Image default
নগর পরিচিতি

ডাবলিন: ভালোবাসা ও তারুণ্যের এক শহর

ডাবলিন মূলত ভাইকিংরা প্রতিষ্ঠা করেছিল প্রায় এক হাজার বছর আগে। “Dubh Linn” শব্দের অর্থ হলো “কালো পুকুর” – সেখান থেকেই শহরের নামকরণ।

কল্পনা করুন, আপনি রাস্তায় হাঁটছেন, চারপাশে শুধুই তরুণ মুখ, বয়সের ছাপ পড়া মানুষ যেন কোথাও নেই! আর শহরের রাস্তাগুলো যেন ভালোবাসার বাতাসে মুখরিত, প্রতিটি পথ যেন লাভ লেন, যেখানে সাজানো রয়েছে ভালোবাসার চিঠিগুলো। আর ঠিক তখনই কানে ভেসে আসে আইরিশ জাতীয়তাবাদের অমর স্লোগান “এরিন গো ব্র্যাঘ”। 

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন এমনই এক জীবন্ত শহর, যেখানে তরুণ শক্তি, ভালোবাসার উষ্ণতা ও স্বাধীনতার আগুন একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার। 

আজকের লেখায় ডাবলিন সম্পর্কে জানবো নানা জানা-অজানা তথ্য। 

ডাবলিন শহরের আয়তন জনসংখ্যা 

ডাবলিন শহরটি আয়ারল্যান্ডের রাজধানী এবং দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগরী। আইরিশ শব্দ “ডাব লিন” অর্থ “কালো পুকুর”। আর এই নামটি এসেছে লিফি নদীর একটি অংশ থেকে, যেখানে একসময় কালো জলের একটি পুকুর ছিল!  

তবে, সমুদ্রের গা ঘেঁষা এই শহরটি একদম নিরিবিলি এবং ছিমছাম সুন্দর একটি শহর। শহরটির আয়তন ১১৭.৮ বর্গ কি.মি এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ৯২ হাজার। 

ম্যাপ

ডাবলিন শহরের ইতিহাস

ডাবলিন শহরের ইতিহাস বেশ ঘটনাবহুল। নবম শতকে ভাইকিংরা এখানে আসে এবং তাদের স্থাপিত দু’টি মূল এলাকা পরবর্তীতে আধুনিক ডাবলিনের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। মধ্যযুগে ডাবলিন ছিল ভাইকিং ও আয়ারল্যান্ডের আঞ্চলিক রাজাদের যুদ্ধক্ষেত্র। 

১৩৪৮ সালে ডাবলিনে ব্ল্যাক ডেথ বা প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক মানুষ মারা যায়। এই বিপদ থেকে উৎরে গিয়ে, ১৬ শতকে টিউডর শাসনের সময়, ডাবলিন প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপর ১৮ শতকের দিকে ডাবলিনের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি হয়। ইতিহাসে এ সময়টি ‘জর্জিয়ান ডাবলিন’ নামে পরিচিত। এই সময়ে ডাবলিন ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নগরীতে পরিণত হয়। 

১৯১৬ সালের ইস্টার রাইজিং

কিন্তু, ১৯১৬ সালে এসে এই শহরের কেন্দ্রে ঘটে ইস্টার রাইজিং বিদ্রোহ। এই বিদ্রোহকে আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মোর হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। পরবর্তী সময়ে আইরিশ ফ্রি স্টেট প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯২২ সালে ডাবলিনকে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। এই ইতিহাসেরই অংশ হলো “এরিন গো ব্র্যাঘ” স্লোগানটি। যার অর্থ হচ্ছে Ireland forever বা “আয়ারল্যান্ড চিরজীবী হোক”। এটি আইরিশ স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ এবং প্রতিবাদের প্রতীক।  

বিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজ

আজকের ডাবলিন শুধু ইতিহাসের শহর নয়, এটি শিক্ষা, সাহিত্য,ব্যবসা ও সংস্কৃতির একটি প্রাণবন্ত কেন্দ্র। শিক্ষা সংস্কৃতির একটি গুরত্বপূর্ণ অংশ বিখ্যাত ট্রিনিটি কলেজ। ১৫৯২ সালে রানী প্রথম এলিজাবেথ এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

এখানকার লাইব্রেরির ভেতরে ঢুকলে আপনি একেবারে অন্য এক জগতে হারিয়ে যাবেন। বিশাল কাঠের বুকশেলফ, প্রাচীন বইয়ের গন্ধ আর নিস্তব্ধ পরিবেশ যেন আপনাকে নিয়ে যাবে কয়েক শতাব্দী পেছনে। এখানে প্রায় চার মিলিয়নেরও বেশি বই সংরক্ষিত আছে। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল দ্য বুক অব কেলস নামের একটি মধ্যযুগীয় হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, যা দেখতে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায়।

দ্য ব্রেজেন হেড বার

ডাবলিনে ব্যবসা সংস্কৃতির একটি অংশ হলো বার বা পানশালা। এই শহরে অবস্থিত বিখ্যাত টেম্পল বার এলাকাটি খুবই বিখ্যাত। দিনের বেলা এখানে আর্ট গ্যালারি, ছোট ছোট দোকান আর রঙিন দেয়ালচিত্র দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সূর্য ডোবার সাথে সাথেই যেন গোটা এলাকা একেবারে অন্য রূপে জেগে ওঠে। রাতে এখানে প্রতিটি রাস্তা ভরে ওঠে সঙ্গীত, হাসি আর আনন্দে। অসংখ্য পাব আর রেস্তোরাঁ থেকে ভেসে আসে ঐতিহ্যবাহী আইরিশ ফোক মিউজিক।

এখানকার পাবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং পুরোনো হলো দ্য ব্রেজেন হেড। এটি ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন পাব। এখানে ঢুকলেই আপনি শুধু খাবার বা পানীয় পাবেন না, বরং অনুভব করবেন কয়েক শতাব্দীর ইতিহাস। আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হলো, এই এলাকার কিছু বারে একসাথে ৬০০ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন বিয়ারের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। 

কিলমেনহাম গওল

তবে ডাবলিন এর ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়ও রয়েছে। আর সেটি খুঁজে পাবেন কিলমেনহাম গওল-এ।  এটি একসময় ছিল এক ভয়ংকর কারাগার। স্বাধীনতার জন্য লড়া অনেক আইরিশ বিপ্লবীকে বন্দী রাখা হয়েছিল এখানে। এর ঠান্ডা দেয়াল আর সরু সেলের ভেতরে ঢুকলে আপনি অনুভব করবেন সেই সংগ্রাম আর ত্যাগের কাহিনি। এটিও আজ রূপান্তরিত হয়েছে একটি জাদুঘরে, যেখানে পর্যটকরা আইরিশ স্বাধীনতার ইতিহাস কাছ থেকে দেখতে পান।

ট্রিনিটি কলেজ ও কিলমেনহাম গওল

প্যাট্রিকস ক্যাথেড্রাল এবং ক্রাইস্ট চার্চ ক্যাথেড্রাল

ডাবলিন ভ্রমণে ইতিহাস, রাজনীতি আর সংস্কৃতির পাশাপাশি ধর্মীয় স্থাপনাগুলোও আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। এই শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত দু’টি গির্জা হলো সেন্ট প্যাট্রিকস ক্যাথেড্রাল এবং ক্রাইস্ট চার্চ ক্যাথেড্রাল। প্রথমে আসি সেন্ট প্যাট্রিকস ক্যাথেড্রাল এর কথায়। এটি আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং এর ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় উঁচু খিলান, ঝলমলে অর্গান, এবং রঙিন স্টেইন-গ্লাসের জানালা। এখানে একসাথে হাজার হাজার মানুষ এখানে উপাসনা করতে পারে। জেনে অবাক হবেন, এই গির্জার সাথে জড়িয়ে আছেন বিশ্ববিখ্যাত গালিভার্স ট্রাভেলস–এর রচয়িতা জোনাথন সুইফট। তিনি এক সময় এখানে ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এই চার্চের ভেতরে ঢুকলে আপনি শুধু স্থাপত্য নয়, বরং সাহিত্য আর ইতিহাসের সুবাসও টের পাবেন।

অন্যদিকে ক্রাইস্ট চার্চ ক্যাথেড্রাল ডাবলিন শহরের ধর্মীয় ঐতিহ্যের অন্যতম প্রতীক। একাদশ শতকে নির্মিত এই গির্জা আজও তার মহিমা ধরে রেখেছে। এর ভেতরে ঢুকলে যে জিনিসটি সবার আগে আপনার দৃষ্টি কাড়বে, তা হলো এর ভূগর্ভস্থ বিশাল সমাধিগৃহ। এটি ইউরোপের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম সমাধিগৃহ। 

আর এখানেই প্রদর্শিত হচ্ছে নানা ধরণের প্রত্ননিদর্শন ও ঐতিহাসিক বস্তু। এর মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত প্রদর্শনী হলো একটি বিড়াল আর ইঁদুরের সংরক্ষিত দেহ। ধারণা করা হয়, তারা একসময় পাইপ অর্গানে আটকে গিয়েছিল। মজার বিষয় হলো আজ তারা “Tom & Jerry” নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে

প্যাট্রিকস ক্যাথেড্রাল

ডাবলিন ক্যাসেল

ডাবলিন ক্যাসেলও শহরের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রথম দেখাতেই মনে হবে যেন মধ্যযুগের কোনো সিনেমার সেটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই ক্যাসেলটি তৈরি হয়েছিল ১৩ শতকে, আর দীর্ঘ সময় ধরে এটি ছিল ইংরেজ ভাইসরদের আসন। 

এর বিশাল পুরু দেয়াল, শক্ত টাওয়ার আর ল্যানসেট জানালা এখনও সেই নরম্যান স্থাপত্যের নিদর্শন বহন করে চলেছে। এখানে ঢুকে ঘুরে দেখতে পারেন প্রাচীন হলরুম, রাজকীয় সাজসজ্জা আর অভ্যন্তরের শিল্পকলা। এখানে মাঝে মাঝে এখনো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রোক পার্ক

আপনি যদি ক্রীড়াপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রেও ডাবলিন কে হতাশ করবে না। ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য এখানে রয়েছে ক্রোক পার্ক। এটি মূলত গ্যালিক গেমসের জন্য তৈরি হলেও, এখন শহরের প্রধান স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত। গ্যালিক গেমস হলো আয়ারল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী খেলা। এসব খেলার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গ্যালিক ফুটবল ও হার্লিং। 

গ্যালিক ফুটবল অনেকটা ফুটবল আর রাগবি খেলার মিশ্রণ, আর হার্লিং কাঠের স্টিক ও ছোট বল দিয়ে খেলা হয়, যা বিশ্বের দ্রুততম মাঠের খেলা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও, এখানে বর্তমানে সময়ের ফুটবল, হকি এবং বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা পুরো স্টেডিয়ামকে জীবন্ত করে তোলে।

ফিনিক্স পার্ক 

অন্যদিকে, যারা প্রকৃতি, শান্তি এবং শিথিল পরিবেশ উপভোগ করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে ফিনিক্স পার্ক। এটি ডাবলিনের সবচেয়ে বড় সবুজ এলাকা এবং শহরের ব্যস্ত জীবনের তুলনায় এখানে হাঁটতে গিয়ে মন শান্ত হয়ে ওঠে। পার্কের ভেতরে রয়েছে ডাবলিন চিড়িয়াখানা, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখা যায়। সবুজের সমাহার, সুন্দর বাগান, খোলা মাঠ এবং প্রাণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা সব মিলিয়ে ফিনিক্স পার্ক ভ্রমণকারীদের জন্য প্রকৃতি এবং সংস্কৃতির এক চমৎকার মিশ্রণ উপভোগের সুযোগ দেয়।

ফিনিক্স পার্ক

হোয়াইটফ্রিয়ার স্ট্রিট কারমেলাইট চার্চ ও ভ্যালেন্টাইনের সমাধি

ডাবলিনের বাতাসেই যেন ভালোবাসার সুবাস মিশে আছে। বিশেষ করে যারা রোমান্টিক ভ্রমণ পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই শহর একেবারেই আদর্শ। কারণ এই শহরের হোয়াইটফ্রিয়ার স্ট্রিট কারমেলাইট চার্চে সংরক্ষিত রয়েছে ভালোবাসার রক্ষাকর্তা হিসেবে পরিচিত সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর মৃতদেহ। 

এখানে এসে আপনি শুধু তার মূর্তির সামনে প্রার্থনা করতেই পারবেন না, চাইলে একটি মোমবাতিও জ্বালিয়ে দিয়ে আসতে পারেন।

লাভ লেন

আর যদি একটু আধুনিক ও মজার ভালোবাসার অভিজ্ঞতা চান, তবে আপনার জন্য রয়েছে লাভ লেন। এটি টেম্পল বার-এর ছোট্ট এক রাস্তা, যা ডাবলিন সিটি কাউন্সিলের উদ্যোগে সাজানো হয়েছে। 

এই রাস্তার চারপাশে চোখে পড়বে ভালোবাসার চিঠি, বিখ্যাত লেখকদের প্রেমের উক্তি এবং অদ্ভুত রঙিন সব সিরামিক টাইলস। এখানে হেঁটে গেলে মনে হবে যেন পুরো শহরটাই ভালোবাসায় ভেসে উঠেছে।

লাভ লেন

ডাবলিনের উৎসব

ডাবলিন শুধু ভ্রমণ নয়, উৎসবেরও শহর। 

সেন্ট প্যাট্রিক দিবস

আর এই শহরের জীবনের রঙ ও প্রাণ সবথেকে বেশি ফুটে ওঠে সেন্ট প্যাট্রিক দিবসের উৎসবে। প্রতি বছর ১৭ই মার্চ, শহরটি পুরোপুরি সবুজ রঙে রাঙানো হয়। এই দিনে আইরিশরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে মিছিল, কুচকাওয়াজ এবং রাস্তায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। নদী ও সেতু জুড়ে নানা ধরণের রঙিন আলো, প্যারেড এবং লাইভ মিউজিক শোনার সুযোগ থাকে।

রেডহেডস ফেস্টিভ্যাল

আর আরেকটি মজার উৎসব হচ্ছে রেডহেডস ফেস্টিভ্যাল। মজার ব্যাপার হলো এই উৎসবটি শুধুমাত্র লাল চুলবিশিষ্ট মানুষদের জন্য। এই উৎসব বিশ্বজুড়ে লাল চুলওয়ালা ব্যক্তিদের আকর্ষণ করে এবং সামাজিক অনুষ্ঠান, জেনেটিক সচেতনতা এবং গর্ব ও সংযোগের অনুভূতি বৃদ্ধি করার জন্য ফটোসেশন, ছোটখাটো গেমসসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।

ট্রেডফেস্ট

এছাড়া, দেশের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার অন্যতম একটি উৎসব হচ্ছে ট্রেডফেস্ট। ট্রেডফেস্টে আয়ারল্যান্ডের লোকসংগীত এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দেখা যায়। একটু মনোযোগ দিয়ে শুনলে মনে হবে যেন বাদ্যযন্ত্র থেকে প্রকৃতির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ডাবলিনের সব উৎসবের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এগুলো শুধু দেখার জন্য নয়। আপনিও চাইলে সহজেই অংশ নিতে পারেন এ অনুষ্ঠানগুলোতে। আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে,ডাবলিন ইউরোপের সবচেয়ে তরুণ জনসংখ্যার শহর! এখানে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষের বয়স ২৫ বছরের নিচে।

ট্রেডফেস্ট

এসব উৎসব ছাড়াও ডাবলিনে প্রতি রাতেই সারা শহরেই ছোট বড় পার্টি বসে, যেখানে স্থানীয় ও পর্যটক সবাই একসাথে গান, নাচ ও আনন্দ ভাগাভাগি করে। এছাড়াও, শহরের বিখ্যাত রেস্তোরাঁ, পাব এবং কফি শপগুলোও এই দিনে বিশেষ থিম এবং সবুজ সাজে ভরা থাকে। 

অতীত ঐতিহ্য ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাবলিন, একসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জন্য একটি কাঁটার মতো ছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শহর স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে। কিন্তু আজ ডাবলিন একটি মনোরম ইউরোপীয় রাজধানী, যা আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রতীক এবং বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। 

Related posts

কায়রো – প্রাচীন কোলাহলের শহর

কার্নিভালের রঙীন শহর-রিও ডি জেনিরো

ইসরাত জাহান ইরা

সাত পাহাড়ের শহর রোম

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More