আনুমানিক ১০,০০০ বছর আগেই মানুষ গাঁজার সঙ্গে পরিচিত হয়। তখনকার মানুষ গাঁজা খেত না, বরং এই গাছ ব্যবহার করত কাপড় বানাতে, দড়ি তৈরি করতে, ওষুধ হিসেবে বা কৃষিকাজে।
বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত জায়গা……যেখানে চারপাশে সবুজ গাছগাছালি বা ধানের ক্ষেত নয়, বরং ছড়িয়ে আছে গাঁজার ক্ষেত! কেউ বলে, এ গ্রামে ঢুকলেই নাকি বাতাসে নেশার ঘোর লেগে যায়! আবার কেউ দাবি করে, গ্রামজুড়ে চলে গাঁজার অবাধ চাষাবাদ। জায়গাটি কুষ্টিয়া জেলার কয়েকটি গ্রাম, যা আজ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে,“গোল্ডেন ভিলেজ” নামে।
যদিও একটা সময় এই গ্রামগুলোর নাম শুধু স্থানীয়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আজকালের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও আর গল্পের কারনে এটা এক কৌতূহলময় উপাখ্যানে পরিণত হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,এই সব কথা কতটা সত্য? সত্যিই কি এই গ্রামগুলোতে গাঁজার রাজত্ব চলে? নাকি সবই সোশ্যাল মিডিয়ার রঙচঙে গল্প?
প্রাচীন কালে গাঁজার উল্লেখ
আপনি জানেন কি, আজ যেটাকে আমরা মাদক হিসেবে চিনি, সেই গাঁজা গাছটাই ছিল একসময় মানুষের চিকিৎসা, পোশাক আর ধর্মীয় রীতিনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ? মূলত গাঁজার ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরোনো। বিজ্ঞানীরা বলেন, এই গাছের জন্ম হয়েছে মধ্য এশিয়ায়, বিশেষ করে চীন, ভারত আর হিমালয়ের আশপাশে। আনুমানিক ১০,০০০ বছর আগেই মানুষ গাঁজার সঙ্গে পরিচিত হয়। তখনকার মানুষ গাঁজা খেত না, বরং এই গাছ ব্যবহার করত কাপড় বানাতে, দড়ি তৈরি করতে, ওষুধ হিসেবে বা কৃষিকাজে।
প্রাচীন চীনেই প্রথম গাঁজার চাষ শুরু হয় বলে ইতিহাসবিদদের ধারণা। প্রাচীন চৈনিক ওষুধের বইয়ে গাঁজার উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে ব্যথানাশক, ঘুমের সমস্যা ও হজমের সমস্যার প্রতিকার হিসেবে এটি ব্যবহৃত হতো। ভারতেও গাঁজা খুব প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত ছিল। হিন্দু ধর্মে ‘ভাং’ নামক এক পানীয় রয়েছে, যেটা শিবঠাকুরের পুজোতে আজও ব্যবহার হয়। আয়ুর্বেদেও এই গাছ ব্যবহার করা হতো চিকিৎসার জন্য।
এরপর ইসলাম-পূর্ব ও মধ্যযুগে গাঁজা ছড়িয়ে পড়ে পারস্য, মিশর ও আরব দেশগুলোতে। সুফি সাধকেরা নাকি ধ্যানের সময় গাঁজা ব্যবহার করতেন। আফ্রিকায় আরব বণিকদের মাধ্যমেও গাঁজার আগমন হয় এবং ধীরে ধীরে তা স্থানীয় সংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়।
ইউরোপে গাঁজা প্রবেশ করে প্রাচীন গ্রিস ও রোমান সাম্রাজ্যের সময়। সেখানে এটি ওষুধ, দড়ি ও কাপড় তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এমনকি মধ্যযুগে ইংল্যান্ডে গাঁজার চাষ ছিল বাধ্যতামূলক। আর, আমেরিকায় ব্রিটিশ উপনিবেশের সময় জর্জ ওয়াশিংটন তার খামারে গাঁজার চাষ করতেন। তখনও গাঁজা ছিল একদম বৈধ।
বাংলাদেশে গাঁজার প্রচলন
বাংলাদেশে্রও গাঁজা চাষের ইতিহাস প্রায় এক যুগ পুরানো। এর সূচনা হয়েছিল উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়, যখন দেশের কৃষি ছিল মূলত ধান, আখ ও পাটনির্ভর। বিশেষ করে নওগাঁ অঞ্চলে, যেখানে কৃষকের জীবন চলত ঋতুর ছন্দে, নদীর ধারায়, আর সাদামাটা ফসলের উপর নির্ভর করে। কিন্তু এই চিরচেনা কৃষি জীবনে ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে শুরু করে এক নতুন গাছ, গাঁজা।
ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকেরা এই গাছের মধ্যে খুঁজে পান এক ব্যতিক্রমী সম্ভাবনা। একদিকে এর ওষুধি গুণ, অন্যদিকে নেশাসৃষ্টিকারী বৈশিষ্ট্য—এই দুইয়ের মাধ্যমে তারা রাজস্ব আহরণের সুযোগ দেখতে পান। সেই সুযোগ তারা হাতছাড়া করতে চাননি। তাই গাঁজা চাষকে তারা বৈধতা দেন এবং এর ওপর সরকারিভাবে কর আরোপ করেন।
প্রথমদিকে যশোর থেকে আনা বীজ ব্যবহার করে নওগাঁর কৃষকরা গাঁজার পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। মাটি ও জলবায়ু উপযোগী হওয়ায় ফলন হয় দারুণ। ব্রিটিশ সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে এবং ১৯০৬ সালে নওগাঁয় একটি সরকারি গাঁজা চাষ কেন্দ্র স্থাপন করে। এই কেন্দ্র শুধু একটি কৃষি প্রকল্প ছিল না, এটি গোটা অঞ্চলের অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে দেয়।
১৯৬০-এর দশকে, তখনকার পাকিস্তান আমলে, কিছু চরাঞ্চলের পতিত জমিকে সরকারি উদ্যোগেই গাঁজা চাষের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকার তখন গাঁজা উৎপাদন করে বৈধভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করত। কৃষকরাও সানন্দে এই চাষ শুরু করেন। কারণ অন্য কোনো ফসল এত লাভ দিত না, যতটা দিতো গাঁজা। সে সময় গাঁজাকে শুধু একটি উদ্ভিদ হিসেবে নয়, বরং এক ধরনের অর্থনৈতিক সম্পদ হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
গোল্ডেন ভিলেজ এর গল্প
বাংলাদেশে গাঁজা চাষের সবচেয়ে বিস্তৃত ও আলোচিত এলাকা হলো কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা। বিশেষ করে আদাবাড়িয়া, রিফায়েতপুর, ঢেউখালি, কাচারীপাড়া, প্রাগপুর এমন ২৬টি গ্রাম দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত গাঁজা উৎপাদনের ঘাঁটি হিসেবে।
কিন্তু এ বিষয়ে সরকারি কোন নথি পাওয়া যায় না।
তবে সময়ের পালাবদলে দৃশ্যপট বদলে যায়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ কার্যকর হওয়ার পর গাঁজাকে অবৈধ মাদকের তালিকাভুক্ত করা হয়। এর ফলে দেশে গাঁজা উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে।
কিন্তু এই সরকারি নিষেধাজ্ঞার পরও, এসব গ্রামের মানুষ থেমে থাকেনি। কারণ তাদের কাছে গাঁজা ছিল না শুধুই এক ধরনের ‘মাদক’,বরং এটি ছিল তাদের জীবন-জীবিকার একমাত্র ভরসা। দারিদ্র্যপীড়িত চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য এই গাছই হয়ে উঠেছিল সোনার ফসল।
গোপনে হলেও তারা এর চাষ চলাতে থাকে। এই কুষ্টিয়ার ‘গোল্ডেন ভিলেজ’-এর ২৬টি গ্রামের অনেকেই সরাসরি জড়িয়ে আছে গাঁজা চাষের সাথে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, অনেকে গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবাই তা সেবন করে না। তবে যুবসমাজ, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের মাঝে গাঁজা সেবনের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। গ্রামের দোকান, চায়ের আড্ডা, স্কুল ফাঁকি দিয়ে নির্জন বাঁশঝাড় বা মাঠের কোনে চলতে থাকে গাঁজার ধোঁয়ার আসর।
যেহেতু বাংলাদেশে গাঁজা চাষ আইনত নিষিদ্ধ, এজন্য নিয়মিতভাবে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গাঁজার ক্ষেত ধ্বংস করে, কৃষকদের গ্রেপ্তার করে। এখন প্রশ্ন হলো,যদি আইন এতই কঠোর, তাহলে বছরের পর বছর ধরে কুষ্টিয়ার ২৬টি গ্রামে কীভাবে গাঁজার মতো অবৈধ ফসল চাষ হয়ে যাচ্ছে?
এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে একটি অদৃশ্য এবং প্রভাবশালী সিস্টেম। স্থানীয়ভাবে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া, এবং দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের কিছু সদস্য মিলে তৈরি করেছে এই জাল। তারা মূলত নেপথ্যে থেকেই পুরো গাঁজা ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখে।
একদিকে গরিব কৃষক জীবিকার জন্য গাঁজা চাষ করে, মামলার ঝুঁকি নেয়। আর অন্যদিকে সেই গাঁজার বড় চালান দেশের বাইরে পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে। কিন্তু এই পাচারের লাভ কৃষকের হাতে আসে না, যায় মূলত সেই গোপন সিন্ডিকেটের পকেটে। ফলে দেখা যায়, প্রকৃত মুনাফাখোরদের কেউ ছোঁয় না, কিন্তু একজন সাধারণ কৃষক সব দায় কাঁধে নিয়ে পুলিশি হয়রানি আর মামলার শিকার হয়।
এই গ্রামের নাম শুনলেই যদি প্রথম মনে পড়ে ‘গাঁজা’, তবে ভাবুন তো সমাজ সেই মানুষদের কীভাবে দেখে!! এই গ্রামগুলোর মানুষকে অনেকেই সরাসরি “গাঁজাখোর”, “চোরাকারবারি”, “মাদকচাষি” বলে হেয় করে। পথে-ঘাটে, শহরের দোকানে, এমনকি আত্মীয়দের মাঝেও তারা সন্দেহের চোখে দেখা পড়ে।
কিন্তু বাস্তবতা হলো এদের অনেকেই গাঁজা চাষ করে না ইচ্ছা করে, বরং নিরুপায় হয়ে। চরাঞ্চলের জমিতে ধান বা অন্যান্য ফসল হয় না, অন্য চাকরি নেই, নেই কোনো সরকারি সহায়তা। যদি সরকার বিকল্প কোনো আয়ের পথ তৈরি করত, বাস্তবভিত্তিক কৃষি প্রণোদনা দিত, তবে অনেকেই এই পথ ছেড়ে দিতে রাজি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘গোল্ডেন ভিলেজ’ শব্দটা যেন পরিণত হয়েছে এক রহস্যময়, কৌতূহল উদ্রেককারী নাম হিসেবে। ইউটিউবে সার্চ করলেই একের পর এক ভিডিও পাওয়া যায়—ড্রোন শটে গাঁজার ক্ষেত, ব্যাকগ্রাউন্ডে থ্রিলার মিউজিক, আর ভয়ভীতিময় ভয়েসওভার:
“বাংলাদেশের ভিতরেই রয়েছে এমন গ্রাম, যেখানে সকাল-সন্ধ্যা চাষ হয় গাঁজা!”
এইসব ভিডিও, নিউজ রিপোর্ট আর সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল ক্লিপগুলো সত্য-মিথ্যার এমন এক মিশ্রণ তৈরি করেছে, যা একদিকে যেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, অন্যদিকে তেমনি বিকৃত করছে বাস্তবতাকেও। সাংবাদিকতা যেখানে হওয়ার কথা তথ্যভিত্তিক, ন্যায্য ও মানবিক, সেখানে অনেক সময় কিছু ইউটিউব রিপোর্ট বা অনলাইনে শেয়ার হওয়া ক্লিপ হয়ে উঠছে শো-অফ আর ক্লিকবেইটের এক মাধ্যম।
এর সমাধান কী?
যখন আমরা কুষ্টিয়ার ‘গোল্ডেন ভিলেজ’-এর মতো এলাকায় গাঁজার গোপন চাষের কথা বলি, তখন একটা প্রশ্ন খুব স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে—এই সমস্যার আসল সমাধান কী? সব সময় কি পুলিশের অভিযান চালিয়েই সবকিছু ঠিক করা যাবে?
না, বরং এখানেই আমাদের থামা উচিত। একটু গভীরে তাকানো উচিত। কারণ সমস্যাটা শুধু আইন ভাঙার নয়। এর পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের দারিদ্র্য, কর্মসংস্থানহীনতা, আর একরকম নিরুপায় হওয়া।এখানকার অনেক চাষিরা গাঁজা চাষ করেন শুধু টিকে থাকার জন্য, অন্য কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে। তারা তো অপরাধী হয়ে জন্মাননি, বরং পরিস্থিতি তাদের ঠেলে দিয়েছে এই পথে।
তাই যদি আমরা সত্যিকারের পরিবর্তন চাই, তাহলে দরকার একটা মানবিক, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। প্রথমেই প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। চাষিদের শেখাতে হবে গাঁজার বিকল্প বৈধ ফসল চাষের কৌশল।যেমন- মরিচ, হলুদ, ফল, ভেষজ গাছ।এগুলো যেমন লাভজনক, তেমনি আইনের চোখেও নিরাপদ। এর সাথে যুক্ত হতে হবে ক্ষুদ্রঋণ ও কৃষি সহায়তা। সরকারি কিংবা এনজিও উদ্যোগে কম সুদে ঋণ, বীজ ও কৃষিযন্ত্রের সহজলভ্যতা চাষিদের বিকল্প পথে হাঁটতে সাহায্য করবে। শুধু টাকার অভাবে যেন আর কেউ অবৈধ পথে না যায়।
কিন্তু আমাদের আশেপাশে অনেকেই আবার বলেন,“গাঁজার তেল গায়ে লাগালে বাতের ব্যথা কমে যায়”, “গাঁজার চা খেলে মাথার চাপ হালকা হয়”, কিংবা “একটু ধোঁয়া টানলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায়”। এমন বিশ্বাস গ্রামগঞ্জে তো আছেই, এমনকি শহরের অলিগলিতেও শোনা যায়। সত্যি বলতে, এমন বিশ্বাস বহু বছর ধরেই চলে আসছে।
শেষ কথা…
লোকচিকিৎসায় গাঁজা ছিল এক পরিচিত নাম। খাঁটি গাঁজার তেল, শুকনো পাতা সেদ্ধ করে বানানো চা,এসব ছিল অনেকের কাছে ঘরোয়া ওষুধের মতো। কিন্তু…যখন আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে তাকাই, তখন ছবিটা একটু অন্যরকম। আধুনিক গবেষণা বলছে,নিয়মিত গাঁজা সেবনের কিছু মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।যেমন- স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে, ঘন ঘন উদ্বেগ বা অ্যাংজাইটি দেখা দেয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে বিষণ্নতা, এমনকি স্কিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগের ঝুঁকিও বাড়ে।
বিশেষ করে কিশোর ও তরুণদের মস্তিষ্ক এখনও গঠনের পর্যায়ে থাকে, তখন গাঁজার ধোঁয়া সেখানে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে দিতে পারে। দেখা গেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা সেবন করে, তারা অনেক সময় বাস্তবতা থেকে দূরে সরে যায়, একধরনের ‘ঘোরের’ মধ্যে বাস করতে থাকে।
তবে এটাও সত্যি যে, নির্দিষ্ট মাত্রায়, নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গাঁজার কিছু উপাদান চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজে লাগছে। যেমন ক্যানসারের রোগীদের ব্যথা কমাতে বা খিদে বাড়াতে কিছু দেশে চিকিৎসকের পরামর্শে মেডিক্যাল গাঁজা দেওয়া হয়।
তাই এখানে দাঁড়িয়ে প্রশ্নটা দাঁড়ায়,গাঁজা কি আদৌ ওষুধ? নাকি নেশা? আসলে উত্তরটা নির্ভর করে ব্যবহারের পদ্ধতি, পরিমাণ, এবং উদ্দেশ্যের ওপর। যেমন আগুন, যা দিয়ে রান্না করা যায়, আবার পুরো গ্রামও জ্বালিয়ে দেওয়া যায়, ঠিক তেমনই গাঁজা, যা একদিকে উপকার করে, আরেকদিকে সর্বনাশও ডেকে আনতে পারে।