লিপস্টিক ব্যবহারের ইতিহাস জানলে যে কারো গায়ে কাঁটা দেবে। সময়ের বিবর্তনে কখনো সৌন্দর্য, আভিজাত্যের প্রতীক, কখনো যৌনকর্মী কিংবা শয়তানের পূজারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে লিপস্টিক ব্যবহারকারীদের। রাজনীতি, অর্থনীতি এমনকি ধর্মের সাথেও জড়িয়ে পড়ে এই ঠোঁট রাঙানোর উপাদানটি।
সাজসজ্জার ক্ষেত্রে লিপস্টিকের জনপ্রিয়তা সবসময়ই আকাশচুম্বী। ঠোঁট রাঙ্গাতে সাধারণত নারীরাই লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন, তবে সময়ের বিবর্তনে এবং কিছু কিছু সমাজে পুরুষদের মধ্যেও লিপস্টিক ব্যবহারের প্রচলন আছে। শুধু উৎসব-পার্বন নয়, অনেকে বাড়ির বাইরে যেতেও ঠোঁটে লিপস্টিকের হালকা আভা ছড়িয়ে দিতে ভালবাসেন।
যুগে যুগে লিপস্টিকের সাথে সমাজ বাস্তবতা, নিষেধাজ্ঞা, অর্থনীতি, রাজনীতি ও ধর্ম জড়িয়ে গেলেও লিপস্টিকের জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। আজকের লেখায় আমরা লিপস্টিকের ইতিহাস, এর প্রাচীন ব্যবহার, বিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব।
প্রাচীন যুগে লিপস্টিকের ব্যবহার
প্রাগৈতিহাসিককাল থেকেই লিপস্টিকের ব্যবহার করে আসছেন নারীরা। তবে তখনকার দিনে ফল ও গাছের রস থেকে তৈরি রং ব্যবহার করা হতো সাজসজ্জায়।
সুমেরীয় সভ্যতায় লিপস্টিক
সুমেরীয় সভ্যতা থেকে মিশরীয় সভ্যতা, এরপর রোমান সভ্যতা- নারী এবং পুরুষ উভয়ই ঠোঁট রাঙাতে ব্যবহার করেছে বেরি বা জাম জাতীয় ফল, পান পাতা, লাল সীসা, মাটি, মেহেদি, বিভিন্ন পোকামাকড়, গাছ-গাছড়া কিংবা বিভিন্ন খনিজ। তবে সেসব উপাদান ব্যবহার করা হতো আঠার সাহায্যে, যেন তা ঠোঁটে লেগে থাকে।
মেসোপটেমিয়ান ও মিশরীয় সভ্যতায় লিপস্টিক
এরপর উচ্চবিত্ত মেসোপটেমিয়ানরা ঠোঁট রাঙ্গাতে রত্নচূর্ণ ব্যবহার করতে শুরু করে। মিশরীয়রা রঞ্জক পদার্থ যেমন অ্যালজিন, আয়োডিন ও ব্রোমিনের মিশ্রণে লাল রং তৈরি করে লিপস্টিক ব্যবহার করত। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ সালের দিকে মিশরের নারীরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঠোঁট রাঙানোর প্রচলন শুরু করেছিলেন। তারা নীলাভ, লাল এবং গোলাপি রঙ তৈরি করতেন পাথরের গুঁড়া, পোকামাকড়ের নির্যাস এবং উদ্ভিদ থেকে।
মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রসিদ্ধ নারী ক্লিওপেট্রা ছিলেন লিপস্টিকের একজন বড় অনুরাগী। তিনি বিশেষ ধরনের পোকামাকড় থেকে তৈরি গাঢ় লাল রঙ ব্যবহার করতেন, যা তার রাজকীয় অবস্থান এবং ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করত। তবে শুধু মিশর নয়, সুমেরীয় নারীরাও পিষে নেয়া রত্নের গুঁড়া দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন। লিপস্টিক ছিল তাদের সামাজিক মর্যাদা ও সৌন্দর্যের প্রতীক।
গ্রিসে যৌনকর্মীদের লিপস্টিক ব্যবহার
কিন্তু গ্রিসের দিকে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাবো ভিন্ন চিত্র। সেই সময়ে গ্রিসে লিপস্টিক ব্যবহার করতো যৌনকর্মীরা। এমনকি এটি আইন করা হয়েছিলো যে যৌনকর্মীরা অবশ্যই লিপস্টিক পরিধান করবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, যৌনকর্মী হয়েও লিপস্টিক না পরাতে বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়েছিল কয়েকজনকে।
কিন্তু লিপস্টিক এবার আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো একজন মুসলিম চিকিৎসকের হাত ধরে। পাউডার কিংবা তরল পদার্থ দিয়ে ঠোঁট রাঙানোর বদলে কঠিন পদার্থ দিয়ে ঠোঁট রাঙানোর চিন্তা আসলো মানব মস্তিষ্কে। আর সেই সূত্র ধরে আট থেকে তেরো শতকের মধ্যে সলিড লিপস্টিকের ধারণার অগ্রগতি হয়।
৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের আল-আন্দালুসে জন্ম নেন আরব চিকিৎসক আবুল কাজিজ। তিনি শরীরে সুগন্ধি মাখার জন্য এমন একটি উপাদান আবিষ্কার করেন, যা একই সাথে মুড়িয়ে ফেলা যাবে এবং ছাঁচে ফেলা যাবে। সেই ছাঁচের উপাদান শরীরে মাখলেই সুগন্ধ হবে। কিন্তু তিনি শুধু সুগন্ধিতেই থেমে থাকলেন না, এবার তিনি এসবের সাথে রঙ মিশিয়ে দিলেন এবং জন্ম লাভ করলো সর্বপ্রথম সলিড লিপস্টিক।
মধ্যযুগে লিপস্টিকের অবস্থান
এগারো থেকে তেরো শতকের মধ্যে দেখা গেলো নারীরা হরহামেশাই বেগুনি কিংবা কমলা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করছেন। কিন্তু মধ্যযুগে এসে লিপস্টিক আবারও পড়লো ধর্মের করতলে। খ্রিস্টান ধর্মের প্রসারের ফলে লাল লিপস্টিক পরা হয়ে গেলো প্রশ্নবিদ্ধ। এই সময়কাল ছিল ধর্মীয় বিশ্বাস ও সামাজিক নিয়মের কঠোর অনুশাসনে পরিচালিত। এসময় লিপস্টিকের ব্যবহার পাপ কাজ হিসেবে বিবেচিত ছিল। যারা লিপস্টিক ব্যবহার করতেন, তাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হতো, এমনকি একে শয়তানের কাজের সাথে জড়িত বলে মনে করা হতো।
বিশেষ করে ইউরোপে, লিপস্টিকের ব্যবহারকে ডাইনি, দেহব্যবসায়ী বা পাপী নারীদের পরিচায়ক হিসেবে দেখা হতো। ক্যাথলিক চার্চের মতামত অনুযায়ী, ঠোঁট রাঙানোর প্রবণতা ছিল শয়তানের প্রভাবের একটি চিহ্ন। ফলে, এই সময় লিপস্টিক ব্যবহার করার অর্থ ছিল নিজেকে সমাজ থেকে আলাদা করে শাস্তির মুখোমুখি হওয়া। তবে নিম্নবিত্ত ও গ্রামাঞ্চলের নারীরা খুবই সীমিত পরিসরে মাঝেমধ্যে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঠোঁট রাঙাতেন।
পরবর্তীতে এই প্রসাধনী নিষিদ্ধ করার জন্য পোপ একটি নির্দেশনা প্রচলন করলেন। যার ফলে লিপস্টিক পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, কিন্তু লাল বা গাঢ় রঙের পরিবর্তে জায়গা করে নিলো প্রাকৃতিক গোলাপি রঙ, যা নারীদের পাপশূন্যতার প্রতীক হিসেবে গ্রহণযোগ্য ছিলো।
লিপস্টিকের বিবর্তন ও পুনর্জাগরণ
ষোল শতকে রাণী প্রথম এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণের পর প্রসাধনী আবার হাল-ফ্যাশনে চলে আসলো। তিনি প্রসাধনীর প্রতি ছিলেন বিশেষভাবে আকৃষ্ট। রাণী সাধারণত ঠোঁটে লাল রং ব্যবহার করতেন। এরপর কোসিনিয়ালের কারমাইন রঙের সাথে শ্বেতস্ফটিক মিশিয়ে তৈরি হলো আরেক ধরনের লিপস্টিক। রাণী এলিজাবেথ তার সাদা সাজপোশাকের সঙ্গে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করে স্বতন্ত্র সৌন্দর্যের একজন ফ্যাশন আইকন হয়ে উঠেছিলেন।
তবে রাণী স্বয়ং এই প্রসাধনীর প্রতি আকৃষ্ট হলেও লিপস্টিকের প্রতি চার্চের বিরোধিতা পুরোপুরি মিটে যায়নি। চার্চগুলো মনে করতো, প্রসাধনী হলো জাদুবিদ্যার আবিষ্কার। এর প্রধান কারণ ছিলো জনপ্রিয় এক বিশ্বাস যে, প্রসাধন মানুষকে প্রাকৃতিক জরা এবং রোগবালাই থেকে সুরক্ষা দেয়। অথচ মজার ব্যাপার হলো, এই শতকে মানুষ ধীরে ধীরে যেসব উপাদান লিপস্টিকে ব্যবহার করতে শুরু করলো, তার অধিকাংশই ছিল ক্ষতিকারক, যা মৃত্যুকে নিবৃত্ত করার বদলে বরং ত্বকের ক্ষতিই করছিলো।
আধুনিক যুগে লিপস্টিকের আবিষ্কার ও ব্র্যান্ড ইতিহাস
লিপস্টিক নামটির প্রচলন হয়েছে ১৮৮০ সালে। সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক লিপস্টিক উৎপাদনে ফ্রান্সের নাম উঠে আসে। ১৮৮০ সালে প্যারিসে সুগন্ধী শিল্পেই তৈরি হয় বাণিজ্যিক লিপস্টিক। ১৮৯০ সালের শেষদিকে ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে লিপস্টিক বিক্রি করা শুরু হয় এবং এর প্রসারে বিজ্ঞাপন প্রচারও শুরু হয়। সেসময় লিপস্টিক কাগজের কৌটায় বা টিউবে বিক্রি করা হতো।
১৯১৪ সালে সিনেমা শিল্পে ব্যবহারের জন্য সর্বপ্রথম প্রসাধনী উৎপাদিত হয়। এসব প্রসাধনী ছিল থিয়েটারে ব্যবহৃত প্রসাধনীর চেয়ে হালকা। আর এর মাধ্যমেই প্রসাধনী শিল্প এক আধুনিক বাণিজ্যের দিকে পা বাড়ায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কর্মক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি বাড়তে লাগলো, সেই সাথে বাড়তে লাগলো নারীদের আত্মবিশ্বাস আর স্বাধীনতাও। পুরুষেরা যা করতে পারে, নারীরাও তা-ই করতে পারে এবং সাজগোজ এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না। নারীরা তাদের উপার্জনের টাকায় প্রসাধনী কিনতে লাগলো আরও বেশি করে।
১৯১৫ সালে মরিস লেভি সর্বপ্রথম ধাতব কৌটার লিপস্টিক তৈরি করলেন, যা ঠেলে উপরে তোলা যায়। তারই হাত ধরে আধুনিক লিপস্টিকের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। লিপস্টিকটি ছিল সহজে বহনযোগ্য এবং সাধারণ নারীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে।
আমরা আজ ‘আধুনিক লিপস্টিক’ বলে জানি তার নাম ‘সুইভেল-আপ’ লিপস্টিক যা সর্বপ্রথম উদ্ভাবন হয় ১৯২৩ সালে। এই লিপস্টিকের উদ্ভাবক জেমস ব্রুস জুনিয়র এটিকে বলেছিলেন ‘টয়লেট আর্টিকেল’।
বিশের দশকে গাঢ় লালচে বেগুনি, বেগুনি, টকটকে লাল, গাঢ় লাল আর বাদামি রঙ ছিল হালে থাকা বহুল ব্যবহৃত লিপস্টিক শেড। এর মধ্যে লিপস্টিক ব্যাপক উৎপাদন হয় আর হয়ে ওঠে স্বল্প মূল্যের। নারীরা তাদের ব্যাগে লিপস্টিক আর আয়না বহন করতে শুরু করেন।
তিরিশ দশকে, প্রসাধনীর উপর ধর্মীয় নাক সিঁটকানো বন্ধ হলো। নারীরাও তাদের ভোটাধিকার পেলো এবং বাইরে কাজ করার পরিমাণ বাড়লো। এই দশকে অতিরিক্ত রঙচঙে বা উদ্ভট রঙের লিপস্টিকের ব্যবহার কমে আসলো। তার বদলে জায়গা করে নিলো রুবি পাথরের মতো অভিজাত লালচে ম্যাট রঙ। লিপস্টিক ছিল সকল স্তরের নারীদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। এমনকি আর্থিক হতাশায় থাকা নারীদের কাছেও লিপস্টিক ছিল এমন একটি বস্তু, যা দিয়ে তারা একটু আভিজাত্যের ছোঁয়া পেতে পারেন।
ম্যাক্স ফ্যাক্টর সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক লিপগ্লস তৈরি করে, যা শুধুমাত্র চলচ্চিত্র তারকারা ব্যবহার করতেন। এটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে এটি হয়ে যায় হলিউডের গ্ল্যামার আর সিনেমার স্বর্ণযুগের প্রতীক। সিনেমা তারকারা হয়ে ওঠেন অনুকরণীয় আর দেবতুল্য।
১৯৩০ সালে অভিনেত্রী ইভ আর্ডেন দাবি করেন,
“যেসব নারীরা লিপস্টিক পরিধান করেন, তাদের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।”
লিপস্টিকের রঙ পরিবর্তনের ইতিহাস
বিভিন্ন সময়ে লিপস্টিকের রঙের বিবর্তন এর ইতিহাসের আরেকটি চমকপ্রদ দিক। প্রাচীন মিশরে লাল রঙ ছিল রাজকীয়তার প্রতীক। মধ্যযুগে লিপস্টিকে গাঢ় লাল বা কালো রঙের ব্যবহারকে শয়তানের পূজার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করা হতো। কিন্তু রেনেসাঁসের সময় এটি সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে পুনরায় স্বীকৃতি পায়। বিংশ শতকের শুরুতে লিপস্টিকের রঙ বৈচিত্র্যময় হতে থাকে। পরবর্তীতে নারীদের চাহিদা ও ব্যক্তিত্ব অনুসারে লাল, গোলাপি, পীচ, এবং ন্যুড রঙের পাশাপাশি নতুন নতুন শেড তৈরি হতে থাকে। বর্তমানে রঙের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা নেই।
বর্তমানে শুধু লাল, গোলাপি বা ন্যুড শেড নয়, গাঢ় নীল, কালো, বেগুনি থেকে শুরু করে আরও অনেক গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা হয় সাহসী ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হিসেবে। এছাড়া, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যানে বিভিন্ন রঙ পরিবর্তনকারী লিপস্টিক তৈরি হচ্ছে যা তাপমাত্রা বা পিএইচের উপর নির্ভর করে ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন করে।
এই বিবর্তন লিপস্টিককে কেবল সৌন্দর্যের অংশ হিসেবে নয়, বরং সৃজনশীলতার মাধ্যমেও পরিণত করেছে।
এখনো লাল রঙের লিপস্টিক নিষিদ্ধ যে দেশে
রাণী ভিক্টোরিয়ার যুগেও প্রসাধনী ব্যবহার করাকে ধরে নেওয়া হতো অভিনেত্রী, সন্দেহজনক চরিত্রের কিংবা যৌনকর্মীদের কাজ বলে। তবে শতাব্দীর ঘূর্ণনে প্রসাধনী হয়ে যায় নারীদের জন্য আধুনিক এবং উন্মুক্ত। কিন্তু এমন দেশ এই যুগেও রয়েছে যেটি কিনা লিপস্টিক ব্যবহারের উপর বিভিন্ন কঠোর অনুশাসন দিয়ে রেখেছে৷ আর সেটি হলো উত্তর কোরিয়া।
সেই দেশের নারীরা কখনো লাল শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করেন না। উত্তর কোরিয়ায় লাল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে। কেউ যদি এই লিপস্টিক শখের বশেও ব্যবহার করেন, তবে তাকে পেতে হবে কঠোর শাস্তি।
বর্তমান যুগে লিপস্টিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এটি নারীর ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতার একটি শক্তিশালী ভাষা হয়ে উঠেছে। লিপস্টিকের এই দীর্ঘ ইতিহাস প্রমাণ করে যে সৌন্দর্য কখনোই শুধুমাত্র বাহ্যিক বিষয় নয়; এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ শক্তি, সাহসিকতা, এবং সৃজনশীলতার প্রতিফলন। লিপস্টিক শুধু ঠোঁট রাঙায় না, এটি রাঙায় জীবনের গল্প।
তথ্যসূত্র-
- https://www.tbsnews.net/bangla/tags/%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%87%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8https:
- //www.google.com/amp/s/www.prothomalo.com/amp/story/lifestyle/style/bihg5i0uzk
- https://bangla.thedailystar.net/%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A8/%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A7%9F-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AA%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0-367291
- https://archive.roar.media/bangla/main/lifestyle/evolution-of-lipstick