‘বাজারে গেলেই আমরা শপিং ব্যাগ বয়ে বেড়াই। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন কী এর পেছনেও থাকতে পারে ইতিহাস? কীভাবে এল এই শপিং ব্যাগ?’
১৯১২ সালে, মিনেসোটার সেন্ট পল শহরের মুদি দোকানের মালিক ওয়াল্টার ডিউবেনার দেখলেন যে তার গ্রাহকরা কেনাকাটার পর পণ্য বহনে অসুবিধায় পড়ছেন। এই অবস্থায়, তিনি একটি কাগজের ব্যাগ তৈরি করেন, যাতে দড়ির হ্যান্ডেল এবং নিচের অংশ শক্ত ছিল। এর ফলে ক্রেতারা সহজে বেশি পরিমাণ পণ্য বহন করতে পারতেন।
১৯১৫ সালে তিনি এই ব্যাগের পেটেন্ট নেন এবং কয়েক বছরের মধ্যে এই ব্যাগের ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই উদ্ভাবনই মূলত মুদি ব্যাগের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয় এবং পরবর্তীতে শপিং ব্যাগের প্রচলনকে সহজতর করে তোলে।
কাগজের ব্যাগের আবিষ্কার ও বিবর্তন
প্রথম দিকে কাগজের ব্যাগ হাতে তৈরি করা হতো। তবে ১৮০০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে এগুলো উৎপাদন শুরু হয়। এক মরাভিয়ান যাজক ও উদ্ভিদবিদ ফ্রান্সিস ওলে এবং তার ভাই প্রথম এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন, যা প্রচুর পরিমাণে খাম-আকৃতির কাগজের ব্যাগ তৈরি করতে সক্ষম ছিল। ১৮৫২ সালে এই উদ্ভাবনটির জন্য “মেশিন ফর মেকিং ব্যাগস অব পেপার” নামক পেটেন্ট নেওয়া হয়।
যদিও ওলের এই আবিষ্কার কাগজের ব্যাগ তৈরির প্রক্রিয়ায় উন্নতি ঘটিয়েছিলো, তবে এটি ব্যবহারের দিক থেকে কিছুটা সীমাবদ্ধ ছিল। যন্ত্রটি দিয়ে যেই ব্যাগ তৈরি করা হতো, সেগুলো ছিল চ্যাপ্টা ফলে, ব্যাগ খোলা রাখতে হলে হাতে ধরে রাখতে হতো। তবে প্রায় দুই দশক পর আরও কার্যকর একটি নকশা উদ্ভাবিত হয়।
চ্যাপ্টা তলযুক্ত কাগজের ব্যাগ
১৮৭০ সালে, আমেরিকান উদ্ভাবক মার্গারেট ই. নাইট একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করে পেটেন্টের জন্য আবেদন করেন। এই যন্ত্র তিন ধাপে ভাঁজ করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চ্যাপ্টা তলযুক্ত কাগজের ব্যাগ তৈরি করত।
এই ব্যাগগুলো ওলের খাম-আকৃতির ব্যাগের তুলনায় বেশি জিনিস বহন করতে পারত যা ভারী জিনিস বহন করার সময় অনেক বেশি সুবিধাজনক ছিল। এই ব্যাগগুলো সাধারণত মুদি কেনাকাটার জন্য ব্যবহৃত হতো এবং পরবর্তী প্রজন্মগুলোর ব্যবহৃত ব্যাগের মতোই দেখতে ছিল।
নাইটকে “উনিশ শতকের সবচেয়ে বিখ্যাত নারী উদ্ভাবক” বলা হয়, কারণ তিনি প্রায় ৩০টি আবিষ্কারের জন্য পেটেন্ট পেয়েছিলেন। চ্যাপ্টা তলযুক্ত কাগজের ব্যাগ তৈরির যন্ত্র উদ্ভাবনের জন্য ১৮৭১ সালে রানি ভিক্টোরিয়া তাকে সম্মানিত করেন।
এসওএস কাগজের ব্যাগ
এসওএস (Self-Opening Sack) হলো একটি বর্গাকার তলযুক্ত কাগজের ব্যাগ, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায় এবং এর ভেতর পণ্য ঢুকানোর জন্য হাতে ধরে রাখার প্রয়োজন হয় না।
১৮৮৩ সালে এই ব্যাগ তৈরির যন্ত্রটি উদ্ভাবক চার্লস স্টিলওয়েল তৈরি করেন এবং এর জন্য তিনি পেটেন্ট লাভ করেন। তার নকশায় ব্যাগের পাশে ভাঁজ (প্লিট) যোগ করা হয়েছিল, যা এটি ভাঁজ করা ও গুছিয়ে রাখা সহজ করে তোলে।
আজকের দিনে এসওএস ব্যাগ মুদি দোকান, ফার্মেসি এবং খাদ্য পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ব্যাগের নকশাই পরবর্তী সময়ে হাতলযুক্ত কাগজের ব্যাগ তৈরির অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।
হাতলযুক্ত কাগজের ব্যাগ
হাতলযুক্ত কাগজের ব্যাগের উদ্ভাবনের কৃতিত্ব মুদি ব্যবসায়ী ওয়াল্টার ডিউবেনারের। ১৯১২ সালে, তিনি লক্ষ্য করেন যে তার ক্রেতারা মুদি সামগ্রী বহনে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
গ্রাহকদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা সহজ করতে, তিনি সাধারণ কাগজের ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তিনি ব্যাগে কয়েকটি ছিদ্র করে তার (কর্ড) প্রবেশ করিয়ে হাতল তৈরি করেন। তিনি ও তার স্ত্রী লিডিয়া দেখেন যে এই ব্যাগে ২০ পাউন্ডের বেশি টিনজাত পণ্য বহন করা সম্ভব।
এই উদ্ভাবনে উচ্ছ্বসিত হয়ে, ডিউবেনার দম্পতি ৫০টি ব্যাগ তৈরি করেন এবং প্রতিটি $০.০৫ দামে বিক্রি করেন। প্রথম দিনেই দুপুরের আগেই সব ব্যাগ বিক্রি হয়ে যায়।
১৯১৫ সালে তিনি এই ব্যাগের পেটেন্ট নেন এবং নিজের নামে এটিকে “ডিউবেনার শপিং ব্যাগ” নামকরণ করেন। পেটেন্ট পাওয়ার পর, ওয়াল্টার ও লিডিয়া তাদের মুদি দোকান বিক্রি করে সম্পূর্ণভাবে ব্যাগ তৈরির ব্যবসায় নিয়োজিত হন। কয়েক বছরের মধ্যে এই ব্যাগের ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
এই উদ্ভাবন মুদি ব্যাগের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয় এবং পরবর্তীতে শপিং ব্যাগের প্রচলনকে সহজতর করে তোলে।
প্লাস্টিক ব্যাগের আবিষ্কার
কাগজের ব্যাগ আবিষ্কারের এক শতকেরও বেশি সময় পর, ১৯৬০-এর দশকের শুরুতে সুইডিশ প্রকৌশলী স্টেন গুস্তাফ থুলিন প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ উদ্ভাবন করেন। তিনি একটি সহজে এক টুকরো ব্যাগ তৈরির পদ্ধতি তৈরি করেন, যেখানে প্লাস্টিকের চ্যাপ্টা নল ভাঁজ, ওয়েল্ডিং এবং ডাই-কাটিংয়ের মাধ্যমে ব্যাগে রূপান্তরিত করা হয়।
যা তার উচ্চ-ঘনত্বের পলিথিন (HDPE) ডিজাইন প্যাকেজিং কোম্পানি সেলোপ্লাস্ট এর জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৯৬৫ সালে এই নকশাটি সেলোপ্লাস্ট বিশ্বব্যাপী পেটেন্ট করে। থুলিনের তৈরি এই ব্যাগ “টি-শার্ট প্লাস্টিক ব্যাগ” নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
১৯৬৫ সালে, সুইডিশ বিজ্ঞানী হেনরিক পিটারসন প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। সুইডেনের “হেনরিক পিটারসন কোম্পানি“ প্রথমবারের মতো প্লাস্টিকের ব্যাগ উৎপাদন শুরু করে এবং এটি বাজারে বিক্রি হতে থাকে। এর পরপরই প্লাস্টিকের ব্যাগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে, কারণ এটি কাগজের ব্যাগের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক এবং কার্যকর ছিল। এই ব্যাগটি হালকা, শক্ত, জলরোধী এবং সহজে মোল্ড করা যেত।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে, প্লাস্টিকের ব্যাগের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। সুপারমার্কেট, দোকান, এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলি প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা শুরু করে কারণ এটি ছিল সবচেয়ে কম খরচে তৈরি করা সম্ভব এমন একটি উপাদান। অনেক প্রতিষ্ঠান এতে লাভবান হতে থাকে, কারণ এটি ব্যবহার করার পর খুব সহজেই ফেলে দেওয়া যেত এবং নতুন ব্যাগ তৈরি করা ছিল অনেক সহজ এবং সস্তা।
১৯৭৭ সালে, আমেরিকায় সিপিএমএ (Convenience Packaging Manufacturing Association) প্লাস্টিকের ব্যাগকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য প্রচারণা শুরু করে, যা সারা দেশে ব্যাগের ব্যবহারকে আরও ত্বরান্বিত করে। তারপর থেকে, প্লাস্টিকের ব্যাগের ব্যবহার বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
একবার ব্যবহারযোগ্য (সিঙ্গেল-ইউজ) প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ প্রথমবারের মতো ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাজারে আসে।
আমেরিকান ক্রেতাদের মাঝে প্লাস্টিক ব্যাগের প্রচলন
১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে, ক্রেতাদের মধ্যে কাগজ বনাম প্লাস্টিক ব্যাগের লড়াই চলছিল। শহরের বাসিন্দারা সাধারণত কাগজের মুদি ব্যাগ পছন্দ করতেন, কারণ সেগুলো গাড়ির ট্রাঙ্কে সোজা করে রাখতে পারত এবং পণ্যগুলোর এদিক-সেদিক গড়িয়ে পড়তো না। অন্যদিকে, শহরের ক্রেতারা দোকান থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার সময় হাতলযুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগ বহন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।
যদিও ক্রেতাদের প্লাস্টিক ব্যাগ সম্পর্কে ভিন্ন মতামত ছিল, ১৯৮২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বৃহত্তম মুদি দোকান চেইন সেইফওয়ে (Safeway) এবং ক্রোগার (Kroger) একবার ব্যবহারযোগ্য (সিঙ্গেল-ইউজ) প্লাস্টিক ব্যাগ তাদের গ্রাহকদের জন্য চালু করে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, প্লাস্টিক ব্যাগ সারা বিশ্বে প্রায় সম্পূর্ণভাবে কাগজের ব্যাগের জায়গা দখল করে নেয়।
পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগের উৎপত্তি
বিশ্বের অনেক দেশেই প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার হ্রাসের উদ্দেশ্যে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবুও আমাদের চারদিকে পলিথিনের ছড়াছড়ি। পলিথিন ও অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী পরিবেশের উপর যে বিরূপ প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই অবগত।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প ব্যবহারের কথা বার বার উঠে এসেছে। অনেকেই প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে কাপড়, সুতা কিংবা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার শুরু করেছেন। তবে কাগজের বা কাপড়ের তৈরি ব্যাগগুলো কি সত্যিই প্লাস্টিকের চেয়ে অধিক পরিবেশবান্ধব?
প্লাস্টিক ব্যাগ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। উচ্চ-ঘনত্বের পলিথিন (HDPE) ব্যাগ তুলনামূলকভাবে কম কার্বন ফুটপ্রিন্টযুক্ত, তবে এটি একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়। এই ব্যাগগুলোর উৎপাদন, ব্যবহারের পরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতার সীমাবদ্ধতা পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো জলাশয় দূষণ, অম্লতা বৃদ্ধি এবং বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করতে পারে, যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী ও মানবস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ে।
নন-ওভেন পলিপ্রোপিলিন ব্যাগ কিছুটা ভালো বিকল্প হলেও, সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া এর পরিবেশগত প্রভাবও গুরুতর হতে পারে। পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগগুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে ব্যবহারের সংখ্যার ওপর। গবেষণা অনুযায়ী, নন-ওভেন ব্যাগ কমপক্ষে ১০-১১ বার পুনরায় ব্যবহার করতে হয়, নাহলে এর পরিবেশগত সুবিধা নষ্ট হয়ে যায়।
অতএব, প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহারে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। বারবার ব্যবহার উপযোগী ব্যাগ গ্রহণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলতা বাড়ানো প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব উপকরণের ব্যাগের প্রচলন বাড়িয়ে এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আমরা টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারি।
অন্যদিকে, কাপড়ের ব্যাগ টেকসই হলেও এর উৎপাদন প্রক্রিয়া পরিবেশের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে। তুলার চাষ, প্রসেসিং, ও প্রিন্টিংয়ে প্রচুর পানি, বিদ্যুৎ ও জমি লাগে। গবেষণা অনুসারে, তুলার ব্যাগ তৈরিতে প্রচলিত প্লাস্টিক ব্যাগের তুলনায় বেশি শক্তি ব্যয় হয়। জৈব কটন ব্যবহার করলে রাসায়নিক কম লাগে, তবে এতে বেশি জল ও জমির প্রয়োজন হয়। পুনর্ব্যবহারযোগ্য হলেও, এসব ব্যাগের পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ কঠিন এবং ব্যয়বহুল। তাই, কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করার আগে এর পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করা জরুরি, বিশেষত একাধিকবার ব্যবহারের উপযোগিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
কাগজের ব্যাগ পরিবেশবান্ধব মনে হলেও এর উৎপাদন ও ব্যবহারে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর তৈরিতে প্রচুর গাছ কাটা হয়, যা বন উজাড় করে এবং কার্বন নিঃসরণ বাড়ায়। এছাড়া, প্লাস্টিকের তুলনায় কাগজের ব্যাগ তৈরিতে ৪ গুণ বেশি পানি ও শক্তি লাগে, যা পরিবেশের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
স্থায়িত্ব কম থাকায় এগুলো ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হয়, ফলে পরিবহন ও উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। তবে, কাগজের ব্যাগের সুবিধা হলো এটি সহজেই পচে যায় এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য। প্লাস্টিকের তুলনায় দ্রুত মাটির সাথে মিশে যাওয়ার কারণে এগুলো কম দূষণ সৃষ্টি করে। তবুও, কাগজের ব্যাগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বারবার পুনরায় ব্যবহার নিশ্চিত করাই পরিবেশের জন্য সবচেয়ে ভালো সমাধান।
গবেষণায় দেখা গেছে, একটি প্লাস্টিকের ব্যাগের তুলনায় কাগজের ব্যাগ কমপক্ষে তিনবার এবং কাপড়ের ব্যাগ ১৩১ বার পুনঃব্যবহার করা প্রয়োজন। তবে, কাগজের ব্যাগ সহজে ছিঁড়ে যায় এবং পানিতে ভিজলে টেকসই থাকে না। অন্যদিকে, কাপড়ের ব্যাগের উৎপাদন কার্বন-নিবিড় হলেও এটি দীর্ঘস্থায়ী।
পরিবেশের ওপর প্রভাব কমাতে, ব্যাগ যেই উপাদান দিয়েই তৈরি হোক না কেন, যত বেশি সম্ভব পুনঃব্যবহার করাই মূল চাবিকাঠি। তাই একবার ব্যবহারযোগ্য ব্যাগের বদলে পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম।
তথ্যসূত্র
- https://www.linkedin.com/pulse/paper-plastic-history-shopping-bags-american-paper-twine-3zsef/
- https://www.lolaapp.com/history-of-paper-bags/
- https://greengroundswell.com/bags-from-the-beginning-to-paper/2012/07/25/
- https://www.pppnewsbd.com/?p=642
- https://archive.roar.media/bangla/main/science/which-material-made-bag-to-use
- https://bangla.thedailystar.net/life-living/others/news-623971