বয়সকে হার মানাতে চান? তাহলে আর সার্জারি নয়, ফেস ইয়োগাই হতে পারে আপনার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-এজিং সিক্রেট।
বলুন তো, শেষ কবে আয়নায় তাকিয়ে নিজেকে দেখে ভেবেছেন—‘ইশ, যদি কয়েক বছর আগের মতো লাগতো? বয়সের ছাপ যখন চুপিসারে চোখের কোণে, ঠোঁটের চারপাশে কিংবা কপালের ভাঁজে এসে বসে। ঠিক তখনই আমারা ছুটে যাই দামি ক্রিম, সিরাম কিংবা কসমেটিক সার্জারির পথে।
অথচ প্রকৃতি নিঃশব্দে আমাদের শিখিয়ে যাচ্ছে এক আশ্চর্য ব্যায়াম। যেখানে কোন ওষুধ নেই, অস্ত্রোপচার নেই কেবল কিছু সহজ ভঙ্গি আর নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমেই তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব। আর এই নিঃশব্দ ব্যায়ামের নাম ফেস ইয়োগা।”
ফেস ইয়োগা কি
ফেস ইয়োগা ঠিক যেন সেই মিসিং ওয়ার্কআউট যা প্রাকৃতিকভাবে মুখকে টোনড রাখে, ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং সময়ের ছাপকে বিলম্বিত করে।
বিশ্বজুড়ে ফেস ইয়োগা আজ এক বিশাল ট্রেন্ড। কসমেটিক সার্জারি বা বোটক্সের বিকল্প হিসেবে এটি প্রাকৃতিক, সাশ্রয়ী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত সমাধান। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ অনেকে এটিকে “ন্যাচারাল ফেসলিফট” বলে ডাকেন।
এটি শুধু সৌন্দর্য নয় বরং একটি নিজেকে ভালো রাখার একটি প্র্যাক্টিক্যাল রুটিন। যা আপনার মুখের তারুণ্য ফিরিয়ে আনে, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং বয়সকে চ্যালেঞ্জ করে।
ফেস ইয়োগা : গল্প, শিকড় ও পুনর্জাগরণ
মুখ আমাদের পরিচয়, আমাদের অনুভূতির আয়না। হাসি, খুশি, দুঃখ সবকিছুই যেন মুখের মাধ্যমে প্রকাশ প্রকাশ পায়। আমাদের মুখের পেশি কেবল অভিব্যক্তি নয় বরং স্বাস্থ্য, মন এবং সামাজিক আত্মবিশ্বাসের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার এই ধারণা থেকেই জন্ম নেয় ফেস ইয়োগা। যা আজকের দিনে শুধু সৌন্দর্যের ট্রেন্ড নয় বরং মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চা।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে ফেস ইয়োগা জনপ্রিয়তা লাভ করলেও এটি কোনো হঠাৎ আবিষ্কার নয় বরং শতাব্দী ধরে চেহারার যত্ন ও শারীরিক সচেতনতায় জন্ম নেওয়া একটি প্রাচীন অনুশীলন।
প্রাচীন সভ্যতায় ফেস ইয়োগা
ভারতের প্রাচীন যোগশাস্ত্রে প্রায় ৫০০০ বছর আগে মুখ ও চোখের পেশিকে সক্রিয় রাখার কৌশল লিপিবদ্ধ ছিল। সেসময় রাজপ্রাসাদের মহিলারা তাদের মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য ভ্রূ উঁচু করা, গাল টান টান রাখা, জও-লাইন সচেতন করা কিংবা চিবুক উপরে তোলার মতো প্রাকৃতিক ভঙ্গিমাগুলো করতেন। যা ছিল আজকের আধুনিক ফেস ইয়োগার প্রাথমিক ইঙ্গিত।
এছাড়াও চীনা ঐতিহ্যে ‘চি’ বা প্রাণশক্তির প্রবাহকে সুষম রাখার কথা বলা হয়। তাদের মতে মুখের অভিব্যক্তি, শ্বাস, ও মৃদু ম্যাসাজ এসবের মাধ্যমে “ভিতরের প্রাণশক্তি” সক্রিয় রাখা যায়। এমনকি মিশরের ক্লিওপেট্রার যুগে সৌন্দর্য রক্ষায় শুধু তেল বা মাস্ক নয় বরং মুখের ব্যায়ামের প্রচলন ছিল। এটি ছিল তাদের সামাজিক মর্যাদা ও প্রভাবের প্রতীক। শাসক মহিলাদের ত্বক ও মুখের পেশি সচল রাখার জন্য বিশেষ ধরনের ব্যায়াম করা হতো যা প্রায় আমাদের আধুনিক ফেস ইয়োগার মতোই।
আধুনিক যুগে ফেস ইয়োগা
২০শ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোতে মুখের পেশি নিয়ে ব্যাপক বৈজ্ঞানিক গবেষণা শুরু হয়। জাপানি ও ইউরোপীয় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেন, মুখের পেশি সক্রিয় হলে বলিরেখা কমে,চোখের নিচের ফোলাভাব হ্রাস পায়, চোয়াল ও গালের গঠন শার্প হয়।
তবে ফেস ইয়োগার আধুনিক রূপ আসে জাপান থেকে। ১৯৯০-এর দশকে ফুসা ইয়ামামোতো প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে মুখের পেশি সচল রাখার পদ্ধতি প্রকাশ করেন। ২০০৬ সালে একটি দুর্ঘটনার পর ফুমিকো লক্ষ্য করলেন তার মুখের পেশি দুর্বল হয়ে গেছে এবং দিন দিন অভিব্যক্তি হারাচ্ছে। প্রচলিত কসমেটিক পদ্ধতি যখন কাজে আসেনি তখন তিনি নিজে ব্যায়াম তৈরি করেন। মুখের পেশি টোনিং, শিথিলকরণ এবং রক্তসঞ্চালন উন্নত করার জন্য। এভাবেই জন্ম নেয় “ফেস ইয়োগা মেথড”।
ফেস ইয়োগার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
জানলে অবাক হবেন যে,আমাদের মুখে প্রায় ৪০টিরও বেশি পেশি রয়েছে। ফেস ইয়োগার মাধ্যমে এই পেশিগুলো শক্তিশালী হয়, টান ওঠে এবং ত্বক আরও কোমল ও উজ্জ্বল দেখায়। এটি কোনো সার্জারি বা কেমিক্যাল প্রয়োগ ছাড়াই মুখকে পুনর্গঠন করার এক প্রাকৃতিক উপায়। কিভাবে কাজ করে এই ফেস ইয়োগা বিজ্ঞান কি বলে? চলুন জেনে নিই।
মুখের পেশিকে ‘জাগানো’
মুখের পেশিগুলো অনেকটা শরীরের পেশির মতোই। নিয়মিত ব্যবহার না করলে শক্তি হারিয়ে ফেলে। ফেস ইয়োগার ব্যায়াম মুখের বিভিন্ন অংশকে টান ও শক্তিশালী করে। এর মাধ্যমে গাল, চোখ, চিবুক, ঠোঁট প্রতিটি অংশ আলাদা ব্যায়াম পায়। নিয়মিত অনুশীলনে মুখের রেখা ও ফোলাভাব কমে যায়।
রক্তস্রোত বৃদ্ধি করে উজ্জ্বলতা আনা
প্রতিটি ব্যায়াম মুখের পেশি স্ট্রেচ করে, যারফলে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। রক্ত প্রবাহ যত বেশি হবে অক্সিজেন ও পুষ্টি তত বেশি ত্বকে পৌঁছাবে। আর এই ভাবেই ত্বক হয়ে ওঠে প্রাকৃতিক উজ্জ্বল ও কোমল।
কলাজেন বৃদ্ধি ও পেশির শক্তি
কলাজেন হলো একটি প্রোটিন যা ত্বককে টানটান ও মুখের পেশিকে শক্ত রাখে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কলাজেন কমে যায়। ফলে ত্বক ঢিলে হয়ে যায় এবং বলিরেখা পড়ে। ফেস ইয়োগা মুখের পেশি সক্রিয় করে। যা কলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। পেশি শক্ত হলে ত্বকও টানটান থাকে এবং মুখের ভাঁজ কমে। নিয়মিত অনুশীলনে চেহারা উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত ও তরুণ দেখায়। তাই ফেস ইয়োগা প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ও পেশি রক্ষা করার এক কার্যকর উপায়।
লিম্ফ্যাটিক ফ্লো এবং ফোলা হ্রাস
ফেস ইয়োগা হলো মুখের জন্য নিজেই তৈরি করা প্রাকৃতিক স্পা। প্রতিটি ব্যায়াম মুখের পেশিকে জাগিয়ে তোলে এবং লিম্ফ্যাটিক ফ্লো বাড়িয়ে ফোলা কমায়। এর মাধ্যমে চোখের নিচের “প্যান্ডা” দূর হয়, গাল ও চিবুক পায় টানটান আকৃতি। ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। নিয়মিত অনুশীলনে মুখ যেন নতুন করে জেগে ওঠে প্রাকৃতিক, স্মার্ট ও চার্মিং।
মানসিক উপকার
ফেস ইয়োগা শুধু মুখের জন্য নয়, মনের জন্যও উপকারী। মুখের পেশি স্ট্রেচ করলে স্ট্রেস কমে এবং মন শান্ত হয়। এটি অনেকটা শরীরচর্চার মতো। আমরা যেমন জিমে গিয়ে পেশি গড়ে তুলি ঠিক তেমনি ফেস ইয়োগা হলো মুখের অদৃশ্য জিম। যার মাধ্যমে মুখের পেশিগুলো ফিরে পায় তাদের হারানো সজীবতা।
ফেস ইয়োগা : কোন ব্যায়াম কোন সমস্যার সমাধান
ফেস ইয়োগা মূলত মুখ, গলা ও চোখের চারপাশের পেশিকে টোনড ও সক্রিয় করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে। একে বলা যায় প্রাকৃতিক কসমেটিক সার্জারি। তবে এই যোগব্যায়াম সব মানুষের জন্য একরকম নয় । কারণ কারো সমস্যা থাকে চোখের নিচে দাগ, কারো ডাবল চিন, কারো আবার কপালের ভাঁজ। সেই অনুযায়ী ফেস ইয়োগাকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। ফেস ইয়োগা মূলত তিন ধরনের—ফেস টোনিং (Face Toning Yoga), ফেস রিল্যাক্সেশন (Face Relaxation Yoga), ফেস সার্কুলেশন (Face Circulation Yoga)
চলুন ফেস ইয়োগার ধরনগুলো এবং কোন ব্যায়াম কখন করতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
ফেস টোনিং ইয়োগা
ফেস টোনিং ইয়োগা হলো এমন এক ধরনের ব্যায়াম যেখানে মুখের নির্দিষ্ট পেশিকে নড়াচড়া করানো হয়। এর লক্ষ্য হলো মুখের ঝুলে যাওয়া পেশিকে টাইট করা, রক্তসঞ্চালন বাড়ানো এবং প্রাকৃতিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা আনা। ফেস টোনিং ইয়োগা হলো একটি প্রাকৃতিক বিউটি সিক্রেট। যা নিয়মিত করলে মুখে বয়সের ছাপ অনেকটাই কমিয়ে তরুণ ও ফ্রেশ লুক ধরে রাখা যায়। কিছু কার্যকর ফেস টোনিং ইয়োগা সম্পর্কে আলোচনা করো হলো।
দ্য চিক লিফট
এটি এমন এক্সারসাইজ যা আমাদের গালের পেশীগুলোকে সক্রিয় করে। সাধারণত বয়স বাড়লে গাল একটু ঝুলে যায়, মুখের ভলিউম কমে যায়, আর ফোলাভাব বেড়ে যায়। চিক লিফট মূলত সেই পেশীগুলিকে টাইট করে ফলে মুখে আসে প্রাকৃতিক লিফট ও উজ্জ্বলতা।
কীভাবে করবেন দ্য চিক লিফট ব্যায়ামটি? চলুন জেনে নিই ।
প্রথমে সোজা হয়ে বসুন এবং মুখ বন্ধ রাখুন। ঠোঁট চেপে রেখে যতটা সম্ভব বড় করে হাসুন। এবার দুই হাতের আঙুল দিয়ে গালের উপর হালকা চাপ দিন এবং গাল উপরের দিকে তুলুন । এভাবে ৮–১০ সেকেন্ড ধরে রেখে ধীরে ধীরে ছাড়ুন।একই পদ্ধতিতে ৮–১০ বার করুন।
এতে গালের পেশী টানটান হবে ফোলা ভাব কমে যাবে এবং মুখে আসবে স্বাভাবিক লিফট।
দ্য জ-ডিফাইনার
যাঁরা ডাবল চিন নিয়ে চিন্তিত অথবা যারা স্পষ্ট জ-লাইন চান তাদের জন্য দ্য জ-ডিফাইনার ব্যায়ামটি এক প্রাকৃতিক “সৌন্দর্য অস্ত্র”। এটি এমন এক ধরনের ব্যায়াম যা মূলত চোয়াল, ঘাড় ও নিচের মুখের অংশের পেশীকে শক্তিশালী করে। খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি ব্যায়ামটি করতে পারেন। তার জন্য প্রথমে সোজা হয়ে বসতে হবে, মাথা সামান্য পেছনে নিয়ে যেন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন।
ঠোঁট সামনের দিকে বাড়িয়ে দিতে হবে ঠিক যেন চুমু খাওয়ার ভঙ্গিতে । এই ভঙ্গিতে ৫–১০ সেকেন্ড ধরে রাখতে হবে। ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
এভাবে প্রতিদিন ৮–১০ বার অনুশীলন করার মাধ্যমে ঘাড় ও থুতনির অতিরিক্ত মেদ কমাবে , ডাবল চিনের সমস্যা দূর হয়ে করে মুখে একটা শার্পনেস ভাব চলে আসবে।
দ্য আইব্রো আর্চ
এটা যেন এক ধরনের ন্যাচারাল বোটক্স। তবে কোনো রাসায়নিক বা সূঁচ নয় শুধু আপনার আঙুলের হালকা স্পর্শ আর কয়েক সেকেন্ডের ধৈর্যের মাধ্যমে এই ব্যায়ামটি করা সম্ভব। প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু প্র্যাকটিস করলেই চোখের দৃষ্টি হবে প্রাণবন্ত আর মুখের এক্সপ্রেশন পাবে এক চমৎকার ফ্রেশ লুক। চলুন জেনে নিই কিভাবে এই ব্যায়ামটি করতে হবে।আঙুলের ডগা ভ্রুর ঠিক নিচে রাখুন।
ভ্রু উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন, আর একই সময়ে আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে সেটিকে নিচে ঠেলে দিন। এভাবে প্রায় ৫–১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।প্রতিদিন ৫–৬ বার চর্চা করুন। পার্থক্যটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
কপালের ভাঁজ কমিয়ে দেয়, ফলে বলিরেখা হ্রাস পায়।চোখকে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, কারণ এই ভঙ্গি কপালের টেনশন দূর করে।ভ্রুর প্রাকৃতিক আর্চ বজায় রাখে, যা মুখকে তরুণ ও প্রাণবন্ত দেখায়।
দ্য ফিশ ফেস
ছেলেবেলায় কখনো কি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ঠোঁট চেপে মাছের মতো মুখ বানিয়েছেন ছেলেবেলার সেই দুষ্টুমি ভঙ্গিই আসলে এক অসাধারণ ফেস ইয়োগা আসন। যার নাম ফিশ ফেস। তবে মজার ব্যাপার কি জানেন,এই খেলাচ্ছলে করা ভঙ্গিই আপনার মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারে প্রাকৃতিক উপায়ে।
কিভাবে করবেন?
ঠোঁট ভেতরের দিকে চেপে ধরে মাছের মতো মুখ বানান। গাল যতটা সম্ভব ভেতরে টেনে রাখুন। এভাবে ৫–১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।ছেড়ে আবার করুন এভাবে ৫–১০ বার। ব্যাস! এভাবেই আপনি খুব সহজেই গালের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে আপনার মুখকে আরও শার্প করতে পারবেন।
দ্য লায়ন ব্রিদ
দ্য লায়ন ব্রিদ শুধু একটি ফেস ইয়োগা এক্সারসাইজ নয় বরং এটি একধরনের মুক্তির অনুভূতি। বোরিং জীবনের প্রতিদিনের চাপ, ক্লান্তি, অজান্তে জমে থাকা বিরক্তি সবকিছুকে যেন সিংহের গর্জনের মতো ঝেড়ে ফেলে দেয় এই ভঙ্গি। যেন এক মিনিটেই আপনি হয়ে ওঠেন অনেকটা হালকা, সাহসী আর আত্মবিশ্বাসী।
এই আসন শুধুমাত্র আপনার মুখ নয় বরং আপনার ভেতরের লুকানো সিংহকেও জাগিয়ে তোলে!
কীভাবে করবেন?
আরাম করে হাঁটু গেড়ে বা বসে পড়ুন। হাত দু’টি হাঁটুর ওপর রেখে পুরো শরীর সোজা রাখুন।এবার গভীরভাবে শ্বাস নিন।মুখ বড় করে খুলুন, জিহ্বা যতটা সম্ভব বাইরে বার করুন, আর চোখ বড় বড় করে খুলে একদম সিংহের মতো “হা…” করে শ্বাস ছাড়ুন।গলা থেকে গর্জনের মতো শব্দ আসতে দিন।
একটানা কয়েক দিন এই ব্যায়ামটি করার ফলে আপনার মুখ, গলা ও চোয়ালের মাংসপেশিকে সক্রিয় হবে এমনকি রক্ত সঞ্চালনও বাড়বে । যা স্ট্রেস, টেনশন আর মানসিক চাপ কমিয়ে মুখকে আরও প্রাণবন্ত করে।
নিয়মিত এসব ফেস টোনিং ইয়োগা কেবল সৌন্দর্য ধরে রাখার কৌশল নয় বরং এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর এক সহজ উপায়। নিয়মিত চর্চায় আপনি অনুভব করবেনমুখ শুধু টানটানই নয় বরং ফিরে পায় হারানো সজীবতা।
রেফারেন্স:
- https://luvly.care/blog/face-yoga-exercises
- https://www.vogue.com/article/what-is-face-yoga
- https://www.prothomalo.com/amp/story/lifestyle/beauty/%E0%A6%B
- https://www.bajajfinservhealth.in/bn/articles/face-yoga-exercises
- https://www.anandabazar.com/amp/lifestyle/beauty-and-fashion/these-five-face-yoga-exercises-will-help-you-to-look-younger-dgtl/cid/1330458
- https://www.bajajfinservhealth.in/bn/articles/face-yoga-exercises