বাংলা নববর্ষ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ পহেলা বৈশাখকে বরণ করে আসছে আনন্দের সাথে। কিন্তু এই উৎসব ঘিরেও রয়েছে নানা বিতর্ক, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এর তাৎপর্য আজও আলোচনার বিষয়। অসাম্প্রদায়িক উৎসব হিসেবে পালিত হওয়া নববর্ষ কি আসলেই সাম্প্রদায়িক প্রশ্নের উর্ধ্বে?
ভূমিকা
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বছরের প্রথম দিনটি বাঙালিরই শুধু নয়, বাংলা ভাষাভাষী আদিবাসী ও নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের জীবন-জগতে স্বপ্নময় নতুন বছরের শুভ সূচনা ঘটায়। জীর্ণ-পুরোনোকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করে বাঙালি জাতি।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে উৎসবটিকে ঘিরে বিতর্ক চলছে বিগত কয়েক বছর ধরে। অনেকে মনে করছেন, পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উদযাপন হিন্দুদের উৎসব কিংবা হিন্দু সংস্কৃতির অংশ। এটিকে অসাম্প্রদায়িক ভাবার কোনো কারণ নেই। তাছাড়া নববর্ষ পালনের কিছু বৈশিষ্ট্যকেও হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বলছেন কেউ কেউ।
আজকের লেখায় পহেলা বৈশাখের ইতিহাস, এর ধর্মীয় ভিত্তি, হিন্দু ও ইসলাম ধর্মের সাথে এর সংশ্লিষ্টতা এবং এটি কি আসলেই কেবল হিন্দুদের উৎসব কিনা তার উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবো।
পহেলা বৈশাখের ইতিহাস
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বেশ বৈচিত্র্যময়। বাঙালির আবহমান জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে এর ঐতিহাসিক ভিত্তি।
১৫২৬ সাল, পানিপথের প্রথম যুদ্ধ। সম্রাট বাবরের হাত ধরে ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করা হতো। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তিনি মূলত প্রাচীন বর্ষপঞ্জিতে সংস্কার আনার আদেশ দেন।
বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়।
আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। এরপর আবার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের খবর পাওয়া যায় ১৯৩৮ সালে। তবে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। ১৯৮৮ সালের ১৯ জুন থেকে বাংলা একাডেমির সুপারিশ করা পঞ্জিকা গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালন করা হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু হয়।
রমনার বটমূলে ১৩৭২ বঙ্গাব্দ থেকে পহেলা বৈশাখের উৎসবের আয়োজন করে আসছে ছায়ানট।
পহেলা বৈশাখের ধর্মীয় সংযোগ ও হালখাতা
কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে বাংলা নববর্ষের গোড়াপত্তন ঘটেনি, তা বলাই বাহুল্য।
বাংলাপিডিয়ায় উল্লেখ আছে, ‘কৃষিকাজের সুবিধার্থেই মুগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তাঁর সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে (৫ নভেম্বর ১৫৫৬)।’ প্রধানত কৃষকদের খাজনাপাতি দেয়ার সুবিধার্থে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এ কারণে এই সনের আরেক নাম ‘ফসলি সন’। প্রথমে এটিই প্রচলিত ছিল, পরে এর পরিচিতি দাঁড়ায় বঙ্গাব্দ নামে, যা আজও কার্যকর রয়েছে।
চন্দ্রের নিয়মে প্রচলিত হিজরী সন ও সৌর নিয়মে প্রচলিত বাংলা সনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় মানুষের সুযোগ ও সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই সনের প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এই অঞ্চলের মানুষেরা ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত থাকলেও বঙ্গাব্দ সন প্রবর্তনের মধ্যে দিয়ে বৈশাখের প্রথম দিনের উৎসব তাদের জীবনের অন্যতম আনন্দঘন দিনে পরিণত হয়।
তবে নববর্ষের দিন হালখাতা নামের যে প্রথা বা উৎসব, সেটা শুরু হয়, মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী ব্যবসায়ীদের হাত ধরে। বাঙালি সমাজে ব্যবসার গোড়াপত্তনও হয় অবশ্য এদের হাত ধরে। সনাতন ধর্মের অনুসারীরা প্রায় সারা বছরই নানাধরণের উৎসবের রীতি মেনে চলেন। বার মাসে তের পার্বণের যে প্রবাদ বাক্য বাংলা ভাষায় জোরদারভাবে চালু রয়েছে তা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারীদের পার্বন প্রথাকে কেন্দ্র করেই।
বিভিন্ন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব
হিন্দু ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে পহেলা বৈশাখ
হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব বিশেষভাবে প্রাধান্য পেয়েছে। বহু প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও পুরাতাত্ত্বিক উৎস অনুসারে, বৈশাখ মাসকে নবজাগরণ ও সৌভাগ্যের বার্তা বাহক এবং কৃষিকাজের নতুন সূচনার প্রতীক হিসেবে উদযাপন করা হয়। এই দিনটিতে বিভিন্ন পূজা-অর্চনা ও তীর্থযাত্রার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় আবহ দিয়ে থাকেন।
তবে অনেকে মনে করেন, বাংলা নববর্ষ আর হিন্দু নববর্ষ একই দিনে পালিত হয়। কিন্তু ধারণাটি ভুল। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্লাপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে হিন্দুদের নতুন বছর শুরু হয়। গত বছর হিন্দু নববর্ষ শুরু হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে।
ভারতীয় কালগণনা প্রকৃতিদেবীর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। বসন্ত ঋতু প্রকৃতিক কারণে নবজীবনের বার্তা বয়ে আনে। এই সময় প্রকৃতিও নবরূপ ধারণ করে। তাই এই দিনটি সমগ্র মানবজাতির নতুন বছরের প্রথম দিন হিসেবে গণ্য করা হয়।
এর সাথে বাংলা নববর্ষের কোন সংযুক্ততা নেই বলে মনে করেন অনেক ঐতিহাসিক। হিন্দু নববর্ষ পালনের সূচনা করা হয় সূর্য ও দেবী দুর্গার পুজো করে। যাতে সারা বছর সৌর্য-বীর্যে বলশালী হয় রাজ্য এবং মহা সুখে থাকে প্রজাগণ।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে যত বিতর্ক
পহেলা বৈশাখের উৎসবকে ঘিরে বিতর্ক মূলত এর ধর্মীয় অনুষঙ্গ এবং ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র নিয়ে। মুসলিম প্রধান এই দেশের একটি অংশের মানুষের বিশ্বাস, এই উৎসব আদতে হিন্দু সংস্কৃতির অংশ এবং এর উদযাপনে হিন্দু রীতিনীতির প্রভাব স্পষ্ট। তারা মনে করেন, বাংলা নববর্ষের প্রবর্তন বা এর সাথে যুক্ত অনেক প্রথা, যেমন হালখাতা, হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে এসেছে। এমনকি পঞ্জিকা অনুসারে তারিখ নির্ধারণের বিষয়টিও হিন্দু জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপর নির্ভরশীল বলে তারা মনে করেন। আর এই যুক্তির স্বপক্ষে তারা বিভিন্ন পূজা-পার্বণ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের উদাহরণ টেনে আনেন, যা বৈশাখ মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে, পহেলা বৈশাখের ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে যারা মত দেন, তারা এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং সর্বজনীনতাকে তুলে ধরেন। তাদের মতে, সম্রাট আকবরের ফসলি সন প্রবর্তনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষকদের সুবিধা এবং রাজস্ব আদায়। এর সাথে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের যোগসূত্র ছিল না। সময়ের সাথে সাথে এই উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রা ইত্যাদি অসাম্প্রদায়িক চেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই অনুষ্ঠানে সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
বিতর্কের আরেকটি কারণ হলো, নববর্ষ উদযাপনের কিছু প্রতীক ও আচার-অনুষ্ঠান। যেমন, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, মঙ্গল শোভাযাত্রা এগুলোকে মুসলমানদের একটি বড় অংশ হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি হিসেবে দেখেন। তবে যারা এই উৎসবকে ধর্মনিরপেক্ষ মনে করেন, তারা এই প্রতীকগুলোকে আবহমান বাংলার লোকসংস্কৃতির অংশ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, যা সময়ের সাথে সাথে উৎসবে যুক্ত হয়েছে। তাদের মতে, এই প্রতীকগুলোর কোনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা নেই এবং এগুলো বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী উপাদান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে, নববর্ষ উদযাপনকারী অনেকের বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে ভিন্ন একটি ইসলামিক দৃষ্টিকোণও রয়েছে। তাদের মতে, নতুন বছরকে কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে দেখার ধারণা ইসলাম সমর্থন করে না। তাদের বিশ্বাস, ‘নতুন বছর কল্যাণ বয়ে আনে, দূর করে যাবতীয় পুরনো কষ্ট ও ব্যর্থতার গ্লানি’ – এ ধরনের কোনো তত্ত্ব ইসলামে নেই। বরং, এই ধারণা আদিযুগের প্রকৃতি পূজারী মানুষের কুসংস্কারচ্ছন্ন ধ্যান-ধারণার বহিঃপ্রকাশ। এই মতানুসারে, নববর্ষের উৎসব-আয়োজনের মাধ্যমে নামাজ-ইবাদতের প্রতিবন্ধকতা, বিধর্মীদের অনুসরণ ইত্যাদি দেখা যায়, যা একজন ঈমানদারের জন্য অনুচিত।
সাংস্কৃতিক প্রভাব ও বর্তমান যুগে প্রাসঙ্গিকতা
পহেলা বৈশাখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর সর্বজনীনতা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এই উৎসবে শামিল হয়। গ্রামীণ মেলা, লোকনৃত্য, গান, নাটক এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। এই দিনে বাঙালিরা নতুন পোশাকে সেজে ওঠে, ভালো খাবার খায় এবং একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এই মিলনমেলা বাঙালির মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির শিল্প ও সাহিত্যকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে অসংখ্য গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস। লোকশিল্পের বিভিন্ন মাধ্যম, যেমন – পটচিত্র, আলপনা, মুখোশ ইত্যাদিও এই সময়ে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা, যা ১৯৮৯ সালে শুরু হয়েছিল, বর্তমানে ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। অনেকে বলেন, এটি কেবল একটি শোভাযাত্রা নয়, বরং বাঙালির সাহস, শক্তি ও অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক।
বর্তমান যুগে পহেলা বৈশাখের প্রাসঙ্গিকতা আরও বেড়েছে। বিশ্বায়নের যুগে যখন একটি জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি হুমকির মুখে, তখন পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবগুলো বাঙালিকে তাদের শিকড়ের সাথে যুক্ত রাখে। এটি নতুন প্রজন্মকে তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। একইসাথে, এই ধরনের উৎসব একটি অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনের বার্তা বহন করে।
হালখাতার মতো কিছু প্রথা সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীদের হাত ধরে শুরু হলেও, সময়ের সাথে সাথে তা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। পহেলা বৈশাখের উদযাপন ধর্মীয় গণ্ডি ছাড়িয়ে সকল বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। রমনার বটমূলের বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত লোকজ মেলাগুলো এর অসাম্প্রদায়িক চরিত্রেরই প্রমাণ বহন করে।
পহেলা বৈশাখ কেবল একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। এই উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং একটি অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল সমাজ গঠনের প্রেরণা যোগায়।
তথ্যসূত্র –
- https://www.deshrupantor.com/355600/%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%93-%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A7%82%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%A8
- https://samakal.com/opinion/article/231815/%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF
- https://www.kalerkantho.com/online/sub-editorial/2021/04/13/1023402
- https://www.ittefaq.com.bd/683978/%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%AC
- https://sangbad.net.bd/opinion/open-discussion/2024/117860/
- https://somoyjournal.com/news-post/35812/%22%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%96-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%95-%22
- https://dainikazadi.net/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%90%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%B9%E0%A7%87/
- https://www.bbc.com/bengali/news-39579890
- https://www.prothomalony.com/opinion/9335
- https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/Qadri/29940215