Image default
প্রযুক্তি

ইউএসবি এর ইতিহাস- যেভাবে প্রতিদিনের প্রযুক্তিগত জীবন সহজ হলো

ইউএসবি বা ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস’কে বলা যেতে পারে আধুনিক প্রযুক্তির এক অদৃশ্য হিরো। এটি প্রতিদিন কোটি কোটি ডিভাইসকে সংযুক্ত করে ডেটা ও শক্তি আদান-প্রদান সম্ভব করছে। 

১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা ইউএসবি প্রযুক্তি কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য জটিল পোর্ট ও কেবলের জঞ্জাল দূর করে এনেছে সরলতা এবং গতিশীলতা। 

আজ ইউএসবি শুধু একটি কেবল নয় বরং এটি ডিজিটাল যোগাযোগের কেন্দ্র। স্মার্টফোন চার্জ করা হোক বা উচ্চগতির ডেটা ট্রান্সফার, গেম কনসোল কানেক্ট করা হোক বা মনিটরের সাথে ল্যাপটপ যুক্ত করা, সব ক্ষেত্রেই ইউএসবি ক্যাবল অনন্য ভূমিকা রাখে। 

এই লেখায় জানবো ইউএসবির জন্মকথা, বিবর্তন, এবং কীভাবে এটি প্রযুক্তিকে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে! 

প্রাক্-ইউএসবি যুগ 

১৯৯০-এর দশকের আগে কম্পিউটারে ডিভাইস সংযোগ করা ছিল এক দুঃস্বপ্ন। প্রতিটি ডিভাইসের জন্য আলাদা পোর্ট, আলাদা কেবল, এবং আলাদা সেটআপের প্রয়োজন হতো। 

উদাহরণস্বরূপ- মডেম বা পুরনো মাউসের জন্য ব্যবহৃত হতো সিরিয়াল পোর্ট। কিন্তু সিরিয়াল পোর্টের গতি ছিল মাত্র ১১৫ kbps। প্যারালাল পোর্ট প্রিন্টার বা স্ক্যানারের জন্য ব্যবহার করা হতো। অপেক্ষাকৃত  দ্রুতগতির হলেও (প্রায় ১ Mbps) প্যারালাল পোর্ট ছিল বড় ও জটিল। সব থেকে ঝামেলাপূর্ণ ছিলো PS/2 পোর্ট।PS/2 পোর্ট কিবোর্ড ও মাউসের জন্য ফিক্সড ছিলো। এই পোর্টে প্লাগ-ইন করতে গেলে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে হতো। হার্ড ড্রাইভ বা স্ক্যানারের জন্য উচ্চ গতির ডেডিকেটেড SCSI পোর্ট ছিল বেশ দামী এবং এর কনফিগারেশন ছিল বেশ জটিল। 

সিরিয়াল পোর্ট,PS-2 পোর্ট এবং SCSI পোর্ট

এছাড়াও ডিভাইস সংযোগের জন্য ব্যবহারকারীদের ড্রাইভার ইনস্টল করতে হতো, IRQ (ইন্টারাপ্ট রিকোয়েস্ট) কনফ্লিক্ট ম্যানেজ করতে হতো। এই জটিলতা সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে প্রযুক্তিতে পারদর্শী ব্যক্তি সকলকেই বেশ ঝামেলা পোহাতে হতো। 

ইউএসবি তারের উদ্ভাবনের পেছনের গল্প: ইউএসবি কেবলের আবিষ্কার ও ইতিহাস

ইউনিভার্সাল সিরিয়াল বাস (ইউএসবি) কেবলের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে, যখন কম্পিউটারে ডিভাইস সংযুক্ত করা ছিল অত্যন্ত জটিল। ব্যবহারকারীদের প্রিন্টার, স্ক্যানার, বা ক্যামেরা যুক্ত করতে গেলে আলাদা পোর্টের জন্য হার্ডওয়্যার সংযোজন করতে হতো। 

এই সমস্যা সমাধানে ১৯৯২ সালে ইন্টেলের ইঞ্জিনিয়ার অজয় ভাট একটি “প্লাগ অ্যান্ড প্লে” ব্যবস্থার ধারণা প্রস্তাব করেন। তার আইডিয়াটি প্রথমে প্রত্যাখ্যাত হলেও, পরে তিনি কম্প্যাক, আইবিএম, মাইক্রোসফটসহ ৭টি টেক কোম্পানির সাথে মিলে ইউএসবি স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করেন। ১৯৯২ সালে জোনস ফার্ম কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে ৭টি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা একমত হন যে শিল্পে একটি সার্বজনীন স্ট্যান্ডার্ড প্রয়োজন। তাদের লক্ষ্য ছিল: 

১. কম খরচে উৎপাদনযোগ্য কেবল।
২. ডিভাইসে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ।
৩. একই কেবলে উচ্চ গতির ডেটা ট্রান্সফার।

ইউএসবি তৈরির পেছনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সরলতা ও সার্বজনীনতা। ১৯৯০-এর দশকে প্রতিটি ডিভাইসের জন্য আলাদা পোর্ট, কেবল এবং ড্রাইভার প্রয়োজন হতো। উদাহরণস্বরূপ, একটি কম্পিউটারে প্রিন্টার, কিবোর্ড এবং মাউস সংযুক্ত করতে তিনটি ভিন্ন পোর্ট ব্যবহার করা হত। এছাড়া, নতুন ডিভাইস যোগ করতে ব্যবহারকারীদের প্রায়ই কম্পিউটার খুলে কার্ড ইনস্টল করতে হতো।

ইউএসবির প্রাথমিক ডিজাইনে প্রকৌশলীরা প্রথমে একটি চার কোরের পাতলা কেবল সিস্টেম তৈরি করেন। এই কেবলটিকে সর্বোচ্চ ৫ মিটার বা ১৬ ফুট পর্যন্ত বিস্তৃত করা যেত। কেবল সিস্টেমেটির এক প্রান্তে টাইপ-এ কানেক্টর (কম্পিউটার সংযোগের জন্য) এবং অপর প্রান্তে টাইপ-বি কানেক্টর (পেরিফেরাল ডিভাইস সংযোগের জন্য) ব্যবহার করা হতো। 

শুরুর দিকের ইউ এস বি ১.০ ক্যাবল

ইউএসবি প্রযুক্তির সবচেয়ে যুগান্তকারী বৈশিষ্ট্য ছিল এর অন্তর্নির্মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ডিভাইসগুলোকে আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজন হতো না, বরং একই কেবলের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হয়েছিল। এই উদ্ভাবনই ইউএসবিকে পূর্ববর্তী সকল সংযোগ প্রযুক্তির তুলনায় বেশি ব্যবহারকারীবান্ধব ও কার্যকর করে তোলে।

তবে, প্রথমদিকে ইউএসবি ১.০ তেমন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ১৯৯৮ সালে অ্যাপলের আইম্যাক (যাতে ফ্লপি ড্রাইভ না থাকলেও ইউএসবি পোর্ট ছিল) এবং মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ ৯৮ (ইউএসবি সাপোর্ট সহ) বাজারে এলে পরিস্থিতি বদলে যায়। ২০০০-এর দশকের শুরুতে ইউএসবি ২.০ এর মাধ্যমে উচ্চগতি এবং ২০১০-এর দশকে ইউএসবি-সি কানেক্টরের মাধ্যমে রিভার্সিবল ডিজাইন যুক্ত হওয়ায় এটি আধুনিক প্রযুক্তির অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে। 

ইউএসবির উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব

ইউএসবির প্রতিটি সংস্করণের মূল লক্ষ্য ছিল তিনটি দিকে উন্নতি করা। গতি বৃদ্ধি, সার্বজনীনতা নিশ্চিত করা এবং শক্তি সক্ষমতা বাড়ানো। শুরু থেকেই ইউএসবির ডিজাইনকে সাশ্রয়ী ও ব্যবহারকারীবান্ধব রাখা হয়েছিল। পাতলা কেবল এবং সরল কানেক্টর ডিজাইনের কারণে এর উৎপাদন খরচও ছিল কম। এছাড়া সার্বজনীনতা ইউএসবির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, গেম কনসোল, এমনকি আধুনিক গাড়িতেও একই কেবল ব্যবহার করা যায়।

ইউএসবির বহুমুখী ব্যবহারই মূলত এটিকে যুগান্তকারী করে তুলেছে। এটি শুধু ডেটা ট্রান্সফারের জন্য নয়, চার্জিং, অডিও-ভিডিও ট্রান্সমিশন, এমনকি মনিটর সংযোগের জন্যও ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইউএসবি ৪-এর থান্ডারবোল্ট ৩ সামঞ্জস্যতা এবং ইউএসবি-সি কনেক্টরের সাহায্যে একটি মাত্র পোর্টে MacBook চার্জ করা, ৮K মনিটর কানেক্ট করা এবং এক্সটার্নাল SSD-তে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব। অন্যদিকে, ইউএসবি৪ ২.০-এ ২৪০W পাওয়ার ডেলিভারি যুক্ত হওয়ায় ল্যাপটপ বা উচ্চক্ষমতার ডিভাইস সরাসরি চার্জ করা যায়। যেটি traditional পাওয়ার অ্যাডাপ্টারের প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দিয়েছে।

ইউএসবির প্রযুক্তিগত বিবর্তনের প্রভাব:

  • সাশ্রয়ী মূল্য: সস্তায় উৎপাদনযোগ্য হওয়ায় ইউএসবি বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
  • ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড: সব ডিভাইস নির্মাতারা ইউএসবিকে মান্যতা দিয়েছে, ফলে কেবল জঞ্জাল কমেছে।
  • উচ্চ-প্রযুক্তির চাহিদা পূরণ: ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, AI, ১৬K ডিসপ্লে, বা গেমিং ডিভাইসের মতো অ্যাডভান্স টেকনোলজির জন্য ইউএসবি৪ ২.০ (৮০ Gbps) অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
  • পরিবেশবান্ধব সমাধান: একাধিক ডিভাইসে একই কেবল ব্যবহার করে ই-বর্জ্য কমাতে ভূমিকা রাখছে।

ইউএসবির সংস্করণের বিবর্তন ও বৈশিষ্ট্য

২০০০: ইউএসবি ২.০ (“হাই-স্পিড ইউএসবি”)

ইউএসবি ২.০ ২০০০ সালে চালু হয় এবং প্রতি সেকেন্ডে ৪৮০ মেগাবিট (Mbps) গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষমতা নিয়ে আসে। এটি পূর্ববর্তী ইউএসবি ১.১-এর তুলনায় ৪০ গুণ দ্রুত। এই সংস্করণটি পেনড্রাইভ, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টারের মতো সাধারণ ডিভাইসের জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে। 

এছাড়া এটি ৫০০ mA পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারত, যা ছোট ডিভাইসগুলিকে চার্জ করতে সাহায্য করত। ইউএসবি ২.০-এর সাফল্য ডেটা শেয়ারিং এবং চার্জিংকে আরও সহজলভ্য করে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা পাল্টে দেয়।

২০০৮: ইউএসবি ৩.০ (“সুপারস্পিড ইউএসবি”)

২০০৮ সালে ইউএসবি ৩.০ চালু হওয়ার পর ডেটা ট্রান্সফার গতি বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি সেকেন্ডে ৫ গিগাবিট (Gbps)। যা ইউএসবি ২.০-এর চেয়ে ১০ গুণ বেশি। এই সংস্করণে প্রথমবারের মতো দ্বি-দিকনির্দেশনি বাস (ফুল-ডুপ্লেক্স) চালু করা হয়। যার মাধ্যমে ডেটা একইসাথে পাঠানো ও গ্রহণ করা যায়। ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ও কেবলকে নীল রঙে চিহ্নিত করা হয় ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। এছাড়া এটি ৯০০ mA বিদ্যুৎ সরবরাহ করে দ্রুত চার্জিং সক্ষম করে।

ইউএসবি ৩.০

২০১৯: ইউএসবি ৪

ইউএসবি ৪ ২০১৯ সালে চালু হয় এবং প্রতি সেকেন্ডে ৪০ গিগাবিট (Gbps) গতি অর্জন করে। এটি ইউএসবি ৩.২-এর তুলনায় দ্বিগুণ। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল থান্ডারবোল্ট ৩ প্রোটোকলের সাথে সামঞ্জস্যতা। যার ফলে একই পোর্টে ডেটা, ৪K/৮K ভিডিও স্ট্রিমিং এবং পাওয়ার ডেলিভারি সম্ভব হয়। ইউএসবি-সি কনেক্টরের রিভার্সিবল ডিজাইন ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক হয়ে ওঠে। 

ইউএসবি ৪.0

এছাড়া ডাইনামিক ব্যান্ডউইথ টেকনোলজির মাধ্যমে ডেটা ও ভিডিও ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যান্ডউইথ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বণ্টণ হয়, যা ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং মনিটরের মতো ডিভাইসগুলিকে একটি মাত্র কেবলে সংযুক্ত করার সুযোগ দেয়।

২০২২: ইউএসবি ৪.২.০

২০২২ সালে চালু হওয়া ইউএসবি ৪.২.০ প্রতি সেকেন্ডে ৮০ গিগাবিট (Gbps) গতিতে পৌঁছায়। এতে ডেটা টানেলিং প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। এবং ডেটা প্যাকেট সংকোচনের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। ইউএসবি-সি কনেক্টরটি আপগ্রেড করে ২৪০W পর্যন্ত পাওয়ার ডেলিভারি সম্ভব হয়। যার মাধ্যমে  সরাসরি ল্যাপটপ বা মনিটর চার্জ করা যায়। এছাড়া এটি ১৬K রেজোলিউশনের ডিসপ্লে সমর্থন করে। পাশাপাশি, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি, AI এবং উচ্চ-পর্যায়ের গেমিং ডিভাইসের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খোলে এই  ইউএসবি ৪.২.০ । 

ইউএসবি ৪.২.০

ইউএসবি টাইপ এ, বি থেকে সি– কোনটা কবে এলো? 

ইউএসবির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে টাইপ-এ এবং টাইপ-বি কানেক্টর এর মধ্য দিয়ে। টাইপ-এ, তার সমতল ও আয়তাকার ডিজাইনের জন্য শুরু থেকেই কম্পিউটার, টিভি বা গেম কনসোলের জন্য স্ট্যান্ডার্ড হয়ে ওঠে। একই বছর চালু হওয়া টাইপ-বি (প্রায় বর্গাকার) মূলত প্রিন্টার, স্ক্যানারের মতো ডিভাইসে ব্যবহৃত হতো। 

তবে সময়ের সাথে মোবাইল ডিভাইসের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২০০০-এর দশকে আসে মিনি-ইউএসবি। এটি ছোট ডিজাইনে তৈরি হওয়ায় ডিজিটাল ক্যামেরা বা ব্লুটুথ স্পিকারে জনপ্রিয় হয়। কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম থাকায় ২০০৭ সালে এর জায়গা দখল করে মাইক্রো-ইউএসবি। এটি আকারে আরও কম্প্যাক্ট। এর ফলে স্যামসাং, সনির পুরনো ফোন বা পাওয়ার ব্যাংকে ব্যাপকভাবে এর ব্যবহার শুরু হয়।

২০১৪ সালে ইউএসবির ইতিহাসে ঘটে যুগান্তকারী পরিবর্তন। অর্থাৎ ইউএসবি-সি এর আবির্ভাব। এটি প্রথম রিভার্সিবল ডিজাইনের কানেক্টর, অর্থাৎ যেকোনো দিকে প্লাগ করা যায়। প্রতি সেকেন্ডে ৪০ গিগাবিট গতি, ২৪০W পর্যন্ত পাওয়ার ডেলিভারি এবং থান্ডারবোল্ট ৩-এর সাথে সামঞ্জস্যতা এটিকে আধুনিক ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, গেম কনসোলের স্ট্যান্ডার্ড করে তোলে। 

অন্যদিকে, অ্যাপল ২০১২ সালে আইফোন ও এয়ারপডসে লাইটনিং কানেক্টর চালু করে। এটি ইউএসবি স্ট্যান্ডার্ড না হলেও দ্রুত জনপ্রিয় পেয়েছিল। কিন্তু ইউএসবি-সি-র বহুমুখীতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপে ২০২৩ সালে অ্যাপলও আইফোন ১৫-এ ইউএসবি-সি যুক্ত করতে বাধ্য হয়।

বর্তমানে টাইপ-এ এখনও ডেস্কটপে পেরিফেরাল সংযোগের জন্য টিকে থাকলেও, মিনি ও মাইক্রো-ইউএসবি প্রায় বিলুপ্তির পথে। টাইপ-বি শুধুমাত্র বিশেষ ডিভাইসে সীমিত। লাইটনিং ধীরে ধীরে ইউএসবি-সি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে। আর ইউএসবি-সি হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি জগতের একক স্ট্যান্ডার্ড। যেখানে একটি কেবলেই ডেটা ট্রান্সফার, মনিটর সংযোগ, এবং ল্যাপটপ চার্জিং সব সম্ভব হচ্ছে। এই বিবর্তন শুধু প্রযুক্তির গতিই বাড়ায়নি, এর সাথে সাথে ব্যবহারকারীদের জীবনযাপনও করেছে সহজ ও জঞ্জালমুক্ত! 

ইউএসবি কেবল একটি তার নয়, এটি প্রযুক্তি জগতের সংযোগকারী সূত্র। এর সরলতা, গতি ও বহুমুখীতাই একে টেক জায়ান্টদের মতো অ্যাপলকেও ইউএসবি-সি-তে রূপান্তর করতে বাধ্য করেছে। আজকের ডিজিটাল যুগে ইউএসবি শুধু ডেটা বহন করে না, বহন করে মানুষের সহজ জীবনযাপনের স্বপ্ন।

তথ্যসূত্র-  

Related posts

বাইন্যান্স: ক্রিপ্টোকারেন্সি জগতের বিপ্লব

শেখ আহাদ আহসান

যুদ্ধক্ষেত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এআই(AI)

২০২৫ সালে যেসব এআই স্মার্টফোন আসছে

শেখ আহাদ আহসান

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More