Image default
ইতিহাস ১০১

ছাত্র লীগের ইতিহাস: ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, এবং ২০২৫ সালের বিতর্কিত বাস্তবতা

“এক সময় ভাষার জন্য লড়াই করা ছাত্ররা”—আজ বিতর্কের কেন্দ্রে। ছাত্রলীগের গৌরবময় ইতিহাস আর প্রশ্নবিদ্ধ বাস্তবতার মুখোমুখি সাক্ষাৎ।”

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস বলতে গেলে যে নামটি প্রথমেই উচ্চারিত হয় তা হলো বাংলাদেশ ছাত্র লীগ। ১৯৪৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি একসময় ছিল ভাষা আন্দোলন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অগ্রভাগের লড়াকু শক্তি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ছাত্রলীগের ভূমিকা জাতির ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায়।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংগঠনটি আজ এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা আর গণতান্ত্রিক আদর্শের বদলে এখন তাদের বিরুদ্ধে শোনা যায় দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সহিংসতার অভিযোগ। 

২০২৫ সালের বাংলাদেশে ছাত্রলীগকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে  সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল, সেটি কি আদৌ টিকে আছে? নাকি গৌরবময় ইতিহাসের আড়ালে লুকিয়ে আছে ভিন্ন এক বাস্তবতা? 

ছাত্র লীগের ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের একটি কক্ষে জন্ম নেয় বাংলাদেশ ছাত্র লীগ। মুসলিম লীগ সরকারের নীতি-আদর্শে অসন্তুষ্ট ছাত্রসমাজকে একটি অভিন্ন ছাতার নিচে আনার জন্যই তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে সংগঠনটি গড়ে ওঠে। 

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়া ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি মজবুত করার  লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ছাত্রলীগ। আদৌও কি সেই লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি। 

চলুন জেনে আসি ‌..

১৯৪৮ সালে ছাত্র লীগ গড়ে ওঠার গল্প

পাকিস্তানি শাসনের প্রথম বছরগুলোতে বাংলা ভাষাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটে তরুণ শেখ মুজিব এবং তাঁর সহকর্মীরা উপলব্ধি করেন, ছাত্রসমাজকে সংগঠিত না করলে কোন ভাবেই ভাষা ও অধিকার রক্ষা সম্ভব হবে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে জন্ম নেয় একটি ঐক্যবদ্ধ সংগঠন “ছাত্র লীগ”।

সংগঠনটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক লড়াই নয় বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যম হিসেবেও কাজ করেছে।

ভাষা আন্দোলনে ছাত্র লীগের অবদান

সেসময়ে “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ”  আত্মপ্রকাশ করেছিল “স্টার্টআপ টিম” হিসেবে । ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েই তারা নেমে পরেছিল দেশের সবচেয়ে বড় প্রজেক্টে “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই”।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল কলেজ—যেখানেই মিছিল, সেখানেই ছাত্র লীগের “অ্যাক্টিভ টিম”। পোস্টার, লিফলেট, স্লোগান সব কিছু তারা নিজেরাই বানাত।

তারা শুধু নিজেরা মিছিল করেনি বরং আশপাশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে একসাথে টেনে এনেছে মিছিলে ।

ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের মিছিল

ফলাফল? আন্দোলনটা হয়ে উঠেছিল দেশব্যাপী এক ভাইরাল ক্যাম্পেইন। ১১ মার্চ ১৯৪৮-এর ধর্মঘট, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২-র গুলিবর্ষণের দিনও তারা ছিল সামনের কাতারে। সম্মুখ যোদ্ধাদের মতো ভাষার জন্য লড়ে গেছে সংগঠনটি। 

তৎকালীন সময়ে ছাত্র লীগ ছিল তরুণদের “পাওয়ারহাউস”। যারা ঘাম আর সাহস দিয়ে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে নিজেদের নাম লিখেছে ‌।

১৯৭০ সালের নির্বাচন ও ছাত্র লীগের ভূমিকা

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পাকিস্তানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। পূর্ব পাকিস্তান জনসংখ্যায় বেশি হলেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের দখলে ছিল। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণ স্পষ্ট প্রতিবাদ হিসেবে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে জয়ী করে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত সংগঠনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। ৭০’র নির্বাচনে তারা মূলত আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করেছে।

তারা ঘরে ঘরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালানো বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ও মুক্তির স্লোগান জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ গুলো সংগঠনটি করেছে।

এই সময় ছাত্রলীগ কার্যত হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগের ‘যুব শাখা’। ছাত্র লীগ কেবল নির্বাচনী সহায়ক ছিল না বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সক্রিয় চালিকা শক্তি। যা পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পথকে  সুগম করে।

মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র লীগের অবদান

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র লীগ ছিল জাতির যুবশক্তি ও আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। তারা কেবল রাজনৈতিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি করেনি, বরং সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, গোয়েন্দা সংগ্রহ, অস্ত্র ও খাদ্য সরবরাহ, এবং মুক্তিকামী বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগ্রামকে শক্তিশালী করেছে। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের হাজার হাজার সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন। কেউ কেউ গেরিলা ইউনিটে, কেউ বা রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ছাত্রলীগ এক বিশাল আত্মত্যাগের নাম।তাদের অনেক নেতা-কর্মী শহীদ হন, অনেকে আহত বা নিখোঁজ হন।

ছাত্র লীগ নেতা ও সদস্যরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে ছড়িয়ে দিয়েছেন, এবং আদর্শগতভাবে দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের মূল্যবোধ প্রচার করেছেন। তাদের উদ্যোগ, নৈতিক প্রভাব এবং সংগঠিত নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধকে গণপরিপূর্ণ ও সুসংগঠিত করেছে।

এক কথায় বলতে গেলে, ছাত্র লীগ ছিল মুক্তিযুদ্ধের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা স্বাধীনতার অর্জনে নায়কের পরিচয় দিয়েছে।

স্বাধীনতার পর ছাত্র লীগের নাম পরিবর্তন ও রূপান্তর

অবিভক্ত পাকিস্তানের সর্বপ্রথম ছাত্র সংগঠন এটি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় নতুনভাবে গড়ে ওঠে। যারফলে স্বাধীন রাষ্ট্রের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ছাত্র লীগেরও নিজস্ব পরিচয় পুনঃনির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দেয়। পূর্ব পাকিস্তান ও পাকিস্তানি প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত “পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ” নামটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য  মোটেও উপযুক্ত ছিল না।

পূর্ব পাকিস্তান ভিত্তিক রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নাম পরিবর্তন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৯৭২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ” নামটি বদলে সংগঠনের নাম বাংলাদেশ ছাত্র লীগ রাখা হয়। নামের পরিবর্তনের মাধ্যমে ছাত্র লীগের পরিচয় নতুন স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত হয়।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বাংলাদেশ ছাত্র লীগ (BCL) একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে  রয়েছে । এটি কেবল একটি শিক্ষার্থী সংগঠন নয়, বরং দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছাত্র লীগের ইতিহাস আমাদের দেখায় কিভাবে শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত দেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। ছাত্রলীগের ইতিহাস ছিলো এক গৌরবান্বিত ইতিহাস। ছাত্র লীগ বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিকে দেশপ্রেম, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের জন্য আত্মত্যাগের প্রতীক হলেও তাদের কার্যক্রম নিয়ে জনমনে বিতর্ক কম নয়। 

চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

ছাত্রলীগের প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতি

প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, বিশেষত ১৯৯০-এর দশকের পর, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনটিকে তাদের অঘোষিত লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে।

স্বাধীনতার জন্য প্রতিষ্ঠিত ও সংগ্রামী সংগঠনটি ধীরে ধীরে কালের পরিক্রমায় রাজনৈতিক দলের স্বার্থসিদ্ধির একটি হাতিয়ার হয়ে উঠে। বিগত ১৫ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেন্ডারবাজি, ভর্তি বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতা, এমনকি হত্যাকাণ্ডের মতো নানা ঘটনা ঘটিয়েছে  আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল সংগঠন ছাত্রলীগ।

ক্যাম্পাসে অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাস

বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (DU) ছাত্র লীগ বিভিন্ন সময় সংবাদ শিরোনামে এসেছে তাদের এসব অপকর্মের জন্য। অথচ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে।

ছাত্রলীগের সহিংসতা 

বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগ্রামে প্রথম সারিতে ছাত্রলীগ থাকলেও বিগত কয়েক বছর সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। সংগঠনটি নির্যাতন, চাঁদাবাজি, সহিংসতা, জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি প্রভৃতিসহ নানা অভিযোগে জর্জরিত। ছাত্রলীগের হামলায় ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১৬২ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ২০০৯ সাল থেমে ২০১৪ সালের মধ্যেই ১৫০০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। 

বিশ্বজিৎ হত্যা

এমনকি ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০০ বার সংঘর্ষে জড়িয়েছে, এতে নিজেদের ৫৫ জন কর্মী মারা গিয়েছে। তাছাড়াও জুলাই গণহত্যায় পুলিশ ও ছাত্রলীগের যৌথ হামলায় ১,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী নিহত এবং ১৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়। বিগত কয়েক বছরের ছাত্রলীগের ইতিহাস ঘাটলে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ, জুবায়ের, আবু বকর সহ আলোচিত আরো অনেক হত্যাকাণ্ড সামনে আসবে।

ছাত্র লীগের বর্তমান অবস্থা (২০২৫)

জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে এবং সন্ত্রাসী কার্যের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সালে অ্যান্টি-টেরোরিজম অ্যাক্ট , ২০০৯” এর আওতায় ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ছাত্র লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে । যার ফলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। অতীতে ছাত্র লীগ বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর ছাত্রলীগের আক্রমণ

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের ইতিহাস গভীর ও সমৃদ্ধ। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তারা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। 

ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত এবং আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো কখন ও কীভাবে আবার সক্রিয় হবে।

রেফারেন্স:

Related posts

পরীক্ষার জন্ম: যেভাবে হাজার বছরের এক চীনা উদ্ভাবন শাসন করছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা

জামদানি – রঙে নকশায় তাঁতে লেখা কবিতা

নস্টালজিয়া যখন মারাত্মক অসুখ!

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More