ওয়াই-ফাই ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। কিন্তু জানেন কি, এই প্রযুক্তির পেছনে রয়েছে হলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী এক অভিনেত্রীর অবদান?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি তার ‘সিক্রেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ কিভাবে একদিন ওয়াইফাই, ব্লুটুথ কিংবা জিপিএস প্রযুক্তির ভিত্তি তৈরি করলো, জানবো তারই ইতিহাস।
একবার আপনার চারপাশের কথা ভাবুন। আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন, টেবিলের উপর রাখা ল্যাপটপ, দেয়ালে ঝুলানো স্মার্ট টিভি, এমনকি আপনার হাতের স্মার্টওয়াচ, এই সবকিছুই এক অদৃশ্য তারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে সংযুক্ত। এই জাদুর নাম ওয়াই-ফাই (Wi-Fi)।
এই জাদুকরী প্রযুক্তিটি আজকের ডিজিটাল যুগের অক্সিজেন। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্ম কীভাবে হলো? এর পেছনের কারিগরই বা কে?
এর উত্তর খুঁজতে আমাদের যেতে হবে, ১৯৪০-এর দশকের হলিউডের ঝলমলে দুনিয়ায়, যেখানে রুপালি পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অবিশ্বাস্য গল্প। এই গল্পটি হেডি ল্যামার নামের এক নারীর, যাকে বিশ্ব চিনত সে সময়ের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী হিসেবে। কিন্তু তার আসল পরিচয় ছিল আরও অনেক বড়, তিনি ছিলেন একজন মেধাবী উদ্ভাবক, যার একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারই আজকের ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ এবং জিপিএস প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
পর্দার রানী: হেডি ল্যামারকে বিশ্ব যেভাবে চিনত
হেডি ল্যামারের জন্ম ১৯১৪ সালে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায়, এক সম্ভ্রান্ত ইহুদি পরিবারে। তার জন্মগত নাম ছিল হেডউইগ ইভা মারিয়া কিসলার। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অসম্ভব মেধাবী এবং কৌতূহলী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ব্যালে এবং পিয়ানো শিখতেন। কিন্তু তার মূল আকর্ষণ ছিল সিনেমার রুপালি জগতের প্রতি। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই তিনি অভিনয়ের জগতে পা রাখেন এবং খুব দ্রুতই ইউরোপীয় সিনেমায় তার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
১৯৩৩ সালে ‘এক্সটাসি’ (Ecstasy) নামক একটি চেকোস্লোভাকিয়ান সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এবং কুখ্যাতি দুই-ই অর্জন করেন। তবে তার জীবন নাটকীয় মোড় নেয় যখন তিনি অস্ট্রিয়ার অন্যতম ধনী অস্ত্র ব্যবসায়ী ফ্রেডরিখ ম্যান্ডেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ম্যান্ডেল ছিলেন একজন অত্যন্ত কর্তৃত্বপরায়ণ ব্যক্তি, যিনি হিটলার এবং মুসোলিনির মতো ফ্যাসিস্ট নেতাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতেন। ম্যান্ডেলকে বিয়ে করার মাধ্যমে হেডি ‘সোনার খাঁচায় বন্দী পাখি’ হয়ে পড়েছিলেন।
তবে শাপেবর হিসেবে, এই বন্দী জীবনেই হেডি ল্যামারের ভেতরের উদ্ভাবক সত্তাটি জেগে ওঠে। তার স্বামী তাকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক এবং বৈজ্ঞানিক মিটিংয়ে নিয়ে যেতেন। সেখানে তিনি নাৎসি সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের আলোচনা শুনতেন। এই মিটিংগুলোতেই তিনি সামরিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে রেডিও-নিয়ন্ত্রিত টর্পেডো এর মতো জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারেন। তার স্বামী তাকে নিছক একজন সুন্দরী স্ত্রী হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করলেও, হেডি নীরবে এই সব প্রযুক্তিগত জ্ঞান নিজের মধ্যে আহরণ করছিলেন।
অবশেষে, এই দমবন্ধ করা জীবন থেকে মুক্তি পেতে, হেডি এক রাতে ছদ্মবেশে পালিয়ে যান। বহু চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি লন্ডনে পৌঁছান এবং সেখান থেকে পাড়ি জমান আমেরিকায়, হলিউডের স্বপ্ন বুকে নিয়ে। হলিউডে এমজিএম (MGM) স্টুডিওর প্রধান লুই বি. মেয়ার তার নতুন নাম দেন ‘হেডি ল্যামার’ এবং তাকে পরিচয় করিয়ে দেন ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী নারী’ হিসেবে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘আলজিয়ার্স’ (১৯৩৮), ‘বুম টাউন’ (১৯৪০) এবং ‘স্যামসন অ্যান্ড দিলাইলা’ (১৯৪৯)-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করে তিনি হলিউডের সোনালি যুগের অন্যতম সেরা তারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। বিশ্ব তাকে চিনত তার অসাধারণ সৌন্দর্য এবং অভিনয়ের জন্য, কিন্তু কেউ জানত না যে এই সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক বৈজ্ঞানিকের মন।
পর্দার আড়ালের জগত: এক উদ্ভাবকের মন
হলিউডের জাঁকজমক এবং খ্যাতি হেডি ল্যামারের ভেতরকারর উদ্ভাবনী সত্তাকে দমাতে পারেনি। শুটিংয়ের পর যখন অন্য তারকারা পার্টিতে ব্যস্ত থাকতেন, তখন হেডি তার বাড়িতে নিজের ড্রয়িং বোর্ডে ঝুঁকে থাকতেন নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায়। তিনি বিজ্ঞানের কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়াই, শুধুমাত্র নিজের কৌতূহল এবং পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধারণা নিয়ে কাজ করতেন।
তার কিছু উল্লেখযোগ্য ধারণার মধ্যে ছিল ট্র্যাফিক লাইটের উন্নত ডিজাইন এবং এমন একটি ট্যাবলেট, যা পানিতে মেশালেই কার্বোনেটেড ড্রিংক বা কোমল পানীয় তৈরি হয়ে যাবে। যদিও এই আবিষ্কারগুলো তখন খুব বেশি সাফল্য পায়নি, কিন্তু এটি প্রমাণ করে যে, তার মন সবসময় নতুন কিছু তৈরির জন্য উন্মুখ ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে, হেডি ল্যামারের জীবন এক নতুন দিকে মোড় নেয়। অস্ট্রিয়ায় থাকাকালীন নাৎসিদের যে ভয়াবহ রূপ তিনি কাছ থেকে দেখেছিলেন, তা হেডিকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। তিনি আমেরিকার হয়ে যুদ্ধে অবদান রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি জানতেন, তার সামরিক প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানকে তিনি মিত্রশক্তির কাজে লাগাতে পারেন। আর এই ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় সেই যুগান্তকারী আবিষ্কারের, যা একদিন বিশ্বকে বদলে দেবে।
এক অদ্ভুত জুটি: গ্ল্যামার কুইন ও প্রথাবিরোধী সুরকার
হলিউডের এক পার্টিতে হেডি ল্যামারের পরিচয় হয় জর্জ অ্যান্থেইলের সাথে। অ্যান্থেইল ছিলেন একজন অ্যাভান্ট-গার্ড বা প্রথাবিরোধী সুরকার এবং পিয়ানোবাদক। তিনি তার সঙ্গীতের জন্য ‘ব্যাড বয় অফ মিউজিক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত সৃষ্টি ছিল ‘ব্যালে মেকানিক’, যেখানে তিনি ১৬টি প্লেয়ার পিয়ানো বা স্বয়ংক্রিয় পিয়ানোকে একসাথে বাজিয়েছিলেন।
ক্রমেই হেডি এবং জর্জের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। হেডি যখন জর্জের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তিকে সাহায্য করার ইচ্ছার কথা বলেন এবং নাৎসিদের টর্পেডো জ্যামিংয়ের সমস্যার কথা তুলে ধরেন, ঠিক তখনই জন্ম নেই এক অবিশ্বাস্য জুটির।
টর্পেডোর সমস্যা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, মিত্রশক্তির জাহাজ থেকে রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে টর্পেডো নিয়ন্ত্রণ করা হতো। কিন্তু শত্রুপক্ষ, অর্থাৎ নাৎসিরা, সেই রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি খুঁজে বের করে জ্যাম করে দিত। এর ফলে, টর্পেডোগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যেত। এটি ছিল মিত্রবাহিনীর জন্য একটি বিশাল সমস্যা।
হেডির যুগান্তকারী সমাধান
হেডি ল্যামার এক সন্ধ্যায় জর্জ অ্যান্থেইলের সাথে পিয়ানো বাজানোর সময় এই সমস্যার এক দারুণ সমাধান নিয়ে আসেন। তার মাথায় আসে, যদি রেডিও সিগন্যালটি একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে স্থির না থেকে, খুব দ্রুত এক ফ্রিকোয়েন্সি থেকে আরেক ফ্রিকোয়েন্সিতে লাফিয়ে (hop) চলতে থাকে, তবে শত্রুপক্ষ সেই সিগন্যালকে আর ট্র্যাক করতে পারবে না এবং জ্যামও করতে পারবে না। এটিই ছিল “ফ্রিকোয়েন্সি-হপিং স্প্রেড স্পেকট্রাম” (Frequency-Hopping Spread Spectrum)-এর মূল ধারণা।
অ্যান্থেইলের কারিগরি জ্ঞান
ধারণাটি দারুণ ছিল, কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ ছিল কীভাবে জাহাজে থাকা প্রেরক যন্ত্র এবং টর্পেডোতে থাকা গ্রাহক যন্ত্র ঠিক একই সময়ে, একই ছন্দে ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তন করবে? তাদের মধ্যে নিখুঁত সিঙ্ক্রোনাইজেশন না থাকলে এই সিস্টেম কাজ করবে না।
এই সমস্যার সমাধান আসে জর্জ অ্যান্থেইলের স্বয়ংক্রিয় পিয়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে। তিনি প্লেয়ার পিয়ানোতে ছিদ্রযু? শক্ত কাগজের রোল ব্যবহার করে পিয়ানোকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি প্রস্তাব দেন যে, একই রকম দুটি ছিদ্রযুক্ত কাগজের রোল যদি প্রেরক এবং গ্রাহক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়, তবে তারা নিখুঁতভাবে ৮৮টি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির (পিয়ানোর ৮৮টি কী-এর প্রতীকী) মধ্যে সিঙ্ক্রোনাইজ করে লাফিয়ে চলতে পারবে।
এই দুই অসম বয়সী এবং ভিন্ন জগতের মানুষ মিলে তাদের বসার ঘরে বসেই তৈরি করে ফেলেন এক ‘সিক্রেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’-এর নীলনকশা। ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে, তারা যৌথভাবে U.S. Patent No. 2,292,387 লাভ করেন।
অবহেলিত এক আবিষ্কার: কেন নৌবাহিনী গ্রহণ করেনি?
হেডি ল্যামার তার দেশপ্রেমের নিদর্শন হিসেবে, এই পেটেন্টটি বিনামূল্যে মার্কিন নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেন, যাতে এটি নাৎসিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা একজন নারীর এই আবিষ্কারকে গুরুত্বের সাথে নেননি।
এর পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত, টর্পেডোর ভেতর প্লেয়ার পিয়ানোর মতো যান্ত্রিক ব্যবস্থা স্থাপন করার ধারণাটি তাদের কাছে অবাস্তব এবং জটিল মনে হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, এবং সম্ভবত সবচেয়ে বড় কারণ ছিল এই যুগান্তকারী ধারণাটি এসেছিল একজন নায়িকা, সর্বোপরি একজন নারী এবং একজন প্রথাবিরোধী সুরকারের কাছ থেকে, কোনো প্রতিষ্ঠিত সামরিক প্রকৌশলীর কাছ থেকে নয়। সম্ভবত লিঙ্গবৈষম্য এবং প্রচলিত স্টেরিওটাইপের কারণেই, নৌবাহিনী হেডি ল্যামারের বুদ্ধিমত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে, তার সৌন্দর্যকেই বড় করে দেখেছিল। তাকে বলা হয়েছিল, তিনি যদি সত্যিই যুদ্ধকে সাহায্য করতে চান, তবে তার উচিত তার তারকা খ্যাতিকে ব্যবহার করে ‘ওয়ার বন্ড’ (যুদ্ধ তহবিলের জন্য বন্ড) বিক্রি করা। তবে দেশপ্রেমিক হেডি হতাশ হলেও, সেই কাজটিও অত্যন্ত সফলভাবে করেছিলেন।
এ কারণেই যে আবিষ্কারটি হয়তো যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারত, তা একটি ফাইলের নিচে চাপা পড়ে রইল।
ধীরে ধীরে পেটেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেল, হেডি বা জর্জ কেউই তাদের এই অসাধারণ আবিষ্কার থেকে আর্থিকভাবে এক পয়সাও লাভ করেননি। পাননি কোন সামাজিক স্বীকৃতিও।
বিস্মৃতির অতল থেকে আজকের প্রযুক্তির শীর্ষে
এই ঘটনার কয়েক দশক পর, ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল সংকটের সময়, মার্কিন নৌবাহিনী তাদের সুরক্ষিত যোগাযোগের জন্য নতুন প্রযুক্তির সন্ধান করতে গিয়ে হেডি ল্যামারের সেই পুরনো পেটেন্টটি খুঁজে পায়। ততদিনে ট্রানজিস্টরের আবিষ্কারের ফলে, অ্যান্থেইলের সেই যান্ত্রিক কাগজের রোলকে একটি ছোট ইলেকট্রনিক সার্কিট দিয়ে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল। নৌবাহিনী তখন এই ফ্রিকোয়েন্সি-হপিং প্রযুক্তি তাদের সামরিক জাহাজে ব্যবহার শুরু করে।
এরপর দ্রুত প্রযুক্তির বিবর্তনের মাধ্যমে ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে বিভিন্ন সামরিক প্রযুক্তিতে এর ব্যাপক ব্যবহার হয়। আশির দশকে, যখন ডিজিটাল যুগ শুরু হয়, তখন এই স্প্রেড স্পেকট্রাম প্রযুক্তি সামরিক জগতের বাইরে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এই প্রযুক্তির মূলনীতিকে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে আজকের ওয়াই-ফাই (Wi-Fi), ব্লুটুথ (Bluetooth) এবং জিপিএস (GPS) এর জন্ম হয়েছে।
অর্থাৎ, হেডি ল্যামার এবং জর্জ অ্যান্থেইলের সেই ‘সিক্রেট কমিউনিকেশন সিস্টেম’ আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
প্রাপ্য স্বীকৃতি
জীবনের শেষ দিকে এসে হেডি ল্যামার তার এই অবদানের জন্য কিছুটা স্বীকৃতি পেতে শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে, ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন তাকে এবং জর্জ অ্যান্থেইলকে (মরণোত্তর) এই আবিষ্কারের জন্য সম্মানিত করে। ২০০০ সালে তার মৃত্যুর হয়। এ কারণে ২০১৪ সালে ‘ন্যাশনাল ইনভেন্টরস হল অফ ফেম’-এ তাকে অন্তর্ভুক্তির খবরটি জীবদ্দশায় শুনে যেতে পারেননি৷
হেডি ল্যামারের গল্প আমাদের এটাই শেখায় যে, প্রতিভা, মেধা এবং প্রচেষ্টা কোনো নির্দিষ্ট চেহারা বা পরিচয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না; যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারও সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে আসতে পারে।
তথ্যসূত্র –
- https://www.rsinc.com/brief-history-of-wifi.php
- https://getvoip.com/history-of-wifi/
- https://sattacademy.com/job-solution/wifi-%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%87
- https://sattacademy.com/skill/%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
- https://www.cablefree.net/history-of-wifi-technology/