বিবর্তনের ধারায় বয়ে চলেছে বিশ্ব পুলিশের ইতিহাস
পুলিশের ইতিহাস একটি দীর্ঘ ও বিস্তৃত প্রক্রিয়া। সময়ের সঙ্গে সমাজের নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধাপে বিবর্তিত হয়েছে বিশ্বের পুলিশ ব্যবস্থা। পুলিশ বাহিনী তার জন্মকালে যেমন সাধারণ শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে কাজ শুরু করেছিল, তেমনি আধুনিক যুগে তা ক্রমশ একটি বহুমুখী দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, মানবাধিকার রক্ষা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদি কাজ পুলিশ বাহিনী তার জন্মলগ্ন থেকেই করে আসছে।
ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী পুলিশের বিবর্তন এবং এর ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখতে পাই যে, পুলিশের ভূমিকা ও কাঠামো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে বা অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এবং উন্নয়নের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে এখনো পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনছে, কখনো নিজ বাহিনীর প্রয়োজনে আবার কখনো রাষ্ট্রের প্রয়োজনে।
প্রাচীন যুগে পুলিশ
পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ধারণা প্রাচীন সময় থেকেই বিদ্যমান ছিল। যদিও সে সময় এটি আধুনিক পুলিশ বাহিনীর মতো সংগঠিত ও কাঠামোবদ্ধ ছিল না। প্রাচীন ভারত, মেসোপটেমিয়া, মিশর এবং গ্রিসে সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাহিনী কাজ করত। এই বাহিনীর দায়িত্বের মধ্যে ছিল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধ প্রতিরোধ এবং সাজার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা।
ভারতের প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে, মঈত্রিপুরাণ, মহাভারত এবং অন্যান্য পুরাণে আইন এবং শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় সমাজে, প্রশাসনিক দায়িত্বগুলো শাসক বা রাজা বা পুরাণের প্রতিনিধিদের উপর ন্যস্ত ছিল। ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন শাসকরা সাধারণত নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক ধরনের বাহিনী রাখত।
মৌর্য সাম্রাজ্যের শাসনকাল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ শাসনকাল। চাণক্যের অর্থশাস্ত্র অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল এই শাসনামল। চাণক্য তার রচনায় পুলিশ বাহিনীর কাঠামোর কথা উল্লেখ করে গেছেন। তার মতে, পুলিশ বাহিনী জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। তবে, সে সময়ে পুলিশ বাহিনী ছিল শাসকের প্রতিনিধিত্বকারী, অর্থাৎ রাজা বা শাসক শ্রেণীর সুবিধার জন্য জনগণের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করত।
মুঘল শাসনকালে পুলিশ বাহিনীর গঠন
মুঘল সাম্রাজ্য (১৬৪৮-১৮৫৭) ভারতীয় উপমহাদেশে পুলিশের উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের এক উল্লেখযোগ্য সময় ছিল। মুঘল শাসকদের শাসন ব্যবস্থায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা বিশাল সাম্রাজ্যকে শাসন করার জন্য একটি সুসংগঠিত পুলিশ বাহিনী গঠন করেছিল।
মুঘলদের শাসনে পুলিশ বাহিনী সাধারণত রাজস্ব সংগ্রহ এবং স্থানীয় জনগণের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করত। মুঘল শাসক আকবরের সময় পুলিশ বাহিনী আরও সংগঠিত হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চলে পুলিশ কর্মকর্তা নিয়োগ দেন। এই সময়ে শাস্তির বিধান কঠোর ছিল এবং বাহিনীর সদস্যরা শাসকের নির্দেশ পালন করত। তারা স্থানীয় আইন প্রয়োগ করতো। কিন্তু প্রধানত রাজা বা মুঘল কর্তৃপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
ব্রিটিশ শাসনকালে পুলিশের বিবর্তন
শিল্প বিপ্লবের কারণে ইংল্যান্ডের সামাজিক ব্যবস্থায় অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্যার রবার্ট পিল একটি নিয়মতান্ত্রিক পুলিশ বাহিনীর অভাব অনুভব করেন। ১৮২৯ সালে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে পুলিশ গঠনের বিল আনেন। এর প্রেক্ষিতে গঠিত হয় লন্ডন মেট্রো পুলিশ। অপরাধ দমনে বা প্রতিরোধে এর সাফল্য শুধু ইউরোপ নয় সাড়া ফেলে আমেরিকাযতেও। ১৮৩৩ সালে লন্ডন মেট্রো পুলিশের অনুকরনে গঠিত হয় নিয়ইয়র্ক সিটি নগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
১৮৫৬ সালে ভারত শাসনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট হতে বৃটিশ সরকার গ্রহন করে। পিলস অ্যাক্ট ১৮২৯ এর অধীনে গঠিত লন্ডন পুলিশের সাফল্য ভারতে স্বতন্ত্র পুলিশ ফোর্স গঠনে বৃটিশ সরকারকে অনুপ্রানিত করে। ১৮৬১ সালে the commission of the Police Act (Act V of 1861) বৃটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়। এই আইনের অধীনে ভারতের প্রতিটি প্রদেশে একটি করে পুলিশ বাহিনী গঠিত হয়। প্রদেশ পুলিশ প্রধান হিসাবে একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ এবং জেলা পুলিশ প্রধান হিসাবে সুপারিটেনটেন্ড অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করা হয়। বৃটিশদের তৈরীকৃত এই ব্যবস্থা এখনও বাংলাদেশ পুলিশে প্রবর্তিত আছে।
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে পুলিশ
বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর ইতিহাসও ব্রিটিশ শাসনের প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ব্রিটিশদের গড়ে তোলা পুলিশ বাহিনীর কাঠামো স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এবং তার পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে পুলিশ মূলত শাসক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করত এবং জনগণের উপর অত্যাচার চালাত। ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য জাতীয় আন্দোলন দমনে তখন পুলিশকে ব্যবহার করা হতো। তবে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর, দেশের পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠন করা হয় এবং জনগণের সুরক্ষার জন্য কার্যক্রম শুরু হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল সময় হল ১৯৭১ সাল। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন ডিপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বেশ কয়েকজন এসপি সহ প্রায় সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্য বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামে জীবনদান করেন। ১৯৭১ সালের মার্চ মাস হতেই প্রদেশের পুলিশ বাহিনীর উপর কর্তৃত্ব হারিয়েছিল পাকিস্থানের প্রাদেশিক সরকার। পুলিশের বীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই পাকিস্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা ২৫ শে মার্চ ১৯৭১ তারিখে ঢাকার রাজারবাগের পুলিশ লাইন্সে ২য় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত বাতিল ৩০৩ রাইফেল দিয়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্থানী হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। এই সশস্ত্র প্রতিরোধটিই বাঙ্গালীদের কাছে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরুর বার্তা পৌছে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশের এই সদস্যরা ৯ মাস জুড়ে দেশব্যাপী গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং পাকিস্থানী সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ পুলিশ নামে সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর মতো আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, জনগনের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে প্রধান ভুমিকা পালন করে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাডিশনাল চরিত্রে বিরাট পরিবর্তন এনে দিয়েছে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ পুলিশের কাজ আরও বিশাল পরিসরে বিস্তৃত হয় এবং তাদের আধুনিকীকরণ চলতে থাকে। বিশেষ করে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের উত্থান এবং ক্রমবর্ধমান অপরাধের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের কৌশল এবং কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং, প্রযুক্তি ব্যবহার, সাইবার অপরাধ দমন, বিশেষ অভিযানে অংশগ্রহণ ইত্যাদি বিষয় এখন বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর কাজের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশ আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তবে ১৯৭১ সালে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের গৌরাবজ্জল পটভূমির পরে পুলিশের ইতিহাসটা এই দেশে দিনে দিনে খুবই নিকৃষ্ট আকার ধারণ করছে। যদিও পুলিশের দ্বায়িত্ব চুরি-ডাকাতি রোধ, ছিনতাই প্রতিরোধ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধসহ বিভিন্ন জনসভা, নির্বাচনী দায়িত্ব, সম্পত্তি রক্ষা, সামাজিক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা। তবুও আমরা বিগত কয়েক বছর এবং সাম্প্রতিক সময় গুলোতে তাদের রক্ষকের থেকে ভক্ষকের দ্বয়িত্বেই বেশি ভূমিকা রাখতে দেখেছি।
বিশ্বব্যাপী পুলিশের বিবর্তন
বিশ্বের অন্যান্য দেশের পুলিশ বাহিনীর ইতিহাসও বিভিন্ন সময় এবং পরিস্থিতির সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। ইউরোপে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডে, পুলিশ বাহিনীর আধুনিক গঠন শুরু হয় ১৮শ’ শতকে। ইংল্যান্ডের সার্জেন্ট বিউটার বা ‘বব্বি পুলিশ’ ১৮১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি আধুনিক পুলিশ বাহিনীর অন্যতম প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ বাহিনীর গঠন এবং কার্যক্রম ১৭৮৯ সালের দিকে শুরু হয়। তবে এটি ১৮শ’ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আরও আধুনিক হয়ে ওঠে। আমেরিকান পুলিশের কাজ ছিল স্থানীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অপরাধ দমন করা, তবে এটি ক্রমশ জাতীয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় কাজ করতে শুরু করে।
আধুনিক যুগে পুলিশ
আজকের আধুনিক পুলিশ বাহিনী প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সাইবার অপরাধ দমন, মানবাধিকার রক্ষা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছে। পুলিশের কাজ এখন শুধু অপরাধ দমনই নয়। বরং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, জনগণের সুরক্ষা এবং সামাজিক সমস্যাগুলির সমাধানও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আধুনিক পুলিশ বাহিনী আধুনিক প্রযুক্তি যেমন সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন, সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডেটা বিশ্লেষণ ইত্যাদি ব্যবহার করে তাদের কার্যক্রম আরও কার্যকরী এবং প্রভাবশালী করেছে।
বিশ্বব্যাপী পুলিশ বাহিনী এখন কমিউনিটি পুলিশিং, বিশেষ অভিযানে দক্ষতা অর্জন, অপরাধী চিহ্নিতকরণ, অপরাধ প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া এবং জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে কাজ করছে। পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি এটি সমাজের উন্নয়ন এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।
কমিউনিটি পুলিশিং
অনেক দেশে পুলিশ বাহিনী কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করে, জনগণের মধ্যে বিশ্বাস এবং সম্পর্ক স্থাপন করে। এটি অপরাধ কমাতে এবং জনগণের কাছে পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুলিশিং ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন, পুলিশি সহিংসতা, এবং দক্ষতার অভাব। তবে আধুনিক প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দ্বারা পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা হচ্ছে।
পুলিশের ইতিহাস এবং বিবর্তন সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। ভারতীয় উপমহাদেশে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, এবং বিশ্বব্যাপী পুলিশ বাহিনী তার কাঠামো, কার্যকলাপ এবং দায়িত্বে বহু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আধুনিক পুলিশ বাহিনী বর্তমানে প্রযুক্তি এবং সমাজের পরিবর্তিত চাহিদা অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম সাজিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে এটি এখন জনগণের সেবা ও নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
সোর্স
- https://www.newyorker.com/magazine/2020/07/20/the-invention-of-the-police
- https://journals.sagepub.com/doi/abs/10.1177/1098611104267329
- https://ijlmh.com/paper/origin-of-police-system-in-india-and-the-world/
- https://penntoday.upenn.edu/news/looking-community-policing-global-south
- https://www.banglatribune.com/literature/special-edition/370187/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
- https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/NoMoon/30123994
- https://www.banglatribune.com/literature/special-edition/370187/%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8
- https://www.protidinersangbad.com/todays-newspaper/uposompadokio/475159