Image default
ঘটমান বর্তমান

২০২৫ সালে ট্রাম্প প্রশাসনের যত পাঁয়তারা ও প্রভাব

প্রথম মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পরই তার বৈদেশিক নীতি বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি অনুযায়ী, তিনি সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সবচেয়ে আগে রেখেছেন। প্রথম মেয়াদেই তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি, ন্যাটো এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেছিলেন।

বর্তমানে, ট্রাম্পের এসব নীতির প্রভাব এখনও স্পষ্ট। এর ফলে, কিছু দেশের মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচিত হচ্ছে, যা আজকের বিশ্বে ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির স্থায়ী প্রভাব বজায় রাখার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্পের জলবায়ু নীতির প্রভাব

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

কপ-২৯ সম্মেলন

ট্রাম্প প্রশাসন পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (EPA)-এর নেতৃত্বে, শিল্প লবিস্ট এবং আইনজীবীদের নিয়োগ করেছে। এবং এই ব্যক্তিরা জলবায়ু পরিবর্তনকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করতেন না। জ্বালানি নীতির ক্ষেত্রে, ট্রাম্প প্রশাসন জীবাশ্ম জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে এবং কার্বন নিঃসরণের জিরো টলারেন্স নীতিগুলোরও সমালোচনা করছেন। এই পরিবর্তনগুলি বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ট্রাম্পের এই নীতিগুলোর প্রভাব বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উদ্বেগজনক। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং কৃষি উৎপাদনশীলতার হ্রাসের মতো সমস্যাগুলো আরও প্রকট হতে পারে। তবে, জলবায়ু কর্মীরা ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। 

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি ও বাংলাদেশের শ্রমবাজার 

উন্নত জীবনের আশায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অভিবাসন প্রত্যাশীদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সই করেছেন একাধিক নির্বাহী আদেশে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে। 

যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত প্রবাসী বাঙালি

ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপরেও। প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব এবং পড়াশোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চাওয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আরও যাচাই–বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এই সুযোগ কমে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যেতে পারে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতি ও বাংলাদেশের রপ্তানির ভবিষ্যৎ 

ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে জটিল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন আবারও সংরক্ষণবাদী বাণিজ্য নীতিতে জোর দিচ্ছে, যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিশ্ববাণিজ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।  

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, যার ফলে বিশ্ব বাজারে চীনা পণ্যের প্রতিযোগিতা কমে গেছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আমদানিকারক এখন চীনের বিকল্প সরবরাহকারী খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প একটি সম্ভাবনাময় বিকল্প হিসেবে গন্য হতে পারে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল এবং হালকা শিল্পজাত পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তবে এই ইতিবাচক সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দেওয়া বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগের ফলে রপ্তানি হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ট্রাম্পের বৈদেশিক সাহায্য নীতির প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশের পর বাংলাদেশে USAID অর্থায়নে কিছু উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বৈদেশিক সহায়তা কমিয়ে এনে নিজ দেশে অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে পারছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। 

USAID চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তাদের সাথে চুক্তি করা প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন বন্ধ রাখা হবে। এতে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ ও অন্যান্য খাতের প্রকল্পগুলোতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে, রোহিঙ্গাদের জন্য মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে, তবে তার পরিমাণে পরিবর্তন হতে পারে। 

বাংলাদেশে মার্কিন সামরিক সহায়তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকল্পের পিইপিএফএআর (এইচআইভি/এইডস প্রজেক্ট) কর্মসূচি বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে ৪৫ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নীতির কারণে এই সহায়তা স্থগিত হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই স্থগিতাদেশ ৯০ দিনের রিভিউ পিরিয়ডের পর পুনঃমূল্যায়ন করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে কী ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে তা নির্ভর করবে চীন ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ওপর।       

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে চীন নীতি: বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতার সম্ভাবনা  

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির আওতায় চীনের বিরুদ্ধে কঠোর বাণিজ্যিক অবস্থান বজায় থাকার ইঙ্গিত মিলছে। প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় শুরু হওয়া ‘শুল্ক যুদ্ধ’ নতুন করে জোরদার হতে পারে। আর এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই হুয়াওয়ে, টিকটকসহ চীনা প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং মানবাধিকার ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।  

বিশ্ব অর্থনীতিতে এই টানাপোড়েনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর। রপ্তানি হ্রাস, কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে। পাশাপাশি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (WTO) চীনের প্রভাব বৃদ্ধির ফলে কূটনৈতিক উত্তেজনাও বাড়তে পারে। 

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য নীতির বিশ্ব নিরাপত্তায় প্রভাব

ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প, মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহ্যগত কূটনীতির পরিবর্তে কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিলেন, বিশেষত ইরান এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে। 

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে, তিনি ইসরাইল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর জন্য ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস’ চুক্তি সম্প্রসারণ করতে পারেন। এই চুক্তির ফলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলবে। 

তবে, ফিলিস্তিন ইস্যু এবং ইরান সম্পর্কিত নীতির বিষয়ে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত থাকবে। ট্রাম্পের নীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে আনা, যা মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা খাতের জন্য নতুন বাস্তবতা তৈরি করবে। এর ফলে, অঞ্চলটি চীনা এবং রাশিয়ান প্রভাব বাড়ানোর জন্য আরও খোলামেলা হয়ে উঠতে পারে।

ট্রাম্পের রাশিয়া নীতি 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শাসনকালে রাশিয়া নীতি এবং তার প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসে। তার “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতি রাশিয়ার প্রতি এক ধরনের নমনীয়তা প্রদর্শন করেছিল। ট্রাম্প বারবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন এবং দুই দেশের সম্পর্ককে পুনর্গঠনের জন্য আগ্রহী ছিলেন, যা পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল। 

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কর্মকাণ্ডের পরেও ট্রাম্প ও তার প্রশাসনে কখনোই রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেননি, যা আন্তর্জাতিক সমাজে তার নীতির প্রতি সন্দেহ তৈরি করেছিল।

এছাড়া, ট্রাম্পের ন্যাটো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি মনোভাবও ছিল কঠোর। তিনি ইউরোপীয় দেশগুলোর উপর চাপ দিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন, যার ফলে ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ইউক্রেনের সংকট এবং ক্রিমিয়া দখলের পর এই বিভাজন রাশিয়াকে তার প্রভাব বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দেয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে p: বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অস্থিরতার ছাপ

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর, তার স্বাস্থ্য নীতি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গভীর অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে সরে দাঁড়ায়, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য খাতে এক বিশাল ধাক্কা। 

যুক্তরাষ্ট্র WHO-এর অন্যতম প্রধান দাতা দেশ ছিল, যার বাৎসরিক সহায়তা ছিল প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন ডলার। এই সহায়তা বন্ধ হওয়ার ফলে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ, টিকাদান কর্মসূচি, এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণায় বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়।

USAID-এর টিকাদান কর্মসূচি

বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব ছিল স্পষ্ট। USAID এর মাধ্যমে পরিচালিত এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যায়। এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে সহায়তা করা প্রকল্পগুলিও ব্যাহত হয়। আইসিডিডিআর,বি-এর মতো প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়, যা দেশের স্বাস্থ্য গবেষণা ও সেবাখাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এই সহায়তার অভাবে সংক্রামক রোগের প্রকোপ বাড়বে এবং স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান হ্রাস পাবে। ট্রাম্পের নীতিগুলো শুধু স্বাস্থ্যখাতে নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ডোনাল্ড টাম্প এর ‘লেটস আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ লেখা ক্যাপ

ট্রাম্পের আমেরিকা “ফার্স্ট নীতি” যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে  বাণিজ্য সুরক্ষা, ট্যারিফ বৃদ্ধি, এবং বহুজাতিক বাণিজ্য চুক্তি থেকে সরে আসার মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য নিশ্চিতের চেষ্টা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অভিবাসন নীতিতেও ছিল কঠোরতা, যা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার ও অবৈধ অভিবাসন রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তবে সমালোচকরা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব হ্রাস এবং মিত্রদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করবে বলে মনে করেন। আর সমর্থকদের মতে, এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, এবং জাতীয় সুরক্ষায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

সোর্স

Related posts

বিপ্লবের রঙ – রঙ যেখানে আন্দোলনের পরিচয়

‘কিংস পার্টি’ বাহাস: শুরুতে আলোচনায়, শেষে ধরাশায়ী

তালেবান-পাকিস্তান: বন্ধু থেকে শত্রু

ইসরাত জাহান ইরা

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More