Image default
যাপন

২০২৫ বসন্তে ফ্যাশনে নতুন ট্রেন্ড

লং জ্যাকেটের সাথে লেহেঙ্গা, শারারা বা পালাজো সাথে কুর্তির বদলে টপ বা অফ-শোল্ডার ব্লাউজ, স্কার্ট উইথ কুর্তি বা ক্রপ টপ্‌, শাড়ি উইথ বেল্ট ইত্যাদি। অনেকে এই ফ্যাশনকে ফিউশন ফ্যাশানও বলে থাকে। এটি তরুনীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি লুক।

বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিলো নেশা

কারা যে ডাকিলো পিছে, বসন্ত এসে গেছে

আর মাত্র কটা দিন পরই, এই গানের মধ্য দিয়ে বসন্তকে বরণ করে নেওয়া হবে। শীতের কুয়াশা সরিয়ে, রুক্ষ প্রকৃতিকে নবজীবন দিতে আগমন ঘটে ঋতুরাজ বসন্তের। চারদিকে ফুলের বাহার, কোকিলের সুর, আর মৃদু বাতাসে ভেসে বেড়ানো পলাশ, শিমুল আর কৃষ্ণচূড়ার ভালোবাসার ঘ্রাণ জানান দেয় – বসন্ত এসে গেছে। আর এই ঋতুকে বরণ করে নিতে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের জীবনেও আসে উৎসবের আমেজ।

বসন্ত মানেই রঙের উৎসব। আর এই ঋতুর মূল আকর্ষণই এর ফ্যাশনের ছোঁয়া। প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে এসময় পোশাক-আশাকেও আসে উজ্জ্বল রঙ, হালকা কাপড় ও স্টাইলিশ ডিজাইনের সমাহার। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই বসন্তে কোন কোন ফ্যাশন ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে-

বসন্তের পোশাক 

বসন্ত বরণ মানেই বর্ণিল পোশাক ও উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া! এই উৎসবকে ঘিরে ফ্যাশন হাউসগুলোতে রঙিন কাপড়ে ফুলেল নকশা বেশি দেখা যায়।

বসন্ত বরণে নারীদের প্রথম পছন্দ থাকে শাড়ি। উজ্জ্বল কিংবা প্যাস্টেল রংয়ের মধ্যে ফুলের নকশার শাড়ি পরা এখন অন্যতম ফ্যাশন ট্রেন্ড। তবে এবছর ,শুধু শাড়িতে নয়, ব্লাউজেও নতুনত্ব দেখা যাবে। ট্র্যাডিশনাল ব্লাউজের বদলে কন্ট্রাস্ট ব্লাউজ, বেলুন স্লিভ বা কাটআউট ডিজাইন, হ্যান্ডপেইন্ট বা এমব্রয়ডারি, ব্যাক ডিজাইন করা ব্লাউজ এ বছর বসন্তের লুকে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বসন্তের শাড়িতে নারী

শাড়ি ছাড়াও বসন্তের স্টাইলিশ পোশাক

শাড়ির পাশাপাশি যারা আরামদায়ক পোশাক পছন্দ করেন, তাদের জন্য সালোয়ার কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস, গাউন, কাফতান, টিউনিক, টপস-স্কার্ট ভালো অপশন হতে পারে। 

এছাড়া এ বছর ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন বেশ ট্রেন্ডিংয়ে থাকবে। ইন্দো-ওয়েস্টার্ন ফ্যাশন হলো  

ট্র্যাডিশনাল ও মডার্ন লুকের মিশ্রণ। যেমন লং জ্যাকেটের সাথে লেহেঙ্গা, শারারা বা পালাজো সাথে কুর্তির বদলে টপ বা অফ-শোল্ডার ব্লাউজ, স্কার্ট উইথ কুর্তি বা ক্রপ টপ্‌, শাড়ি উইথ বেল্ট ইত্যাদি। অনেকে এই ফ্যাশনকে ফিউশন ফ্যাশানও বলে থাকে। এটি তরুনীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় একটি লুক।

বসন্তে ইন্দো ওয়েস্টার্ন লুক

পোশাকের রং 

বসন্তের কথা উঠলেই নিশ্চয়ই আপনার মাথায় আসে হালকা হলুদ বা বাসন্তী রঙের কথা। কিন্তু এমনটি কেন? 

শীতের শেষে প্রকৃতি ধীরে ধীরে রঙিন হতে শুরু করে। আর সেই রঙের প্রধান অংশ জুড়ে থাকে হলুদ বা বাসন্তী রঙের আভা। ফুলগুলো বেশির ভাগই হয় হলুদ। পাশাপাশি, পরিপক্ব ফল ও ফসলের ক্ষেতের রংও হয় হলুদ বা হলুদাভ। প্রকৃতির এই পরিবর্তন মানুষের মনেও প্রভাব ফেলে। তাই বসন্ত মানেই আমাদের কল্পনায় ভেসে ওঠে হলুদ রঙের চিত্র। 

এছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতি ও উৎসবের সঙ্গেও এই রঙ জড়িত। একদিকে এই রং যেমন নতুন সূর্যের কিরণ, উজ্জ্বলতা ও আনন্দের প্রতীক। অন্যদিকে দেবী সরস্বতীর আরাধনায়ও এই রং প্রজ্ঞা ও জ্ঞানদানের প্রতীক।

শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সারা বিশ্বেই হলুদকে শান্তি, সাহস, উষ্ণ, সতেজতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। যেমন জাপানে এই রং সাহসের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। আবার চীনে হলুদ রংকে ধরা হয় সুখ, গৌরব ও প্রজ্ঞার প্রতীক হিসেবে। 

সে যাই হোক, এবার আসা যাক ফ্যাশনের কথায়। আগেই উল্লেখ করেছি, আমাদের বসন্তের প্রথাগত রং হলুদ। তাই বসন্তের পোশাকে হলুদ কিংবা হলুদের বিভিন্ন শেড থাকবে না এমন তো হতেই পারে না। তাই প্রতিবছরের মত এবারও বসন্তের মূল রং থাকবে হলুদ। যেহেতু ভালোবাসার দিবস আর বসন্ত একই দিনে পড়ে তাই উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রঙের পোশাক ট্রেন্ডে থাকবে সবচেয়ে বেশি। 

বিশেষ করে ম্যাজেন্টা, নিয়ন ফ্লেয়ার, রেট্রো নীল, জাম রং এবং চেরি লাল রঙের পোশাক তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হবে। সবুজের নানা শেড যেমন গাঢ় সবুজ, টিয়া সবুজ, কচি পাতার রং এ ধরনের রং দেখা যাবে। প্যাস্টেল শেডের মধ্যে- হালকা গোলাপি, ল্যাভেন্ডার, বেবি ব্লু , সফট পীচ, লেমন ইয়েলো ইত্যাদির চাহিদাও থাকবে। 

আর আপনি যদি এমন মানুষ হয়ে থাকেন যার রং পছন্দ নয় তাহলে সাদা, অফ-হোয়াইট কিংবা আইভরি রঙের ওপরে বিভিন্ন রঙের নকশা করা কাপড় জড়িয়ে নিতে পারেন গায়ে।

২০২৫ সালের বসন্তে কোন ফেব্রিক জনপ্রিয়

২০২৫ সালের বসন্তে ফ্যাশন জগতে আরামদায়ক ও প্রাকৃতিক ফেব্রিকের  প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে, সুতি, মসলিন, লিনেন, তাঁত এবং জামদানি কাপড়ের পোশাকগুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করবে।

সুতি ও মসলিন: হালকা ও আরামদায়ক হওয়ায় সুতি ও মসলিনের পোশাক বসন্তে বেশ জনপ্রিয়। এ বছর ফ্যাশন হাউজগুলোতে এই ফ্যাব্রিকের ওপর ফুলেল নকশা ও উজ্জ্বল রঙের সমন্বয়ে নতুন ডিজাইন দেখা যাচ্ছে। তাই ধারণা করা যায় যে এই বছর সুতি ও মুসলিম ফেব্রিকের চাহিদা বেশি থাকবে। 

লিনেন: লিনেনের তৈরি হালকা রঙের পাঞ্জাবি ও অন্যান্য পোশাক পুরুষদের মধ্যে জনপ্রিয়। এগুলো পরতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি উৎসবের আমেজও প্রদান করে।

তাঁত ও জামদানি: প্রতিবছরই ঐতিহ্যবাহী তাঁত ও জামদানি কাপড়ের ব্যবহারও বসন্তের ফ্যাশনে বিশেষ স্থান দখল করে। নারীরা সবসময়ই হালকা সুতির শাড়ি, তাঁত ও জামদানি শাড়ি পরতে পছন্দ করে। তাই এটি কখনোই ট্রেন্ড থেকে সরে যায় না। 

তাঁত ও জামদানি শাড়িতে নারী

বসন্তে কেমন নকশা এ বছর ট্রেন্ডিং

ফ্লোরাল প্রিন্ট-

বসন্ত মানেই কিন্তু ফুল ফোটার সময়। আর খুব সম্ভবত সে কারণেই ফ্যাশনেও ফ্লোরাল প্রিন্ট বা ফুলের নকশা এখন ইন। ফ্লোরাল প্রিন্ট এমন একটি নকশা যা কখনো পুরনো হয় না এবং সবসময়ই আধুনিক ও ট্রেন্ডি থাকে।

বসন্তে ফুলের নকশা এমন একটি উপাদান, যা পোশাকে প্রাণ ও রঙের ছোঁয়া এনে দেয়। এই সময়ে যেকোনো রঙের ফ্লোরাল প্রিন্ট পোশাকে দারুণ মানায়।

জ্যামিতিক নকশা

আপনি যদি ফুলের নকশা না পরতে চান, সেক্ষেত্রে জ্যামিতিক নকশা করা পোশাকও পরতে পারেন এবছর বসন্তে।ফুল-লতাপাতা, আলাম, জামদানি, ইক্কত, পেইসলেসহ বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশার সমন্বয়ে তৈরি করা পোশাক ফ্যাশনে আনে এক অন্য ধরনের ইউনিক লুক। 

কাঁথা স্টিচ নকশা 

২০২৫ সালের ফ্যাশন ট্রেন্ডে কাঁথা স্টিচ নকশা বিশেষভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। এখন প্রশ্ন কাঁথা স্টিচ নকশা আসলে কি? কাঁথা স্টিচ হলো মূলত হাতের সূচিকর্ম। অর্থাৎ, এখানে সুতা দিয়ে কাপড়ে উপর সুন্দর নকশা তৈরি করা হয়। আগে এটি শুধু লেপ-কম্বলের জন্য ব্যবহৃত হতো। কিন্তু এখন এই নকশা শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, ব্লাউজ, স্কার্ট, ব্যাগসহ নানা ফ্যাশন অনুষঙ্গেও জায়গা করে নিয়েছে।

প্যাচওয়ার্ক শাড়ির ছবি

প্যাচওয়ার্ক নকশা 

এই ঋতুর ফ্যাশনে নতুনত্ব আনতে চাইলে প্যাচওয়ার্ক নকশা দেখতে পারেন। প্যাচওয়ার্ক হল বিভিন্ন রঙ ও নকশার কাপড়ের টুকরো একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা ডিজাইন। যা আপনার শাড়ি বা সেলোয়ার কামিজে এনে দেবে নতুনত্ব ও স্টাইলিশ লুক। যেহেতু প্যাচওয়ার্ক নকশা করা কাপড় বেশ নরম এবং আরামদায়ক হয়। তাই তা বসন্তের জন্য একদম পারফেক্ট। 

ব্লক প্রিন্ট

ব্লক প্রিন্ট আসলে একটি পুরানো হস্তশিল্প। যেখানে সিল্ক বা কটনের কাপড়ে গাছের কাঠের ব্লক দিয়ে রঙ বসিয়ে নকশা তৈরি করা হয়। এটি আমাদের ঐতিহ্যের একটি বড় অংশ। যা বর্তমানে ফ্যাশনে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বসন্তে ব্লক প্রিন্টের পোশাক বিশেষভাবে পছন্দ করা হয়।কারণ এর প্রাকৃতিক নকশা এবং উজ্জ্বল রং বসন্তের প্রকৃতির সাথে খুব ভালোভাবে মানিয়ে যায়। 

রিকশা প্রিন্ট

রিক্সা প্রিন্ট চশমা ও পোশাক

রিকশা প্রিন্ট বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। বর্তমান সময়ে শুধু রিকশার সাজসজ্জাতেই নয়, ফ্যাশনেও এটি জায়গা করে নিয়েছে। এই প্রিন্টে সাধারণত উজ্জ্বল রঙ, ফুল, পাখি, চলচ্চিত্রের পোস্টার, গ্রামীণ জীবন ও নকশাকারের হাতে আঁকা শিল্প ফুটে ওঠে।  ফিউশন ট্রেন্ডের কারণে তরুণদের মধ্যে এই প্রিন্টের পোশাক, ব্যাগ, জুতো ও এক্সেসরিজের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে ।বসন্তসহ যেকোনো উৎসবের সঙ্গে এই বর্ণিল নকশাগুলো দারুণভাবে মানিয়ে যায়।

তাছাড়া কিছু বছর ধরে রিকশা প্রিন্ট চশমার ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। ফাল্গুন ,বৈশাখ, দুর্গাপূজা কিংবা বিয়ের মতো উৎসবে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে রিকশা প্রিন্ট চশমার বেশ চাহিদা দেখা যাচ্ছে। এটি ফ্যাশনে নতুন মাত্রা যোগ করছে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ও ট্রেন্ডি ফ্যাশনের প্রতি আগ্রহও এই চশমাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে।

বসন্তের সাজ

ফুল ছাড়া বসন্তের সাজ যেন অপূর্ণই থেকে যায়।বসন্তের ফুল বাঙালি নারীদের উৎসবের প্রিয় অংশ। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে তাজা ফুলের গয়না পরা কিংবা চুল ফুল দিয়ে সাজানো-সবই যেন বসন্তের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।

চুলের সাজ

চুলের সাজে ফুলের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। মেসি বান, ফুলেল বেণি, সফট কার্ল বা খোঁপা—যে কোনও চুলের স্টাইলের সঙ্গে ফুল যোগ করলে তা হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয়। আপনি চাইলে খোলা চুলেও কানের একপাশে ফুল গুঁজে দিতে পারেন।

ফুলের গয়না পরা নারী

ফুলের গয়না

বসন্তের রঙিন প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে তাজা ফুলের গয়না পরা বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়। বিশেষ করে বসন্তের সময় গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, বেলি, জিপসি, কাঠগোলাপের মতো ফুলের গয়না একদম পারফেক্ট। এই গয়না সাধারণত কানে, গলায়, বা মাথায় পরা হয়, যা পুরো সাজকে আরও সুন্দর ও উৎসবমুখর করে তোলে।

আজকাল ফুলের দোকানগুলোতে নানা ধরনের ফুল দিয়ে বানানো হেডব্যান্ডও পাওয়া যায়, যা আপনার বসন্তের সাজে এক দারুণ টুইস্ট যোগ করতে পারে।

মেকআপ

সাজের সময় আবহাওয়া অনুযায়ী পোশাক ও মেকআপ নির্বাচন করুন। যেহেতু বসন্তের দিনে পোশাক সাধারণত রঙিন হয়, তাই মেকআপে ন্যাচারাল বা নো মেকআপ লুক নিতে পারেন।

মেকআপ শুরুর আগে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে প্রাইমার ব্যবহার করুন। মেকআপের পর সেটিং স্প্রে লাগিয়ে নিন, যাতে এটি দীর্ঘক্ষণ ঠিক থাকে। চোখে হালকা রঙের আইশ্যাডো ও মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন। লিপস্টিকে ন্যুড শেড বা শাড়ির সঙ্গে মানানসই কোনো রঙ বেছে নিন। গালে হালকা ব্লাশের ছোঁয়া দিন এবং শেষে কপালে একটি টিপ পরুন।

আর যেহেতু বাহিরে রোদ থাকবে তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

আর যারা সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় এই দিনটিতে আলাদা করে সাজার সুযোগ পাবেন না, তারা হাতে একটি ফুলের মালা জড়িয়ে নিতে পারে।  এর ফলে কর্মক্ষেত্রেও এটি বসন্তের আগমনের সিগন্যাল দেবে। আপনি গোলাপ, গাঁদা, বেলি, চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি, ক্যালেন্ডুলা, কাঠগোলাপ, গ্লাডিওলাস, এরকম নানা ফুলের সমাহার থেকে নিজের পছন্দমতো ফুল বেছে নিতে পারেন। অথবা কয়েক রঙের ফুল মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

সোর্স

Related posts

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কোন রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো ?

ইনডোর প্ল্যান্ট নাকি জাদুর কাঠি?

admin

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More