Image default
যাপন

সাদা স্নিকার্স থেকে স্পোর্টস শু: ঘরে বসেই জুতো পরিষ্কার করার সহজ হ্যাকস

প্রতিদিনের ধুলো, দাগ আর গন্ধে যেন আপনার “সাদা স্নিকার্সের উজ্জ্বলতা কিংবা স্পোর্টস শুর এনার্জি”  হারিয়ে না যায়। ঘরে বসেই  সাধারণ কিছু ট্রিকস ফলো করে আপনার জুতো জোড়া কে দিন  লাক্সারি-লেভেলের যত্ন। 

অনেকেই ভাবেন  জুতা পরিষ্কার করা বুঝি বেশ ঝক্কির কাজ। পছন্দের জুতোটিকে পরিষ্কার করতে হলে হয়তবা ব্যয়বহুল শু-ক্লিনার বা লন্ড্রিতে পাঠানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তবে সত্যি বলতে কি আপনার হাতের নাগালে থাকা কিছু ঘরোয়া উপকরণ, সামান্য ধৈর্য এবং  সঠিক পন্থা অবলম্বন করে আপনিও ঘরে বসে খুব সহজেই আপনার পছন্দের জুতা জোড়াকে নতুনের মতো ঝকঝকে লুক দিতে পারবেন। 

এই আর্টিকেলে আমারা এই বিষয়েই জানব, কিভাবে হাতের কাছে থাকা কিছু উপকরণ ব্যবহার করে পছন্দের জুতোটিকে দীর্ঘস্থায়ী ও ঝকঝকে রাখা যায়। চলুন জেনে নিই 

ঘরে বসে সহজেই জুতো পরিষ্কার করার উপায় 

পছন্দের জুতোটিতে একবার দাগ পরে গেলে অনেকেই  ভীষণ চিন্তায় পড়ে যায়। “এখন কি হবে?”  “ক্লিনার বা লন্ড্রি ছাড়া কি  কোন ভাবেই এই দাগ উঠানো  সম্ভব?”— মনের মধ্যে এই প্রশ্নগুলো আসা  অস্বাভাবিক কিছু না।

তবে কিছু ঘরোয়া উপকরণ যেমন হালকা ডিটারজেন্ট, বেকিং সোডা, ভিনেগার, নরম ব্রাশ, টুথব্রাশ, এবং সামান্য ধৈর্য নিয়ে আপনিও আপনার জুতোকে নতুনের মতো করতে পারেন। চলুন খুব সহজে জুতো পরিষ্কার করার কিছু টিপস সম্পর্কে জেনে নিই।

সাদা স্নিকার্স পরিষ্কার করার সেরা উপায়

চরম ক্লাসিক স্টাইলের সাদা স্নিকার্সে কিন্তু একটু ধুলো বা ময়লা লাগলেই ভীষণ বাজে দেখায়। সাদা স্নিকার্সের দাগ সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। তাই এগুলোকে পরিষ্কার রাখার জন্য প্রয়োজন কিছু বিশেষ কৌশলের ।

বাজারের কেনা ক্লিনার ছাড়াও ঘরের সাধারণ কিছু জিনিস দিয়ে খুব সহজেই সাদা স্নিকার্সকে আবার নতুনের মতো চকচকে করা সম্ভব।   চলুন সাদা স্লিকার্স পরিষ্কার করার কিছু সেরা ঘরোয়া  হ্যাকস সম্পর্কে জেনে আসি ।

সাদা স্নিকার্স

উপকরণ:

  • ১ চামচ বেকিং সোডা
  • ১ চামচ পানি
  • ১ চামচ লিকুইড সাবান

পদ্ধতি:

এই তিনটি  উপকরণকে একত্রে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। একটি পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে জুতার ওপর  হালকাভাবে লাগিয়ে ১০–১৫ মিনিট রাখুন। এরপরে গরম পানি দিয়ে  জুতো টিকে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সাদা জুতো  যেন আবার শ্বেতস্নিগ্ধ হয়ে গেছে।

ভিনেগার স্প্রে ট্রিক

সাদা ভিনেগার এবং পানি সমান অনুপাতে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে রাখুন। দাগযুক্ত জুতায় স্প্রে করে  নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন । ময়লা উধাও হবে আর পছন্দের জুতোটিও  থাকবে একদম নতুনের মতো।

লিকুইড সাবান দিয়ে দ্রুত পরিষ্কার

নতুন দাগ কিংবা হালকা ময়লার জন্য লিকুইড সাবান বা ডিটারজেন্টের পানিই যথেষ্ট। একটি নরম কাপড় বা ব্রাশের সাহায্যে লিকুইড সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট পানি দিয়ে আপনার জুতো জোড়া টিকে সহজেই পরিষ্কার ও ঝকঝকে করতে পারেন।ছোট টুথব্রাশ দিয়ে খুব সহজেই স্নিকার্সের সেলাই, কোণ বা প্যাটার্নের ময়লা পরিষ্কার করা যায়। তবে খুব টুথব্রাশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে টুথব্রাশ দিয়ে বেশি ঘষাঘষি করা যাবে না এতে করে স্নিকার্সের ফ্যাব্রিক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

লেস ও ইনসোল আলাদা ধোয়া

স্নিকার্সের লেস ও ইনসোলকে আলাদা করে ধুয়ে শুকাতে দিতে হয় ।  ইনসোলের দুর্গন্ধ দূর করতে চাইলে ইনসোলের ওপর সারারাতের জন্য বেকিং সোডা ছিটিয়ে রাখুন। এতে করে ইনসোলের বাজে দুর্গন্ধ দূর হবে।

তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন যে সাদা স্নিকার্সকে কখনই সরাসরি রোদে শুকাতে দিবেন না। সবসময় স্লিকার্স হালকা বাতাস চলাচলের জায়গায়  রাখবেন। এতে জুতো ফেটে যাবে না এমনকি জুতোর রঙও  ফিকে হবে না।

অতিরিক্ত হ্যাকস

স্নিকার্সের ছোট দাগ মুছতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি স্নিকার্সে্র চামড়ার ওপর হালকা বেবি ওয়েল কিংবা কোকোনাট ওয়েল ও মাখিয়ে রাখতে পারেন এতে করে স্লিকার্স  বেশ চকচকে হয়।

কাপড়ের ও ক্যানভাস জুতো ধোয়ার সহজ ও আকর্ষণীয় নিয়ম

স্টাইলিশ, হালকা ও আরামদায়ক কাপড়ের বা ক্যানভাস জুতোর ওপর যখন ময়লা, ধুলো অথবা কাদা লেগে যায় তখন তা দেখতে ভীষণ বাজে লাগে। কিভাবে হাতের কাছে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে আপনার স্টাইলিশ জুতো জোড়াকে পরিষ্কার করা যায় তার কিছু আকর্ষণীয় টিপস সম্পর্কে জেনে আসি চলুন।

শুকনো ময়লা আগে দূর করুন

জুতো ধোয়ার আগে অবশ্যই জুতোতে লেগে থাকা শুকনো ধুলো বা কাদা একটি নরম ব্রাশ কিংবা পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে সরিয়ে নিন। এতে করে জুতোর কাপড়ও নষ্ট হয় না এমনকি জুতো ধোয়াও  বেশ সহজ হবে।

সাবান-মিশ্রিত পানি ব্যবহার করুন

এক কাপ গরম পানি নিন এবং এতে এক চামচ লিকুইড সাবান বা ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন। এরপর একটা নরম কাপড় অথবা বা ব্রাশ দিয়ে আলতোভাবে জুতার উপরে ঘষুন। দেখবেন ময়লা ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গেছে।

দাগের জন্য বেকিং সোডা ট্রিক

সাদা বা হালকা রঙের জুতার জন্য এক চামচ বেকিং সোডা + এক চামচ পানি + এক চামচ লিকুইড সাবান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পুরনো টুথব্রাশ দিয়ে জুতার ওপর লাগিয়ে ১০–১৫ মিনিট রাখুন। ১০-১৫ মিনিট পরে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে খুব সহজেই আপনি আপনার পছন্দের জুতোটিকে পরিষ্কার করতে পারেন। তবে জুতা ধোঁয়ার সময় অবশ্যই লেস ও ইনসোল আলাদা করে ধুয়ে শুকাতে দিতে হবে।  

তবে একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন কাপড়ের ও ক্যানভাস জুতো কখনই সরাসরি রোদে রাখবেন না। এতে করে জুতো ফেটে যাওয়ার কিংবা রঙ ফিকে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ক্যানভাস জুতো

চামড়ার জুতো পরিষ্কার করার উপায়

চামড়ার জুতো শুধু পায়ে পরার জিনিস নয় বরং এটি একধরনের স্টাইল স্টেটমেন্টও। অফিসের মিটিং থেকে শুরু করে ডিনার পার্টি যে কোনো লুকে লেদার শু যেন যোগ করে এক বিশেষ আভিজাত্য। কিন্তু এই লাক্সারি বজায় রাখতে হলে চাই সঠিক যত্ন। সামান্য ভুলেই চামড়া ফেটে যেতে পারে বা রঙ বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। ঘরে বসেই কীভাবে চামড়ার জুতো পরিষ্কার ও চকচকে রাখবেন, চলুন জেনে নিই 

ময়লা পরিষ্কার:

প্রথমেই নরম ব্রাশ বা মাইক্রোফাইবার কাপড় দিয়ে জুতোর গায়ে জমে থাকা ধুলো ও ময়লা আলতো করে ঝেড়ে নিন। তবে ব্রাশ করার সময় সেলাইয়ের কোণা ও জুতোর জিব অংশে বাড়তি নজর দিন। কারণ এই জায়গাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ধুলো লুকিয়ে থাকে।

নরম ক্লিনজিং :

লেদার যেহেতু   খুবই স্পর্শকাতর উপাদান। সেহেতু লেদার  পরিষ্কার করার জন্য হালকা পরিষ্কারই সেরা। মাইল্ড সাবান বা লেদার ক্লিনার কয়েক ফোঁটা কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। নরম তুলো বা মাইক্রোফাইবার কাপড় সেই মিশ্রণে ভিজিয়ে হালকা হাতে মুছুন। খুব বেশি পানি ব্যবহার করবেন না। কারণ অতিরিক্ত আর্দ্রতা চামড়ার ত্বক নরম করে দিতে পারে।

বাড়িতে লেদার ক্লিনার না থাকলে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

প্রাকৃতিক শুকানো :

চামড়ার জুতো ধোয়ার পর সরাসরি রোদে রাখলে তা শুকিয়ে ফেটে যেতে পারে। সেজন্য বাতাস চলাচল হয় এমন ছায়াময় স্থানে জুতো রাখুন।

লেদার কন্ডিশনিং :

জুতো শুকিয়ে গেলে তার ওপর আলতো করে পালিশ বা লেদার কন্ডিশনার  মাখিয়ে রাখুন। এতে করে চামড়ার রঙ হবে আর ও বেশি উজ্জ্বল। আপনি চাইলে আপনার জুতোর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে উচ্চমানের শু ক্রিম বেছে নিতে পারেন এতে  করে চামড়ার রঙ  হবে আরও বেশি গভীর।

চামড়ার জুতো মানে এক কথায় সৌন্দর্য ও মর্যাদার সমন্বয়। সঠিক ব্রাশিং, মাইল্ড ক্লিনজিং, প্রাকৃতিক শুকানো এবং নিয়মিত কন্ডিশনিং এই কয়েকটি সহজ ধাপ আপনার প্রিয় লেদার শু-কে করবে একেবারে লাক্সারি ,ঝকঝকে ও ক্লাসি।

চামড়ার জুতো

স্পোর্টস শু পরিষ্কার করার নিয়ম

জগিং, জিম কিংবা আউটডোর গেম যেখানেই যাই না কেন, স্পোর্টস শু আমাদের পায়ের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এই অ্যাকশন-লাভার জুতোগুলো  দ্রুতই ঘাম, ধুলো আর গন্ধে ভরে যায়।  তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজে স্পোর্টস শু-কে দিতে পারেন একেবারে প্রো-লেভেল ক্লিনিং। চলুন সহজ কিছু হ্যাকস ব্যবহার করে  কিভাবে স্পোর্টস শু পরিষ্কার করা যায় জেনে আসি।

ময়লা পরিষ্কার 

প্রতিটি ম্যাচের পরই স্পোর্টস  শু-এরও দরকার হয় এক্সট্রা কুলডাউন।

যার জন্য একটি নরম ব্রাশ কিংবা শুকনো কাপড় দিয়ে শু এর উপরের ধুলো ও কাদা ঝেড়ে নিতে হবে। যাতে পরিষ্কার করার সময় বেশি কষ্ট না হয়। এরপরে জুতোর  ইনসোল ও ফিতাকে  আলাদা করে নিতে হবে। ইনসোল খুলে আলাদা করে শুকালে গন্ধ দ্রুত কমে যায়।

সাবান-পানির  ডিপ ক্লিনজিং:

স্পোর্টস শু মূলত মেশ ও রাবার দিয়ে তৈরি, তাই হালকা সাবান-পানিতে খুব সহজেই পরিষ্কার হয়। পরিষ্কার করার জন্য এক বালতি কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা মাইল্ড লিকুইড ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নিন।

জুতোগুলো সেই মিশ্রণের মধ্যে ১৫–২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।১৫–২০ মিনিট পর ভেজা ব্রাশ দিয়ে মেশ ও সোল অংশে আলতো করে ঘষুন।শু এর মধ্যে এক্সট্রা ফ্রেশনেস পেতে বেকিং সোডা মেশাতে পারেন এতে করে খুব সহজেই গন্ধ দূর হয়।

রিফ্রেশ ফিনিশ 

আপনি চাইলে হালকা ল্যাভেন্ডার অয়েল বা মিন্ট স্প্রে করতে পারেন। এতে পরের ম্যাচেও শু থাকবে ফ্রেশ ও সুগন্ধময়।

স্পোর্টস শু মানেই শুধু স্পোর্টস নয়, এটি প্রতিদিনের এনার্জি ও স্টাইলেরও অংশ। উপরের সহজ ধাপগুলো মেনে চললে আপনার জুতো পাবে নতুনের মতো লুক, ঘামের গন্ধমুক্ত আর দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি, যা পরের গেম বা ওয়ার্কআউটের জন্য একেবারে প্রস্তুত।

জুতো কীভাবে ওয়াশিং মেশিনে ধোয়া যায়

Machine-wash strategy মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয় স্নিকার্স বা স্পোর্টস শু মেশিনে খুব সহজেই পরিষ্কার করে নিতে পারবেন। ওয়াশিং মেশিন শুধু জামাকাপড়ের জন্য এই ধারণাটা একদমই পুরোনো। সঠিক কৌশল জানলে  আপনি একদম স্পা-টাচ ফিনিশে আপনার প্রিয় স্নিকার্স বা স্পোর্টস শু মেশিনে ধুয়ে নিতে পারবেন। 

চলুন দেখি কীভাবে ওয়াশিং মেশিনে জুতো ধোয়া যায় তা স্মার্ট ও আকর্ষণীয় উপায়ে।

মেশিনের মোড:

মেশিন চালুর জন্য প্রথমেই মোড সিলেকশন  করতে হবে। জুতো পরিষ্কার করার জন্য Gentle বা Delicate মোডই  ভালো হবে। কারণ Gentle বা Delicate মোড কম ঘূর্ণন সম্পন্ন হওয়ায় এই মুডে জুতোর  ফ্যাব্রিক তুলনামূলক ভালো থাকে।

পানির তাপমাত্রা :

পরিষ্কার করার জন্য অবশ্যই আপনাকে ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কারণ বেশি গরম পানি রাবার সোলকে সংকুচিত করতে পারে।

ডিটারজেন্ট : 

পরিষ্কার করার জন্য মাইল্ড লিকুইড ডিটারজেন্ট বেছে নিন। পাউডার ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে  সেলাইয়ের মাঝে ডিটারজেন্টের কণা আটকে যেতে পারে।

ওয়াশিং-এর স্মার্ট মিক্স:

মেশিনে শুধু জুতো দিলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। যার জন্য ২-৩টি পুরনো তোয়াল মেশিনে  জুতোর সঙ্গে  দিয়ে দিন।

এতে করে মেশিনের ঘূর্ণন ব্যালান্স থাকবে এবং জুতোতে অপ্রয়োজনীয় ধাক্কাও লাগবে না।

জুতো ধোয়ার সময় যেসব ভুল এড়াতে হবে

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে আপনি ও আপনার পছন্দের জুতো জোড়াকে দীর্ঘদিন টেকসই রাখতে পারেন। জুতো ধোয়ার সময় কিছু ছোট ছোট  ভুলের কারণে  প্রায়শই পছন্দের জুতোর  রঙ ফিকে কিংবা আকৃতি নষ্ট হয়ে যায়। জুতো ধোয়ার সময় যেসব ভুল এড়াতে হবে চলুন জেনে নিই।

সরাসরি গরম পানিতে ডুবানো যাবে না 

অনেকে গরম পানি দিয়ে জুতো ধুয়ে ফেলেন, এই ভেবে  যে এতে করে জুতো খুব তাড়াতাড়ি পরিষ্কার হবে। কিন্তু এতে ক্যানভাস ফেটে যেতে পারে আর চামড়ার জুতো শক্ত হয়ে যায়।

শক্ত ব্রাশ বা স্ক্রাবার দিয়ে  না ঘষা

জুতো ঘষতে গিয়ে অনেকেই বাথরুমের স্ক্রাবার বা শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করেন। এতে কাপড়ের তন্তু উঠে যায় এমনকি কখনো কখনো চামড়া ও ছিঁড়ে যায়। 

অতিরিক্ত ডিটারজেন্ট বা ব্লিচ ব্যবহার না করা 

বেশি ডিটারজেন্ট, ব্লিচ বা টয়লেট ক্লিনার জুতোকে পরিষ্কার নয় বরং বিবর্ণ করে ফেলে।  জুতো পরিষ্কার করার জন্য সহজ হালকা লিকুইড সাবানই যথেষ্ট।

ইনসোল ও লেস ধোয়া 

জুতোর ভেতরের ইনসোল আর লেস না ধুলে দুর্গন্ধ থেকেই যায়।  তাই আলাদা করে এগুলো ধুয়ে শুকাতে হবে।

সরাসরি রোদে শুকাতে না দেওয়া 

রোদে শুকালে জুতো দ্রুত ফাটে সঙ্কুচিত হয় বা রঙ ফিকে হয়। সবসময় বাতাস চলাচল হয় এমন জায়গায় জুতো শুকাতে দিতে হয়।

চামড়ার জুতোতে পানি  না ভেজানো

চামড়ার জুতো সরাসরি পানিতে ডুবানো ঠিক নয়। বরং ভেজা কাপড় দিয়ে মুছুন, পরে লেদার ক্রিম বা বেবি অয়েল লাগান। এতে করে চামড়ার জুতো দীর্ঘদিন টেকসই থাকে।

জুতো ধোয়ার সময় এই ভুলগুলো না করলে আপনার জুতো থাকবে দীর্ঘদিন ঝকঝকে, টেকসই ও স্টাইলিশ। ঘরে বসে সামান্য যত্নেই আপনার প্রিয় জুতোর আয়ুও দ্বিগুণ হতে পারে।

রেফারেন্স:

Related posts

ত্বক অনুযায়ী সানস্ক্রিন নির্বাচন করুন!

নারীর যে অভ্যাসগুলো রেড ফ্ল্যাগ

সময় কম? দেখে নিন আপনার জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More