যখন সরকার তাদের কণ্ঠস্বর রোধ করতে সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করল, তখন নেপালের Gen Z রাজপথকেই বানিয়ে নিল তাদের যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম। লাগামহীন দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মের গর্জন বদলে দিয়েছে নেপালের ইতিহাস, নাড়িয়ে দিয়েছে দেশটির দুঃশাসনের সাম্রাজ্য।
ইতিহাস সাক্ষী, যেকোন বড় পরিবর্তনের পেছনে থাকে একটি স্ফুলিঙ্গ, যা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিকে মুহূর্তেই জাগিয়ে তুলতে পারে। ২০২৪ সালের পর সারা বিশ্ব আবারো নতুন প্রজন্মের ভেতরকার আগুনকে নতুন করে রাজপথে জ্বলে উঠতে দেখলো। এবারের আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে হিমালয়ের শান্ত দেশ নেপালে।
সেই ছোট্ট স্ফুলিঙ্গের কাজটি করেছিল সরকারের একটি সিদ্ধান্ত। তারা চেয়েছিল সোশাল মিডিয়ার এই যুগে নেপালের যত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সবকিছু নিষিদ্ধ করে দেবে।
সরকারের এমন গুরুতর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নেপালের তরুণ প্রজন্ম প্রতিরোধে নামে রাজপথে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকা মিছিল বা সমাবেশ ছিল না। এই আন্দোলনের পেছনে ছিল না কোন নেতা বা রাজনৈতিক দলের ইন্ধন। এই আন্দোলন এক স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রযুক্তি-নির্ভর আন্দোলন, যা নেপালের দূর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রকাঠামোর ভিত পুরোপুরি নাড়িয়ে দিয়েছে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক স্থবিরতায় হতাশ এক নতুন প্রজন্ম দেখিয়ে দিয়েছে যে, তাদের কণ্ঠস্বর ডিজিটাল মাধ্যমে রোধ করা গেলেও, রাজপথে তাদের গর্জন থামানো সম্ভব নয়।
আজকের লেখায় আমরা জানার চেষ্টা করব, কীভাবে এই আন্দোলনের শুরু হলো, এর পেছনের মূল কারণগুলো কী, কীভাবে এই আন্দোলন বাংলাদেশের মত সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলো।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
নেপালের Gen Z আন্দোলনের আগুন জ্বলে ওঠার জন্য যে বারুদ প্রয়োজন ছিল, তা কয়েক দশক ধরেই জমা হচ্ছিল। এর পেছনে ছিল প্রচুর সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ।
রাজনৈতিক স্থবিরতা ও দুর্নীতি
নেপালে দীর্ঘ সময় ধরে মাওবাদীদের প্রতাপ বিদ্যমান ছিল। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পর গণতন্ত্র ফিরে এলেও, তা সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে তরুণদের জীবনে খুব বেশি পরিবর্তন আনতে পারেনি। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বারবার ক্ষমতায় এসেছে, কিন্তু রাজনীতিবিদদের সীমাহীন দুর্নীতি, অদক্ষতা এবং নিজেদের মধ্যকার কোন্দল দেশের উন্নয়ন করতে পারেনি।
ব্যাপক বেকারত্ব
প্রতি বছর নেপালে হাজার হাজার তরুণ উচ্চশিক্ষা শেষ করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে, কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় তাদের একটি বড় অংশই বিদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায়, শ্রমিকের কাজ করতে যেতে বাধ্য হচ্ছে। মেধা পাচারের এই করুণ অবস্থা তরুণদের মধ্যে এক গভীর হতাশা আর বঞ্চনার জন্ম দিয়েছে।
নেপো কিড’ (Nepo Kid) বিষয়ক অভিযোগ
নেপালের রাজনৈতিক দল আর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়গুলোতে স্বজনপ্রীতি বা নেপোটিজম এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে বলে তরুণদের মধ্যে একটি ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তারা দেখেছে যে, বড় বড় রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা আমলাদের সন্তানেরা কোনো যোগ্যতা ছাড়াই গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, যেখানে সাধারণ ঘরের মেধাবী তরুণদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। এই ‘নেপো কিড’ সংস্কৃতি তরুণদের মধ্যে এক তীব্র ক্ষোভ এবং অবিচারের অনুভূতি তৈরি করেছে।
এই হতাশার মধ্যেই তরুণদের জন্য তাদের মত প্রকাশ এবং একে অপরের সাথে সংযুক্ত হওয়ার প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছিল ফেসবুক টিকটক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এটি ছিল তাদের নিজস্ব জগৎ, যেখানে তারা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, এই মাধ্যমটিও তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ায় নেপাল সরকার কফিনে শেষ পেরেক মারার মত মস্ত বড় ভুল করে বসে।
আগুনে ঘি: সামাজিক মিডিয়া নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নেপাল সরকার টিকটক, ফেসবুকসহ মোট ২৬টি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারের যুক্তি ছিল, এই প্ল্যাটফর্মগুলো তরুণদের মধ্যে অশ্লীলতা এবং বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন ছড়াচ্ছে। এছাড়াও গুজব ছড়ানো আর জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার বিষয়টিও তারা সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে দেখায়।
কিন্তু নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে Gen Z-এর কাছে সোশাল মিডিয়া কেবলই যোগাযোগের মাধ্যম নয়। এটি তাদের আলাদা এক জগৎ, স্বাধীনতা চর্চার একটি স্বতন্ত্র মাধ্যম।
এ কারণে সরকারের সিদ্ধান্তটি ছিল তাদের কণ্ঠস্বর এবং স্বাধীনতা, সর্বোপরি তাদের অস্তিত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ। যে প্ল্যাটফর্মটি ছিল তাদের বিনোদন, শিক্ষা এবং প্রতিবাদের একমাত্র আশ্রয়, সেটি কেড়ে নেওয়াকে তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তাদের কাছে এটি ছিল এক paternalistic বা অভিভাবকসুলভ আচরণ, যা তাদের বুদ্ধিমত্তাকে অপমান করে।
সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্তই যেন তাদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা সমস্ত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা বুঝতে পারে যে, শুধুমাত্র অনলাইনে প্রতিবাদ আর যথেষ্ট নয়; এবার রাস্তায় নামার সময় এসেছে।
সংগঠনের নতুন কৌশল: Discord, VPN এবং নেতাহীন নেতৃত্ব
কোন সরকার যখন ভাবে, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দিলেই তরুণদের সংগঠিত হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে, তখন আসলে তারা আধুনিক পৃথিবীর আধুনিকতম প্রজন্মের প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকেই খাটো করে দেখে। আর এখানেই ভুল করে বসে সরকারপ্রধানেরা। একটি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করলে আরও দশটি পন্থা অবলম্বন করে যে যোগাযোগ করা যায়, এনালগ প্রজন্মের মানুষের কাছে এই বিষয়টি ভাবনারও বাইরে।
তাই তো, নেপালের আন্দোলনকারীরা খুব দ্রুতই তাদের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে Discord এবং Telegram -এর মতো এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্মগুলোকে বেছে নেয়। Discord, যা মূলত গেমারদের মধ্যে জনপ্রিয়, তা হয়ে ওঠে আন্দোলনের ভার্চুয়াল সদর দপ্তর। এখানে বিভিন্ন সার্ভার এবং চ্যানেল তৈরি করে, আন্দোলনকারীরা তাদের পরবর্তী কর্মসূচির পরিকল্পনা করত, পোস্টার ডিজাইন করত, এবং আইনি সহায়তার জন্য তথ্য শেয়ার করত।
এছাড়া, সরকারি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে, তরুণরা VPN (Virtual Private Network) ব্যবহার করে সরকারের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে সক্রিয় থাকে এবং সারা বিশ্বকে তাদের আন্দোলনের খবর জানাতে থাকে। তাদের মাধ্যমেই #NepalProtest এবং #GenZRevolution-এর মতো হ্যাশট্যাগগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এত সফল একটি আন্দোলনের পেছনে কোনো একক নেতৃত্ব বা কোন নেপথ্য নায়ক ছিল না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তরুণ শিল্পী, আইটি পেশাদার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। এই বিকেন্দ্রীভূত কাঠামো সরকারকে বিভ্রান্ত করে দেয় কারণ আন্দোলন দমন করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ‘মাথা’ ছিল না। ফলে আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষই আন্দোলনের নেতা হয়ে উঠে।
এই নতুন ধারার সংগঠন প্রমাণ করে যে, Gen Z শুধু প্রযুক্তির ভোক্তা নয়, তারা প্রয়োজনে প্রযুক্তিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষমতাও রাখে।
আন্দোলনের মূল দাবি: অ্যাপের চেয়েও বেশি কিছু
বাংলাদেশে যেমন কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি ধীরে ধীরে রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। নেপালের আন্দোলনও ঠিক তেমনভাবেই সংঘটিত হয়। জেন-জি আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের প্রতিবাদে, কিন্তু খুব দ্রুত এই দাবিগুলো আরও ব্যাপক রূপ নেয়। এটি তখন আর শুধু একটি অ্যাপ ফিরিয়ে আনার লড়াই ছিল না, এটি হয়ে ওঠে নেপালের পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর সংগ্রাম।
আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
১. সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর সব ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ করার দাবি।
২. দুর্নীতিবাজদের বিচার: দেশের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচার এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি।
৩. ‘নেপো কিড’ সংস্কৃতির অবসান: সরকারি ও বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে নিয়োগের জন্য মেধাভিত্তিক এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা চালু করার দাবি।
৪. নতুন সংবিধান বা সংস্কার: অনেকেই বর্তমান সংবিধানের সংস্কার বা এমনকি একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তুলেছে, যা তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে এবং দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে।
৫. অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি: দেশের ভেতরে তরুণদের জন্য সম্মানজনক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে সরকারের কাছে একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা দাবি করা হয়েছে।
নেপালের Gen Z আন্দোলনের ভবিষ্যৎ: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
নেপালের এই Gen Z আন্দোলন দেশটির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর ভবিষ্যৎ কোন পথে যাবে, তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। কারণ আন্দোলনের পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়। এই আন্দোলন নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পুরনো এবং অকার্যকর রাজনীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করছে। তারা বুঝতে পারছে যে, তরুণ প্রজন্মকে আর উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।
এছাড়া, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কোনো দলীয় পরিচয় ছাড়াই বেশ কিছু স্পষ্টভাষী ও মেধাবী মুখ সামনে এসেছে, যারা ভবিষ্যতে নেপালের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরেকটি বিষয় হলো, এই ধরনের আন্দোলন জনগণের অধিকারবোধ আরও বাড়িয়ে দেয়।
যা দেশটিতে এক নতুন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে, যেখানে প্রশ্ন করা এবং জবাদিহিতা দাবি করা হয়ে উঠবে একটি স্বাভাবিক বিষয়।
তবে এই আন্দোলন দেশটিকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি ফেলতে পারে, যেমনটি বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মত দেশগুলোও পড়েছে। যেমন+ কোনো একক নেতা বা দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো না থাকায়, এই ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে দীর্ঘ সময় ধরে টিকিয়ে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, হাতে হাত রেখে একসাথে কাজ করলে যেকোনো স্বাধীন দেশের পক্ষেই এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।
বাংলাদেশের মত নেপালের তরুণেরাও দেখিয়ে দিয়েছে যে, যখন একটি প্রজন্মকে কোণঠাসা করে দেওয়ার অপচেষ্টা হয়, তখন আর তারা নীরবে বসে থাকতে পারে না। তারা তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান, নিজস্ব সাংগঠনিক শক্তি আর দেশপ্রেম দিয়ে যেকোনো বিদ্যমান রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা রাখে।
এই আন্দোলনের চূড়ান্ত ফলাফল যা-ই হোক না কেন, এটি ইতোমধ্যেই সফল। কারণ এই জেন জি আন্দোলন নেপালের তরুণদের মনে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে এবং প্রমাণ করেছে যে, সবাই সংগঠিত হলে যেকোনো পরিবর্তন সম্ভব এবং তা অতি অল্প সময়েই। এই তরুণদের গর্জন হয়তো এক নতুন এবং আরও গণতান্ত্রিক নেপালের সূর্যোদয়েরই পূর্বাভাস দিচ্ছে সারা পৃথিবীর মানুষকে।
তথ্যসূত্র-
- https://www.jagonews24.com/international/news/1051708
- https://www.deshrupantor.com/622369/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E2%80%98%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E2%80%99-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%9B%E0%A7%87
- https://banginews.com/web-news?id=3c1ff511e67ec2dbae7c255489f51d4972deb0c1
- https://www.ittefaq.com.bd/752031/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE
- https://www.jagonews24.com/international/news/1052438