পূজা ও সংঘদানের মাধ্যমে, যা তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় রীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বৈশাখী পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দানের মতো ধর্মীয় উৎসবগুলো মারমা জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, যা যেন ধর্মীয় আরাধনার এক মহোৎসব।

মারমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতি অনুযায়ী, বৌদ্ধ বিহার ও মন্দিরগুলো শুধু উপাসনালয় নয়, এগুলো মারমা সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র, যেখানে তাদের প্রধান ধর্মীয় বিশ্বাস জীবন্ত রূপ পায়। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও প্রার্থনা মারমাদের জীবনকে পবিত্র ও মহিমান্বিত করে তোলে।

মারমাদের পারিবারিক কাঠামো ও নিয়ম-কানুন

মারমা পারিবারিক কাঠামো পিতৃতান্ত্রিক হলেও, পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা নির্ধারিত এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অটুট থাকে। পরিবারে সাধারণত পুরুষের কর্তৃত্ব থাকলেও, নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে সাধারণত প্রাচীন বার্মার থামোহাডা নামে পরিচিত উত্তরাধিকার নীতি অনুসরণ করা হয়। পুত্র ও কন্যা উভয়েই পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ। এছাড়াও সামাজিক মর্যাদা এবং ঐতিহ্য সবার জন্য সমানভাবে বন্টিত হয়। এভাবেই মারমা সমাজে বিবাহ ও পারিবারিক জীবন ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির সুন্দর ছবি তুলে ধরে।

খাদ্য ও পানীয়

ভাত, মাছ, মাংস ও সবজি মারমাদের প্রতিদিনের খাবারের প্রধান অংশ।

ঐতিহ্যবাহী মারমা খাবারের মধ্যে ‘মুন্ডি’ ও বাঁশের চোঙায় রান্না করা খাবার বেশ পরিচিত। মুন্ডি হলো মারমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার। আতপ চালকে দুই থেকে তিনদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছিদ্রযুক্ত চালনির ওপরে রেখে পানি শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর ঢেঁকিতে তৈরি হয় মন্ড। মুন্ডির স্বাদকে আরও বাড়িয়ে দেয়ার জন্য মেশানো হয় চিংড়ি শুঁটকি, মরিচ, ধনে পাতাসহ বিভিন্ন উপাদান। 

এছাড়াও মারমারা বাঁশের চোঙায় বিভিন্ন ধরনের খাবার রান্না করে থাকেন, যা তাদের রান্নার একটি বিশেষ পদ্ধতি। এছাড়াও পাজন মারমা সম্প্রদায়ের পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার। মারমারা বিভিন্ন ধরনের পিঠা, নাস্তা ও ঐতিহ্যবাহী পানীয় তৈরি করে থাকেন যা তাদের খাদ্য সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

মারমা জনগোষ্ঠীর উৎসব ও ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজনে পায়েসের মিষ্টি, মাংসের বিশেষ পদ ও ঐতিহ্যবাহী পানীয় তৈরি করা হয়। মারমাদের খাবার শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, এগুলো তাদের সংস্কৃতির আসল রূপ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসছে।

মারমাদের খাবার

মারমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ বুকে এক অমূল্য রত্ন। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য শুধু তাদের পরিচয় নয়, বরং তা বাংলাদেশের বহুত্ববাদী সংস্কৃতিকেও সমৃদ্ধ করেছে। মারমাদের জীবনধারা, রীতিনীতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস এবং উৎসবে মিশে আছে প্রকৃতির অকৃত্রিম ছোঁয়া আর ঐতিহ্যের গভীরতা। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করার মাধ্যমে, আমরা কেবল মারমাদের নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে পারি। মারমা জনগোষ্ঠী তাদের স্বকীয়তা বজায় রেখে আপন মহিমায় টিকে থাকুক, এই কামনাই করি।

তথ্যসূত্র

Related posts

চাকমা জাতির গল্প: ইতিহাস, সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের রুপান্তর

পুশরাম চন্দ্র

মাতৃতান্ত্রিক খাসিয়া সম্প্রদায়ের গল্প

পুশরাম চন্দ্র

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More