Image default
রহস্য রোমাঞ্চ

হরমুজ প্রণালী: অশান্তির সরু দরজা, যেখানে বিশ্ব জ্বালানির ভাগ্য লেখা হয়

মহাশক্তির দাবার ছক হরমুজ প্রণালী, ইরানের এক ‘না’তেই শ্বাসরোধ হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতির

ধরুন, একদিন সকালে আপনি ঘুম থেকে জেগে উঠে খবরের কাগজে চোখ বুলাতেই দেখতে পেলেন বিশ্ববাজারে তেলের দাম রাতারাতি ৭০% বেড়ে গেছে, স্টক মার্কেট হু হু করে নামছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। আপনি হয়তো চিন্তা করবেন রাতারাতি এমনটা কেনো হলো? কারণ পৃথিবীর সমুদ্রপথের মাত্র ৩৯ কিলোমিটার প্রস্থের এক সংকীর্ণ জলপথ অচল হয়ে গেছে। তাতেই এই কাণ্ড। এই সংকীর্ণ জল পথের নাম  হরমুজ প্রণালী

শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও, এই ক্ষুদ্র জলপথটাই বিশ্বের জ্বালানি প্রবাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিরা। পৃথিবীর মোট জ্বালানি রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ব্যারেলের বেশি অপরিশোধিত তেল এই হরমুজ প্রণালী দিয়েই পরিবাহিত হয়। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, সামরিক উত্তেজনা, এমনকি বিশ্ব অর্থনীতির ভবিষ্যৎও নির্ভর করে এই ক্ষুদ্র পথটির উপর।

জলের নিচে আগ্নেয়গিরি, ওপরে তেলের রাজনীতি

এই প্রণালীর দৈর্ঘ্য মাত্র ১৬০ কি.মি, প্রস্থ সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে মাত্র ৩৯ কি.মি। সহজ ভাষায়, ঢাকার গাজীপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব যতটুকু তার চেয়েও কম। কিন্তু প্রতিদিন এই জলপথ দিয়ে প্রায় ২১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পার হয়ে বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করে। যার বাজারমূল্য দিনে  প্রায় ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি

আর এই পথে দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আমেরিকা, ইরান, সৌদি আরব, এমনকি চীনও। তেল নিয়ে পৃথিবীতে বহু যুদ্ধ হয়েছে, কিন্তু এমন কোন পথে এত বিপজ্জনকভাবে গেঁথে আছে অর্থনীতি, ভূরাজনীতি আর সামরিক শক্তিতা? হয়তো এমন সংকীর্ণ তবে গুরুত্বপূর্ণ জলপথ আর দ্বিতীয়টি নেই।

যেখানে যুদ্ধ ট্যাংকারে ভাসে

হরমুজ প্রণালীতে অঘোষিত যুদ্ধ শুরু হয়েছিল বহু আগেই। ১৯৮০’র দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধ চলাকালীন  এই পথকে ঘিরে চলেছিল “ট্যাংকার যুদ্ধ”। এক জাহাজ থেকে আরেকটি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারা হতো,  এরপর সেটা ডুবিয়ে দেওয়া হতো।

মার্কিন যুদ্ধজাহাজ তখন হরমুজে এসে দাঁড়ায়। তেলবাহী জাহাজগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা লাগিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৮ সালে এমনই এক উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি বেসামরিক বিমান ভুল করে গুলি করে ফেলে। এতে ২৯০ জন নিহত হন। সেই থেকেই হরমুজ হয়ে ওঠে এক ধরনের ভাসমান আগ্নেয়গিরি। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বিস্ফোরণ ।

হরমুজ প্রণালীতে ট্যাংকার যুদ্ধ

ইরান বললেই বিশ্ব থমকে যায়

হরমুজ প্রণালী ইরানের সীমান্ত ছুঁয়ে চলে গেছে। এটাই তাদের শক্তি। ইরান জানে, এই পথেই পৃথিবীর অর্থনীতি হাঁটে। তাই তারা প্রায়ই হুমকি দেয় “আমাদের তেল যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তবে আমরা হরমুজ বন্ধ করে দেবো। আর তখন কেউই তেল পাবে না।” 

আবার বিশ্ব শক্তিকে ভয় দেখাতেও ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে চান। বর্তমান সময়ের ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যেও এই প্রণালী বন্ধের ঘোষণা দেন ইরান। এতেই গণমাধ্যমে আলোচনা ঝড় ওঠে, এই প্রণালী বন্ধ হলে তার প্রভাব কোথায় কোথায় পড়বে সেটা নিয়ে।

২০১২ সালে, ২০১৫ সালে, আবার ২০১৯-এ—ইরান এই হুমকি দিয়েছে। প্রতিবারই তেলের বাজার উত্তপ্ত হয়েছে, স্টক মার্কেটে ধস নেমেছে।

ইরান আসলে জানে, তার একটিমাত্র বাক্য “আমরা হরমুজ বন্ধ করে দিচ্ছি” দিয়েই সে পৃথিবীর তেল রাজনীতির উপর নিজের ছায়া ফেলতে পারে।

তেহরানের এই ঘোষণা বিশ্ববাজারে প্রতিধ্বনি তোলে। তেলের দাম লাফিয়ে বাড়ে। কারণ ইরানের হুমকি শুধুই কথার কথা নয়, এই প্রণালীতে ইরানের নৌবাহিনী, ক্ষেপণাস্ত্রঘাঁটি, ড্রোন প্রযুক্তি সবই সক্রিয় করে রেখেছে ইরান।

বর্তমানেও এই কৌশল চালু রয়েছে। ২০২৪ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ে, তখন ইরান আবার হুমকি দেয় হরমুজ প্রণালীতে অবরোধ সৃষ্টি করার। একই সময়ে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেন থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। ফলে বিশ্বের দৃষ্টি আবারও হরমুজে ঘুরে আসে এই বুঝি এক নতুন সংঘাত শুরু হলো।

ইরান কীভাবে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারে?

জাতিসংঘ বিধি অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশ তাদের উপকূলরেখা থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল (১৩ দশমিক ৮ মাইল) পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে। তার মানে সবচেয়ে সরু অংশে হরমুজ প্রণালী এবং এর জাহাজ চলাচলপথগুলো পুরোপুরি ইরান এবং ওমানের আঞ্চলিক জলপথের মধ্যে পড়ে।

ইরান যদি হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিমাসে ৩ হাজার বা এই সংখ্যক জাহাজ চলাচল বন্ধের চেষ্টা করে তাহলে বিশেষজ্ঞদের মতে, সেটি করার সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হল, দ্রুত আক্রমণকারী নৌকা ও সাবমেরিনের সাহায্যে ওই পথে মাইন পেতে দেওয়া।

ইরানের নিয়মিত নৌবাহিনী এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নৌবাহিনী বিদেশি জাহাজ এবং বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলাও শুরু করতে পারে। তবে বড় আকারের সামরিক জাহাজগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র সহজেই বিমান হামলা চালাতে পারবে।

ইরানের দ্রুতগতির নৌকাগুলো প্রায়ই জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত থাকে। তাছাড়া, ইরানের আছে পানির ওপর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজ, সেমি সাবমেরিন এবং সাবমেরিন।

ইরান হরমুজ প্রণালী সাময়িকভাবে বন্ধ করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা যে সেক্ষেত্রে সামরিক পন্থায় কোনও ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুতই সাগরপথে জাহাজ চলাচল আবার চালু করবে সে ব্যাপারে অনেকেই আস্থাশীল।

যুক্তরাষ্ট্র এরকম কাজ আগেও করেছে। ১৯৮০’র দশকের শেষ দিকে ট্যাংকার যুদ্ধ হিসাবে পরিচিতি পাওয়া ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় উভয় পক্ষই অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির জন্য বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছিল।

ইরাকি তেল নিয়ে যাওয়া কুয়েতি ট্যাংকারগুলো বিশেষত ওই সময় হামলার শিকার হচ্ছিল। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজগুলো এই তেলের ট্যাংকারগুলোকে উপসাগরীয় জলপথ দিয়ে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। 

হরমুজ প্রণালীটা কে চালায়? কে রাখে পাহারা?

আইন বলছে এই পথ আন্তর্জাতিক জলপথ। কিন্তু বাস্তবে এটি যেন হয়ে গেছে বিশ্বের শক্তিধরদের শো-ডাউন মঞ্চ। ইরান দাবি করে, তার সামরিক ঘাঁটি, নৌবাহিনী, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হরমুজ পাহারা দেয়। যুক্তরাষ্ট্র হর্স-গার্ডের মতো দাঁড়িয়ে থাকে তাদের ফ্লিটের মাধ্যমে, যাতে তেলের জাহাজ নিরাপদে চলতে পারে। সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আমিরাত এই দেশগুলোর নিজেদের অস্তিত্বই নির্ভর করে এই পথের উপর।

ইরান চায় হরমুজ হোক তার “প্রভাব বলয়”। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র চাই হরমুজ হোক “উন্মুক্ত জলপথ”। এছাড়াও, পশ্চিমা জাহাজ রক্ষার জন্য “International Maritime Security Construct (IMSC)” নামে এক যৌথ বাহিনী হরমুজে টহল দেয় যার নেতৃত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন জাহাজ

তেলের পেছনে হাঁটে বিশ্বরাজনীতি

চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত সব দেশই এই হরমুজ পথের উপর নির্ভরশীল তেলের জন্য। তারা জানে, একদিন যদি এই পথ বন্ধ হয়, তাহলে গ্যাস স্টেশন বন্ধ হবে, ফ্যাক্টরির উৎপাদন থেমে যাবে, বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে লোহার দাম বেড়ে যাবে দ্বিগুণ হারে।

তাই তারা সবাই চুপচাপ হরমুজকে দেখে অনেকটাই ভয়ে ভয়ে। আর ইরান ঠিক সেই ভয়টাকে পুঁজি করে নিজের কূটনৈতিক চেয়ারে বসে বিশ্ব শক্তিগুলোর ঘুম কেড়ে নেয়।

বর্তমানে চীন সরাসরি ইরানের সঙ্গে তেল চুক্তি করেছে, যাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও তারা ইরানের তেল পেতে পারে। অপরদিকে ভারত বিকল্প পথে চাহবাহার বন্দর ও আন্তর্জাতিক উত্তর-দক্ষিণ করিডর (INSTC) দিয়ে হরমুজকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে। তবুও হরমুজ থেকে পুরোপুরি মুক্তি সম্ভব হয়নি।

ইআইএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরব তাদের পূর্ব-পশ্চিম পাইপলাইন সক্রিয় করেছে। এই পাইপলাইন ১,২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল অশোধিত তেল পরিবহন করতে পারে।

২০১৯ সালে সৌদি আরব সাময়িকভাবে অশোধিত তেল পরিবহনের জন্য একটি প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনকে কাজে লাগায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত তার অভ্যন্তরীন তেলক্ষেত্রগুলোকে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছে। দৈনিক ১৫ লাখ ব্যারেল তেল এই পাইপলাইনের মধ্য দিয়ে সরবরাহ করা যায়।

২০২১ সালের জুলাইয়ে ইরান ওমান উপসাগরে অশোধিত তেল পরিবহন করতে গোরেহ-জাস্ক পাইপলাইন উদ্বোধন করে।

এই পাইপলাইন দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল পরিবহন করা সম্ভব। যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান এখনও এই পাইপলাইন চালু করেনি।

ইআইএ-এর হিসাবমতে, এই বিকল্প পথগুলো দিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ লাখ ব্যারেল তেল সরবরাহ করা সম্ভব। এই অংক বর্তমানে হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবহন হওয়া অশোধিত তেলের প্রায় ১৫ শতাংশ।

মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক থ্রিলার শুরু হয় এখানেই

আপনি যদি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বুঝতে চান, তাহলে হরমুজ প্রণালীকে বোঝা জরুরি। সৌদি আরব ও ইরান যেন দুই চিরশত্রু, যারা দু’দিক থেকে প্রণালীর চারপাশে বসে আছে, একে অপরকে লক্ষ্য করে। অপর দিকে কাতার, আমিরাত নিজেদের অর্থনীতি এই পথ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স, তাদের যুদ্ধজাহাজ ছায়ার মতো তাড়া করে বেড়ায় উপসাগরের জাহাজগুলোকে। আবার চীন চায় এই পথ নিরাপদ থাকুক, কিন্তু যেন পশ্চিমা প্রভাব না থাকে।

এই দ্বন্দ্ব-দৃষ্টিতে হরমুজ যেন এক রাজনৈতিক তীর্থস্থান, যেখানে সবাই যেতে চায়, কিন্তু কেউই কারো উপর বিশ্বাস করে না।

তেলের স্রোত থেমে গেলে কী হয়?

একবার কল্পনা করুন, ইরান সত্যিই হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিয়েছে।  কি হবে? তেলের দাম ২০০ ডলারে পৌঁছাবে, যুক্তরাষ্ট্র তার স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ খুলবে, ইউরোপে বিদ্যুৎবিভ্রাট শুরু হবে, চীনের ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, দক্ষিণ এশিয়ায় গ্যাসের দাম দ্বিগুণ হবে, এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এক আর্থিক বিপর্যয়ের সূচনা হবে।

২০২৩ সালের শেষদিকেও এই আতঙ্ক ছিল প্রবল। ইরান ও ইসরায়েলের উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন ফ্লিটকে বাড়ানো হয় হরমুজে। এই সামরিক তৎপরতা বিশ্বের বাজারে বারবার জ্বালানির দামে আলোড়ন তুলেছিল। 

এই জলপথ কার? কে হাসবে শেষ হাসি?

ইরান হুমকি দেয়, কিন্তু পুরোপুরি হরমুজ বন্ধ করতে গেলে তার নিজের অর্থনীতিও বন্ধ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র সুরক্ষা দেয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এত টাকা খরচ করে এই প্রণালী পাহারা দেওয়া টেকসই নয়। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো তারা ভয় পায়, আবার প্রণালীর উপর নির্ভরতাও কমাতে পারে না।

তেলভিত্তিক এই রাজনীতিতে শেষ হাসি হাসবে সেই, যে বিকল্প পথ খুঁজে পাবে। কেউ পাইপলাইন বানাচ্ছে, কেউ নতুন বন্দর খুঁজছে। কিন্তু যতদিন না সেই বিকল্প আসে, হরমুজই পৃথিবীর “শ্বাসরোধের কেন্দ্র” হয়ে থাকবে। 

শেষে যা রয়ে যায়

সত্যি বলতে কী, হরমুজ প্রণালী এক আধুনিক দুঃস্বপ্ন, ছোট এক গলির মতো, যার ওপর দিয়ে চলে একটা শহরের পুরো জীবন। এই জলপথ কেবল একটা ভৌগোলিক স্থান নয়, এটি হচ্ছে এক জিওপলিটিকাল নাট্যশালা। যেখানে প্রতিদিন অভিনয় হয় শক্তির, অর্থনীতির, তেলের আর আধিপত্যের এক অস্থির গল্প।

হয়তো একদিন, এই গল্পের শেষ হবে। হয়তো একদিন পৃথিবী তেল ছেড়ে অন্য শক্তির দিকে যাবে। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত, হরমুজ প্রণালী এক এমন জলপথ যে ছোট কিন্তু কাঁপায় পুরো পৃথিবী।

 তথ্যসূত্র:

Related posts

কেন জাপানের ড্রাগন’স ট্রায়াঙ্গেলে সবকিছু নিখোঁজ হয়ে যায়?

চিলির শয়তানের মন্দির – শয়তান যেখানে মুক্তির পথ

আবু সালেহ পিয়ার

নিউ ইয়ার রেজ্যুলুশন সত্যি নাকি মিথ !!

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More