Image default
রহস্য রোমাঞ্চ

চিলির শয়তানের মন্দির – শয়তান যেখানে মুক্তির পথ

এখানে একবার পা দিলেই গা শিউরে ওঠে। যেখানে যুক্তি ও বাস্তবতা অস্পষ্ট হয়ে যায়, আর চারপাশে শুধু থাকে ভয়ের মায়াজাল। এমনকি বাতাসও সেখানে যেন ভয়ে থরথর কাঁপে!

ভুমিকা 

এক রাতে, শহরের ডাউনটাউনের এক স্থানে ১৫ জন মানুষের একটি দল একত্রিত হয়। চারপাশে ছড়ানো তামাকের গন্ধ আর মৃদু ধূপের ঘ্রাণে পরিবেশ যেন ভারী হয়ে উঠেছিল। তাদের সামনে ওয়াইনের বোতল, ধূপের গন্ধ, আর টিমটিম করে জ্বলছে কালো মোমবাতি। টেবিলে থাকা ওয়াইনের বোতল ভাগাভাগি করতে করতে তাদের মুখে একরকম শান্ত ও গভীর প্রশান্তি ফুটে উঠেছে। এরা কেউ সান্তিয়াগোর সাধারণ নাগরিক নয়! এরা সবাই শয়তানের মন্দিরের সদস্য।

এদের আসল উদ্দেশ্য কী? চিলির মতো রক্ষণশীল ক্যাথলিক প্রভাবিত সমাজে একটি শয়তানের মন্দিরের উপস্থিতি গভীর আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই মন্দির যেমন রহস্যপ্রিয় মানুষদের আকর্ষণ; একই সাথে এটি বিতর্কেরও ঝড় তুলছে।

স্যাটানিজম বা শয়তানবাদ কী

শয়তানবাদ বা স্যাটানিজম একটি মতবাদ যেখানে, শয়তানকে কেন্দ্র করে এক আদর্শ গড়ে তোলা হয়েছে। সাধারণত, শয়তানকে নেতিবাচকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। তবে, স্যাটানিজমের অনুসারীরা শয়তানকে বিদ্রোহ এবং মুক্তির দেবতা হিসেবে দেখে। শয়তানবাদের শুরু হয় প্রাচীন ইউরোপে। স্যাটানিজমকে কেন্দ্র করে ইউরোপে অনেক গুপ্ত সংঘ গঠিত হয়। বহুল আলোচিত ইলুমিনাতিও স্যাটানিজমে বিশ্বাসী। ধারণা করা হয়, চিলিতে স্যাটানিজমের চর্চা শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর দিকে। 

চিলিতে শয়তানবাদের ধারনা 

চিলিতে শয়তানবাদের ধারনা

চিলিতে শয়তানবাদের শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়। এইসময় দেশের একাংশ ধর্মীয় শৃঙ্খলা ভেঙে মুক্তচিন্তার চর্চা শুরু করে। মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং উপনিবেশের প্রভাবের কারণেই খ্রিস্টধর্মের বিপরীতমুখী স্যাটানিজমের শুরু হয়। 

স্যাটানিস্টরা নিজেদের ‘স্বাধীন চিন্তার প্রবক্তা’ হিসেবে প্রচার শুরু করে। চিলির তরুণ সমাজ এবং কিছু গোপন সংগঠন স্যাটানিজম প্রচারে ভূমিকা রাখে। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর জুডাইক স্টাডিজ’ এর অধ্যাপক লুইস বাহামন্ডেস বলেছেন,

এই ধরণের সংস্থাগুলো এখন মনে করে, বর্তমান ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাদের অতীত সময়ের থেকে বেশী সমর্থন রয়েছে।” 

স্যাটানিস্টরা প্রথমে চিলির কিছু পাহাড়ি অঞ্চলে তাদের উপাসনা শুরু করে। এটি ছিল খুবই গোপন একটি প্রক্রিয়া। শুরুতে স্থানীয়রা এদের কার্যকলাপ সম্পর্কে ধারণাও করতে পারেননি। যার ফলে দীর্ঘ সময় ধরে এ উপাসনা অনুষ্ঠানগুলো বিনা বাধাতেই চলতে থাকে। তাদের মতে, এই উপাসনার মাধ্যমে তারা এক নতুন শক্তি এবং ক্ষমতা লাভ করে। 

চিলিতে শয়তানের মন্দিরের ইতিহাস ও পটভূমি

চিলির শয়তানের মন্দির

চিলিতে শয়তানের মন্দির কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা এখনও অস্পষ্ট। তবে অনেকে মনে করেন, ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে সান্তিয়াগোর নির্জন অঞ্চলে প্রথম শয়তানের মন্দির স্থাপন করা হয়। স্থানীয়দের মুখে মুখে প্রচলিত রয়েছে যে, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পেছনে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত ছিল। মন্দির প্রতিষ্ঠার পর, স্থানীয় সমাজে এর প্রভাব পড়ে। মন্দিরের গোপন আচার-অনুষ্ঠান, রাতের নির্জনতায় উচ্চারিত মন্ত্র স্থানীয়দের মনে ভয়ের সৃষ্টি করে।

সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং ঘটনা

সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং ঘটনা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, শয়তানের মন্দিরের সাথে জড়িত বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার কথা সামনে এসেছে। চিলির সংবাদমাধ্যমগুলোর কিছু প্রতিবেদনে জানানো হয়, মন্দিরগুলোর ভেতরে গভীর রাতে অদ্ভুত শব্দ, আলোর ঝলকানি, এবং ছায়ামূর্তির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, তারা মন্দিরের ভেতরে কালো পোশাক পরিহিত মানুষদের অন্য রকমের কিছু করতে দেখেছেন।

পরবর্তীতে এক বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, মন্দিরের ভেতরে গোপন বৈঠক এবং তথাকথিত ‘আত্মা বিক্রির’ মতো আচারও পালিত হয়। যেখানে উপাসনাকারীরা নিজেদেরকে শয়তানের কাছে উৎসর্গ করে দেয়। সমাজের একাংশের এটি নিয়ে কৌতূহল থাকলেও অনেকেই এড়িয়ে চলেন। এখনও পর্যন্ত মন্দিরের প্রকৃত কার্যকলাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে, এতটুকু স্পষ্ট যে এই মন্দিরগুলি চিলির সংস্কৃতির এক রহস্যময় অধ্যায় হয়ে উঠেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটানিক টেম্পলের সাথে সংযোগ

মার্কিন স্যাটানিক টেম্পল

মার্কিন স্যাটানিক টেম্পল

২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রে ‘স্যাটানিক টেম্পল (The Satanic Temple)’ একটি বহুল আলোচিত  সংগঠন। এদের মূলমন্ত্র হচ্ছে, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও যুক্তিবাদ। তাদের দৃষ্টিতেও শয়তান বিদ্রোহ এবং মুক্তচিন্তার ধারক। স্যাটানিক টেম্পলের মূলনীতি হলো “নিজের শাসক নিজেই হওয়া।” অর্থাৎ ব্যক্তি নিজেই নিজের নীতিনির্ধারক। এছাড়াও যে কোনো কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশ করতে পারার স্বাধীনতা হলো স্যাটানিজমের মূল মন্ত্র।

তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন এই সংগঠন স্যাটানিক? এরা শয়তানের প্রতীক ব্যবহার করে সেক্যুলারিজম বা ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, তারা শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মের প্রভাব কমানোর জন্য আইনি লড়াইও চালায়। এমনকি তারা দেশের বিভিন্ন স্থানেও শয়তানের মূর্তি স্থাপন করতে চেয়েছে। 

চিলির মন্দিরের সাথে স্যাটানিক টেম্পলের সম্পর্ক

চিলির মন্দিরের সাথে স্যাটানিক টেম্পলের সম্পর্ক

চিলি আর মার্কিন স্যাটানিক টেম্পলের মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক এবং আদর্শিক সংযোগের ছাপ দেখা যায়। স্যাটানিক টেম্পল ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন গড়ে তুলে। দুই পক্ষই শয়তানকে একটি প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের উদ্দেশ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটানিক টেম্পল যখন সমাজে সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয়ভাবে লড়াই করছে, সেখানে চিলির মন্দিরগুলি এক প্রকার গোপন আধ্যাত্মিক চর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। 

চিলি এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটানিক সংগঠনগুলোর মধ্যে এক ধরনের মতের আদান-প্রদান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করছে বলে জানা যায়। সম্প্রতি চিলির কিছু তরুণ মার্কিন, স্যাটানিক টেম্পলের আদর্শকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে। বিশেষ করে স্যাটানিক টেম্পলের “ধর্মীয় স্বাধীনতা” এবং “স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার” চিলির ভক্তদের মাঝে সাড়া ফেলেছে। 

এর ফলে চিলির মন্দিরগুলোতে কিছু নতুন প্রথা যোগ হতে দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে চিলির টেম্পেলের মুখপাত্র হ্যাবোরিম বলেছিলেন,

“আপনি আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যতের মালিক, আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কোন ঈশ্বর নেই।”

এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন শয়তানের চিত্রটি সম্পূর্ণরূপে প্রতীকী। 

আদর্শিক পার্থক্য

এই দুই সংগঠনের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। মার্কিন স্যাটানিক টেম্পল যেখানে প্রকাশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য আইনি লড়াই চালায়, চিলির মন্দিরগুলি সেখানে গোপনীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং আধ্যাত্মিক চর্চার জায়গা হিসেবেই রয়ে গেছে। চিলির মন্দিরে মন্ত্রপাঠ, শয়তানকে কেন্দ্র করে আচার, এবং অদ্ভুত অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। আর এইসব আচার-আচরণ সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তারা কিন্তু ভিন্ন পথে একই উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়।

চিলিতে শয়তানবাদ ও সমাজে এর প্রভাব

ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া

ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্রতিক্রিয়া

চিলির ক্যাথলিক এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়গুলো শয়তানবাদকে অত্যন্ত বিপজ্জনক হিসেবে দেখে। তাদের মতে, এই মতবাদ সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় এবং অস্থিরতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শয়তানবাদকে তারা ‘অন্ধকারের শক্তি’ হিসেবে বিবেচনা করে। 

চিলির একাধিক ধর্মীয় নেতা শয়তানের মন্দিরগুলোর বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সতর্ক করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রচারণায় একে ‘অশুভ শক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন। এছাড়াও ক্যাথলিক, অ্যাংলিকান, ইহুদি এবং ইভানজেলিকাল সহ চিলির বেশ কয়েকটি চার্চের নেতারা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন,

“শয়তানবাদের ইতিহাস সুপরিচিত এবং এটি প্রায়শই বিভিন্ন ট্র্যাজেডির কারণ হয়েছে।”

প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা শয়তানবাদীদের প্রকাশ্যে সমালোচনা করে বলেছেন যে,

“শয়তানবাদের প্রসার ঘটলে চিলির ঐতিহ্য এবং সামাজিক সংহতি হুমকির মুখে পড়বে”

শোনা যায়, শয়তানের মন্দিরগুলো থেকে সমাজকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ক্যাথলিক গির্জাগুলোতে আজকাল বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।  

যুবকদের আকর্ষণ এবং কারণ

চিলির তরুণ প্রজন্মের একাংশ

চিলির তরুণ প্রজন্মের একাংশ শয়তানবাদের প্রতি ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই আকর্ষণের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এটি সমাজের প্রচলিত নিয়মকানুনের বিরুদ্ধে একধরনের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে। চিলির যুবসমাজ শয়তানবাদে একধরনের মুক্তির স্বাদ পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আকর্ষণ অনেকটা এক নতুনত্বের খোঁজ এবং নিজস্ব পথ খোঁজার আকাঙ্ক্ষা থেকে আসছে। 

কীভাবে যোগ দিতে হয় শয়তানের মন্দিরে 

শয়তানের মন্দিরে প্রবেশ

চিলির শয়তানের মন্দিরে যোগ দিতে ইচ্ছুক আবেদনকারীদের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমে আবেদনকারীদের একটি ফর্ম পূরণ করতে হয়। এই ফর্মের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়। এছাড়াও, কোন প্রকার অপরাধমূলক রেকর্ড আছে কিনা সেটারও প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। এরপর সংস্থার একটি বিশেষ কমিশনের সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হয়। সবেশেষে একজন মনোবিজ্ঞানী তাদের মানসিক মূল্যায়ন করেন।

যদি আবেদনকারী এই প্রক্রিয়া পার করতে পারে, তখন তাকে মন্দিরের জন্য একটি নতুন নাম বেছে নিতে হয়। এই নাম সাধারণত কোনো প্রাচীন রাক্ষস বা পতিত দেবদূতের নামে হতে হয়। এই নামে তারা মন্দিরের ভিতরে পরিচিতি পায়। ২০২১ সালে মন্দিরটিকে বৈধ ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চিলির বিচার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। এরপর থেকে মন্দিরে যোগদানের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক গুণ বেড়েছে।

শয়তানের মন্দিরের কিছু রহস্যময় ও অজানা ঘটনা

অলৌকিক ঘটনা এবং জনশ্রুতি

চিলির শয়তানের মন্দিরগুলোর চারপাশে ঘটে যাওয়া রহস্যময় অনেক ঘটনা শোনা যায়। কিছু স্থানীয়দের মতে, এই সব মন্দিরের ভেতরে মায়াবী ছায়া দেখা যায়। এছাড়াও নানান ভয়ংকর শব্দ শোনা যায়। এই নিয়ে  চিলির শয়তানের মন্দির প্রতিষ্ঠাতা আজাজেল বলেছেন

“আমরা স্বীকার করি যে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু ভিত্তি আছে, যা একাডেমিক এবং গোপন, যা আমাদের অস্তিত্ব এবং বাস্তবতাকে অর্থ প্রদান করে।”

চিলির শয়তানের মন্দির প্রতিষ্ঠাতা আজাজেল

গোপন কক্ষ এবং আচার-অনুষ্ঠান

চিলির শয়তানের মন্দিরে বিশেষ গোপন কক্ষ রয়েছে। মন্দিরের এই আচার-অনুষ্ঠান এতটাই গোপন যে বাইরে থেকে কেউ তা সহজে জানার সুযোগ পায় না। কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, এই মন্দিরগুলোতে একধরনের অতিপ্রাকৃত শক্তি রয়েছে, যা শুধুমাত্র মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলেই অনুভব করা যায়।

স্যাটানিস্টদের গোপন কক্ষের রেওয়াজ পালন

স্যাটানিজম নিয়ে মিথ্যাচার  

হলিউডের সিনেমা যেমন “রোজমেরিজ বেবি” এবং “ট্রু ডিটেকটিভ” এর মতো টিভি সিরিজগুলি স্যাটানিজমের ধারণাকে ত্যাগ, মন্দ, বেদনা এবং মৃত্যুর সাথে যুক্ত হিসাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

ঊপসংহার

চিলির এই মন্দিরগুলো নতুন ধর্মীয় এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির সূচনা করেছে। মন্দিরের সদস্যরা বিশ্বাস করেন যে স্যাটানিজম সকল ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহী আত্মার প্রতীক। স্যাটানিজম কি শুধুই বিদ্রোহের প্রতীক, নাকি এর মাঝে লুকিয়ে আছে কোনো গভীরতর রহস্য? শয়তানের মন্দির কি সত্যিই অশুভ প্রভাব বিস্তার করে?নাকি এটি আসলে একটি আদর্শিক পথ? হয়তো ভবিষ্যতে আমরা জানতে পাড়বও।

রেফেরেন্স লিঙ্কঃ 

https://www.wdrb.com/news/national/the-temple-of-satan-gains-ground-in-chile-as-faith-in-traditional-religions-wanes/article_d0a43831-6af6-5470-ad28-1adb1d9c6bc5.html

https://www.hjnews.com/world/chile-temple-of-satan/image_9d030c2e-1a68-5383-a2d4-16f03e64c977.html

https://ktvz.com/news/ap-national-news/2024/11/07/the-temple-of-satan-gains-ground-in-chile-as-faith-in-traditional-religions-wanes/

Related posts

বদ নজর কী- সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানে বদনজর থেকে মুক্তির উপায়!

আশা রহমান

কেন ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনের? ইতিহাসে মজার কাহিনী

শেখ আহাদ আহসান

থিসিয়াসের জাহাজ রহস্য ও অদ্ভুত সব দ্বন্দ্ব

admin

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More