Image default
ঘটমান বর্তমান

ডিজিটাল মুদ্রা বিপ্লব- কোন পথে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি

ক্রিপ্টো, CBDC নাকি ফিয়াট মুদ্রা – ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে রাজত্ব করবে কে? আসছে ডিজিটাল মুদ্রার যুগ, বদলে যাবে আর্থিক লেনদেনের নিয়ম।

মনে করুন, একটি দেশে কোনো এক অজানা কারণে গোলাপের দাম হঠাৎ বেড়ে গেল। যেমন- প্রতি পিস গোলাপের দাম ৩০ টাকা থেকে এক লাফে ৩০০ টাকা হয়ে গেল। গোলাপের এমন আকাল যে তার দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। ঠিক সেসময় আপনার মাথায় আচমকা একটা বুদ্ধি এল, যখন আপনি মজার ছলে মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য কাগজের গোলাপ বানানো শুরু করলেন। 

এদিকে মজা করে বানানো কাগজের গোলাপ আপনাকে চমকে দিয়ে দেদারসে বিক্রি হয়ে গেল। শুধু তাই নয়, বাস্তব গোলাপের মত দিনে দিনে আপনার কাগজের গোলাপের দামও বাড়তেই থাকল। এরই মধ্যে কাগজের গোলাপের সরবরাহ আপনি বাড়িয়ে দিলেন অনেক গুণে। অর্থনীতির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দাম বাড়তেই থাকল। 

কেন দাম বাড়ছে তা আপনার মাথায় আসছে না? কোনো অসুবিধা নেই, আপনি কাগজ দিয়ে নতুন নতুন গোলাপ বানাচ্ছেন আর সমানে তা বিক্রি হচ্ছে।

ঠিক এমনটাই হয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে। 

বিটকয়েন

বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির হৈচৈ

বিশ্ব অর্থনীতিতে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি। গত কয়েক বছরে ক্রিপ্টোকারেন্সি ও সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC-Central Bank Digital Currency) বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম আলোচ্য বিষয়। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ব্লকচেইন ভিত্তিক ডিজিটাল মুদ্রা, যা কোনো কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয় না। অন্যদিকে, CBDC হলো ফিয়াট বা আমরা সাধারণত যে মুদ্রা ব্যবহার করি তার ডিজিটাল সংস্করণ। এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইস্যু ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দুই ধরনের ডিজিটাল মুদ্রাই লেনদেন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশেষ করে বিটকয়েন ও ইথুরিয়াম বিনিয়োগ এবং অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ক্রিপ্টো। এই পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ডিজিটাল মুদ্রার সুদূরপ্রসারী সম্ভাবনা বুঝতে পেরে CBDC তৈরিতে মনোযোগ দিচ্ছে, যা লেনদেনকে দ্রুত, সাশ্রয়ী ও নিরাপদ করতে পারে। 

যদিও বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ, এবং, CBDC চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। তবে, বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাকেও CBDC আধুনিক করতে সহায়ক হতে পারে। 

বিশ্বব্যাপী সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) এর ব্যবহার

সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে, যা উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশগুলোর চিন্তাভাবনায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টস (BIS) সহ বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা CBDC-এর সম্ভাবনা ও ঝুঁকি নিয়ে গবেষণা করছে। এই আগ্রহের মূল কারণ পেমেন্ট ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার খরচ কমানো।

বাহামা দ্বীপপুঞ্জের ‘স্যান্ড ডলার’

বাহামা দ্বীপপুঞ্জ বিশ্বে প্রথম ‘স্যান্ড ডলার’ নামে CBDC চালু করে সফলতা দেখিয়েছে। এই দ্বীপরাষ্ট্রে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন সুবিধাজনক ও সহজলভ্য হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও এই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধা পাচ্ছে।

স্যান্ড ডলার

স্যান্ড ডলার লেনদেন দ্রুত ও কম খরচে হয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও এটি কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। বাহামার সেন্ট্রাল ব্যাংক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এটি ফিয়াট মুদ্রার মতোই নিরাপদ ও স্থিতিশীল। ফলে, এই সাফল্য অন্যান্য দেশগুলোকেও CBDC গ্রহণে উৎসাহিত করেছে।

চীনের CBDC ‘ডিজিটাল ইউয়ান’ (e-CNY)

চীন তাদের CBDC ‘ডিজিটাল ইউয়ান’ (e-CNY) নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ করছে এবং পাইলট প্রোগ্রাম শেষ করেছে। তাদের লক্ষ্য দেশের পেমেন্ট সিস্টেম আধুনিকীকরণ ও লেনদেন আরও সুবিধাজনক করা। 

অন্যান্য দেশের ডিজিটাল মুদ্রা

অন্যদিকে, সুইডেন ‘ই-ক্রোনা’ (e-krona) নিয়ে গবেষণা করছে, যা ক্যাশ বা নগদ টাকার বিকল্প এবং সরকারের মাধ্যমে সরাসরি জনগণের কাছে ডিজিটাল মুদ্রা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে। এদিকে, নাইজেরিয়া ‘ই-নাইরা’ (eNaira) চালু করেছে যা আফ্রিকার প্রথম CBDC। 

ইউরোভিত্তিক দেশগুলো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান ও ভারতসহ অনেক দেশ CBDC নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী CBDC ব্যবহারের এই আগ্রহ এটাই প্রমাণ করে যে, ডিজিটাল মুদ্রা ভবিষ্যতের আর্থিক কাঠামোর অপরিহার্য অংশ হতে যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের সুবিধা 

সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC), ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে গঠিত হলেও, সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোর জন্য একাধিক সুবিধা নিয়ে এসেছে। আর এই সুবিধাগুলো আর্থিক স্থিতিশীলতা, লেনদেন দ্রুততা ও নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধিতে সহায়ক।

লেনদেন খরচ কমিয়ে দ্রুততা নিশ্চিত করা

CBDC লেনদেন খরচ কমিয়ে দ্রুততা নিশ্চিত করে। সাধারণত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আন্তঃব্যাংক লেনদেন এবং আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেনে দীর্ঘ সময় ও উচ্চ ফি প্রয়োজন হয়। কিন্তু, CBDC লেনদেনে মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমিয়ে দেয়, যা সরাসরি ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ ট্রান্সফার করার সুবিধা দেয়, ফলে লেনদেন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং পাঠানো মাত্র গ্রাহক টাকা পায়। 

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ায়

CBDC আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ায়। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠী, বিশেষত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষ, স্মার্টফোন ও ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহারের মাধ্যমে CBDC সিস্টেমে সহজে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণ ব্যাংকিং সেবার তুলনায় CBDC ব্যবহারের খরচ কম হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিনামূল্যে বা স্বল্প খরচে আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারবে। সরকারও সরাসরি ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা বিতরণে CBDC ব্যবহার করতে পারে, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সহায়ক

CBDC মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সহায়ক। প্রোগ্রামযোগ্য মুদ্রা ও স্মার্ট কন্ট্রাক্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতিকে আরও কার্যকরী ও সুনির্দিষ্ট করতে পারে। CBDC -এর উপর সরাসরি সুদের হার প্রয়োগ করার ক্ষমতা মুদ্রানীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।

জাল মুদ্রা ও অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে কার্যকর

CBDC জাল মুদ্রা ও অবৈধ লেনদেন প্রতিরোধে কার্যকর। ডিজিটাল প্রকৃতির কারণে CBDC জাল করা কঠিন এবং প্রতিটি লেনদেন ডিজিটাল লেজারে নথিভুক্ত থাকে। সেন্ট্রাল ব্যাংক সহজেই লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে অবৈধ কার্যক্রম শনাক্ত করতে পারে, যা মানি লন্ডারিং ও কর ফাঁকি রোধে সহায়ক। ক্রিপ্টোগ্রাফিক নিরাপত্তা ও কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ CBDC কে লেনদেনে স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম করবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের অসুবিধা ও ঝুঁকি

সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি ও অসুবিধাও রয়েছে, যা সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোর জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। 

হ্যাকিং ও সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি

CBDC ডিজিটাল হওয়ায় হ্যাকিং ও সাইবার আক্রমণের বড় ঝুঁকিতে থাকে। দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে হ্যাকাররা সিস্টেমে ঢুকে আর্থিক ব্যবস্থায় আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে। তাছাড়া, সিস্টেম ফেইলিউর বা ম্যালওয়্যার আক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষার উদ্বেগ

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। CBDC লেনদেন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গ্রাহকের লেনদেন ডেটা নজরদারির আওয়াতায় পড়তে পারে। এক্ষেত্রে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হতে পারে এবং তথ্যের অপব্যবহারের শঙ্কা থাকে। এর ফলে নাগরিক অধিকার ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর প্রভাব

CBDC চালু হলে প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যস্থতার ভূমিকা কমে গেলে তাদের রেভেনিউ হ্রাস পেতে পারে। আর, CBDC জনপ্রিয় হলে মানুষ ব্যাংক থেকে জমানত তুলে CBDC ওয়ালেটে রাখতে শুরু করলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলোকে নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ ও প্রস্তুতি নিতে হবে যা তাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে জটিলতা

CBDC মুদ্রানীতি বাস্তবায়নকে জটিল করতে পারে। সুদের হার নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। CBDC ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হলে আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করাও চ্যালেঞ্জিং হবে। বিভিন্ন দেশ CBDC চালু করলে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও মুদ্রা বিনিময়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC)

বাংলাদেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি অবৈধ ও নিষিদ্ধ, অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংকের লেনদেন বা প্রচার বৈধতা দেয়নি। এর প্রধান তিনটি কারণ হলো, 

  • অবৈধ অর্থপাচার,
  • বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার অভাব ও 
  • বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের উপর চাপ।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) নিয়ে বর্তমানে গবেষণা করছে, যা ফিয়াট মুদ্রার ডিজিটাল রূপ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। CBDC প্রচলনের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, বাংলাদেশ ব্যাংক সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখছে।

CBDC চালুর পথে বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর অভাব, সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি, জনগণের মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতার স্বল্পতা, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের অপ্রতুলতা প্রধান বাধা। এছাড়াও, আর্থিক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে সমন্বয়, মুদ্রানীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং গ্রাহকদের গোপনীয়তা ও ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিত করাও বড় চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি

CBDC বৈধতা পেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগতভাবে বহু সুবিধা পেতে পারে।

যেমন- 

  • ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার উন্নয়ন, 
  • লেনদেন খরচ হ্রাস, 
  • আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, 
  • সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও 
  • অর্থনীতির স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে, 
  • মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে সুবিধা এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতেও CBDC সহায়ক হবে, 
  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক CBDC চালুর সম্ভাবনা ও উপযোগিতা সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করছে। CBDC চালু করার নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করা না হলেও, বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিস্তারিত গবেষণা, পাইলট প্রকল্প পরিচালনা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসচেতনতা কার্যক্রম এবং ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে CBDC চালু করতে পারে। একটি স্পষ্ট আইনি ও নীতি কাঠামো তৈরি করাও জরুরি।

ডিজিটাল মুদ্রা প্রযুক্তি বিশ্ব অর্থনীতিতে  যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য CBDC একটি বিশাল সুযোগ। এটি একই সাথে লেনদেন খরচ কমাতে, আর্থিক সেবায় মানুষের অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে ও ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে। তবে, প্রযুক্তিগত দুর্বলতা ও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে CBDC বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

তথ্যসূত্র 

Related posts

ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর ‘থ্রি জিরো’র পৃথিবী: সকল সমস্যাকে করবে জিরো

ইসরাত জাহান ইরা

ক্লাউড ক্যাপিটালিজম- ইলন মাস্ক ও পুঁজিবাদের নতুন ধারা

admin

পারমানবিক বোমা – মারণাস্ত্রের অতীত ও বর্তমান

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More