Image default
যাপন

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী কোন রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো ?

স্কিন টোন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন কি শুধুই এক নিছক ট্রেন্ড নাকি আত্মবিশ্বাসের এক নতুন পরিচয়”

হঠাৎ করেই সামাজিক বিভিন্ন মাধ্যম এবং ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্কিন আন্ডারটোন ও কালার থিউরি নিয়ে সবাই কথা বলা শুরু করেছে। এই ট্রেন্ড বিভিন্ন সেলিব্রেটি শো, বিশেষভাবে কেপপ আর্টিস্টদের শোগুলোতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কোন রঙ আপনার স্কিন টোনের সঙ্গে মানাবে?’ এমন কনটেন্ট ভাইরাল হচ্ছে, মেকআপ ব্র্যান্ডগুলো আন্ডারটোন-ভিত্তিক শেড নিয়ে আসছে, এমনকি কোরিয়ান ফ্যাশন থেকে পশ্চিমা ব্র্যান্ড পর্যন্ত এখন “সিজনাল কালার অ্যানালাইসিস” নিয়ে কাজ করছে। 

কিন্তু এই ট্রেন্ড হঠাৎ এলো কেন?

স্কিন আন্ডারটোন ও কালার থিউরির ট্রেন্ড: কেন এখন সবাই এ নিয়ে আগ্রহী 

বর্তমানে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি পার্সোনালাইজড ফ্যাশনে শিফট করছে। যার কারণে, এখন ফ্যাশন ব্র‍্যান্ডগুলো পার্সোনালাইজড মেকাপ প্রোডাক্ট এর শেড বের করা থেকে শুরু করে কাস্টম শেড পর্যন্ত বানিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে। 

এই পার্সোনালাইজড ফ্যাশন ভাইরাল হওয়ার কারনে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনফ্লুয়েন্সার এবং সেলিব্রেটিরা “কালার এনালাইসিস”, “ পার্সোনালাইজড কালার প্যালেট”, কাস্টম মেক আপ আইটেম সার্ভিসগুলো খুব আগ্রহসহকারে গ্রহণ করছে। এই প্রত্যেকটা সার্ভিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে তথ্যটি লাগে তাহলো স্কিন টোন এবং এর আন্ডারটোন।

পার্সোনালাইজড ফ্যাশন সার্ভিস

স্কিনটোন এর বোঝাপড়ার শুরু

স্কিনটোন এবং এর আন্ডারটোনের ধারণাটি বহু পুরনো এক বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। মূলত, এক্ষেত্রে রঙ ও ত্বকের সম্পর্ক বুঝতে শিল্প, রঙবিদ্যা (color theory) এবং ডার্মাটোলজি একসঙ্গে কাজ করেছে। 

রেনেসাঁ যুগের শিল্পকলার রঙবিদ্যা, ১৯২০-৩০ দশকের কসমেটিক গবেষণা, ১৯৮০-এর “Four Seasons Color Analysis” এবং আধুনিক কে-বিউটি ট্রেন্ড থেকে ধারণাটি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। 

রেনেসাঁ শিল্পীরা স্কিন টোনের বৈচিত্র্য বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে কসমেটিক ব্র্যান্ডগুলো মেকআপ প্রোডাক্ট তৈরি করতে কাজে লাগায়। ১৯৮০ সালে Carole Jackson স্কিন আন্ডারটোন অনুযায়ী রঙ নির্বাচনকে জনপ্রিয় করেন, যা আজকের ব্যক্তিগত ফ্যাশন ও মেকআপের ভিত্তি।

বর্তমানে, কে-বিউটি ও AI টেকনোলজি স্কিন আন্ডারটোন বিশ্লেষণকে আরও নিখুঁত করেছে, যেখানে নির্দিষ্ট রঙের উপযোগিতা চিহ্নিত করা হয়। Google Lens ও Sephora Virtual Try-On-এর মতো প্ল্যাটফর্ম এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্ডারটোন পরীক্ষা করতে পারে। স্কিন আন্ডারটোন শুধু ফ্যাশনের জন্য নয়, বরং সেলফ-এক্সপ্রেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষ তাদের চেহারার সঙ্গে মানানসই রঙ বেছে নিতে পারছে।

স্কিন টোন অনুযায়ী সঠিক পোশাক নির্বাচন

আমাদের পোশাক আমাদের ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। তাই বর্তমানে সচেতন মানুষরা পোশাক নির্বাচনে স্কিন টোন অনুযায়ী পোশাকের সঠিক রঙ কী হওয়া উচিত তা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু  এর জন্য আগে প্রয়োজন স্কিন টোন যাচাই করা। 

কিভাবে স্কিন টোন ও আন্ডারটোন চেনা যায়?

ত্বকের রঙে শুধু ফর্সা, শ্যামলা বা গাঢ়র পাশাপাশি যদি ত্বকের আন্ডারটোন বুঝতে পারা যায় তাহলে পোশাকের রঙ নির্বাচন করা আরও সহজ হয়। বাইরে থেকে ত্বকের যে সাধারণ রং আমরা দেখি যেমন- ফর্সা, শ্যামলা, গাঢ় এগুলোকে ওভারটোন বলে। রঙ তত্ত্বের ভিত্তিতে, প্রতিটি রঙের নিজস্ব উষ্ণ বা শীতল আন্ডারটোন থাকে।

স্কিনটোনের বিভিন্ন শেড

সাধারণত ত্বকের আন্ডারটোন তিন ধরনের হয়:

১। উষ্ণ (Warm) – ত্বকে সোনালি বা হলুদ আভা থাকে।

২। শীতল (Cool) – ত্বকে গোলাপি বা নীলচে আভা থাকে।

৩। নিউট্রাল (Neutral) – উষ্ণ ও শীতল উভয় বৈশিষ্ট্য মিশ্রিত থাকে।

আন্ডারটোন চেনার সহজ উপায়

আন্ডারটোন চেনার এটা সহজ উপায় হলো সূর্যের আলোতে হাত দেখলে যদি আপনার শিরাগুলো সবুজাভ দেখায় তবে, তা উষ্ণ আন্ডারটোন (Warm Undertone), নীল বা বেগুনি দেখালে শীতল আন্ডারটোন(Cool Undertone), আর সবুজ ও নীলের মাঝামাঝি হলে নিউট্রাল আন্ডারটোন(Neutral Undertone)। আবার বলা হয়, সূর্যের আলোতে গেলে সহজে যদি ট্যান হয়ে যান, তবে উষ্ণ টোন, আর যদি ত্বক লালচে হয়ে যায় তবে শীতল টোন।

এই স্কিন আন্ডারটোনের সাথে এক্সেসরিজের একটা সম্পর্ক রয়েছে। যেমন সোনালি গয়না বেশি মানালে উষ্ণ আন্ডারটোন, রুপালি গয়না বেশি মানালে শীতল, আর দুই ধরনের গয়নাই ভালো লাগলে নিউট্রাল। কিন্তু এটাকে অনেকে আবার মিথ হিসেবেও নিয়ে থাকে। 

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সেরা পোশাকের রঙ

কালার থিউরি অনুযায়ী উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারীদের  সাধারণত যেকোনো রঙেই ভালো লাগে, তবে তাদের জন্য কিছু রঙ এমন রয়েছে, যা তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বাড়িয়ে দেয়। সেগুলো হলো-

  • প্যাস্টেল শেডস: যেমন পস্ট পিঙ্ক, হালকা নীল, প্যাল গোলাপি, স্নো-হোয়াইট। এগুলো উজ্জ্বল ত্বককে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে।
  • গাঢ় নীল বা নেভি ব্লু: এই রঙটি উজ্জ্বল ত্বকে সুরেলা ভাবে পরিপূর্ণতা যোগ করে।
  • প্রত্যক্ষ রঙ: যেমন গাঢ় লাল বা ম্যাজেন্টা। উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ব্যক্তিরা এই ধরনের রঙে সতেজ এবং প্রাণবন্ত দেখাতে পারেন।

তবে খুব ফ্যাকাশে বা অতিরিক্ত উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরার সময় সতর্ক থাকতে হবে, কারণ এগুলো কখনো কখনো ত্বকের প্রকৃত উজ্জ্বলতা ম্লান করতে পারে।

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কালার শেডস

শ্যামলা ত্বকের জন্য কোন রঙের পোশাক ভালো

শ্যামলা ত্বক সাধারণত সোনালি বা গাঢ় বাদামি শেডে থাকে। এর জন্য সঠিক রঙগুলো তাদের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও রঙের সৌন্দর্যকে উন্নত করে। সেরা রঙগুলোর মধ্যে-

  • রিচ ওয়ার্ম টোনস: যেমন সোনালি, হলুদ, কমলা, এবং টারকোয়েজ। এগুলো শ্যামলা ত্বকে একটি উষ্ণ আভা যোগ করে।
  • গাঢ় সবুজ ও জঙ্গলী রঙ: শ্যামলা ত্বক খুব ভালোভাবে এই ধরনের রঙে খোলামেলা এবং মার্জিত লাগে।
  • ধোঁয়া রঙের শেডস: যেমন সিঁদুরী, চকোলেট ব্রাউন এবং গাঢ় মেরুন।

এছাড়া, খুব ফ্যাকাশে রঙ বা ঠাণ্ডা রঙ যেমন সিলভার বা সাদা শ্যামলা ত্বকে খুব ভালো নাও মানাতে পারে। 

শ্যমবর্ণের ত্বকের জন্য কালার শেডস

গাঢ় ত্বকের জন্য ফ্যাশন টিপস

গাঢ় ত্বক এমন এক ধরনের স্কিন টোন যাদেরকে উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের পোশাক যেমন রুবি রেড, কপাল ব্লু, মেটালিক গোল্ড বা ডিপ গ্রিন দারুণ মানায়। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ-

  • গাঢ় রঙের পোশাক: গাঢ় ত্বকের অধিকারীরা সাধারণত গাঢ় ও গভীর রঙে চমৎকার দেখতে পারেন। যেমন গাঢ় নীল, ব্ল্যাক, ডিপ রেড, বা পোর্ট ওয়াইন।
  • এলেগেন্ট মেটালিক শেডস: গোল্ড, কপার বা রোজ গোল্ডের মত মেটালিক রঙ তাদের ত্বককে আরও প্রাণবন্ত এবং সুন্দর করে তোলে।
  • কনট্রাস্টিং রঙ: যেমন সাদা বা হালকা সোনালি রঙের প্যান্ট বা টপস, গাঢ় ত্বকে চমৎকার কনট্রাস্ট তৈরি করতে পারে।

এছাড়া, খুব প্যাস্টেল শেডস বা অতি ফ্যাকাশে রঙ পরলে ত্বক ম্লান হয়ে যেতে পারে।

“গ্লাস স্কিন” এর পর এবার “পারফেক্ট কালার”

কে-বিউটি (K-Beauty) কেবল স্কিনকেয়ারের জন্য বিখ্যাত নয়, বরং স্কিন টোন ও আন্ডারটোনের ধারণাটিকেও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করেছে। “কোন রঙ আমাকে বেশি মানাবে?”—এ প্রশ্ন এখন প্রায় সবার মনে আসছে, বিশেষ করে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্টের জন্য পোশাক বেছে নিতে হয়। 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে কে-বিউটি, কে-পপ ও হলিউড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারণে “পার্সোনাল কালার অ্যানালাইসিস” এবং “কালার থিওরি” ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু আসলেই কি এই কালার থিওরি ১০০% কার্যকর? নাকি এটি কেবলমাত্র এক ধরনের ট্রেন্ড?

কোরিয়ান ফ্যাশনে শীতল ও উষ্ণ আন্ডারটোন বিশ্লেষণ

কে-বিউটিতে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে হাইলাইট করার প্রবণতা রয়েছে। তাই ফাউন্ডেশন, ব্লাশ, লিপস্টিক থেকে শুরু করে পুরো ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে স্কিন আন্ডারটোন অনুযায়ী রঙ নির্বাচন করা হয়। “Personal Color Matching” কে-বিউটিরই অংশ। কোরিয়ায় পার্সোনাল কালার অ্যানালাইসিস স্টুডিও অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিল, যেখানে একজন বিশেষজ্ঞ আপনার স্কিন টোন অনুযায়ী সেরা রঙ ঠিক করে দেন। এখন এই কনসেপ্ট গ্লোবাল ট্রেন্ড হয়ে গিয়েছে। 

উদাহরণ:

  • K-beauty ব্র্যান্ড 3CE, Etude House, Peripera – যারা তাদের লিপস্টিক শেড ভাগ করে ‘Warm/Neutral/Cool’ আন্ডারটোন অনুযায়ী।
  • “Korean tone-up cream” স্কিন টোনকে উজ্জ্বল করার পাশাপাশি আন্ডারটোনের সঙ্গে ম্যাচ করে। 

এমনকি K-Beauty মেকআপ লুকেও Cool tone vs. Warm tone আলাদা ফিনিশিং দেওয়া হয়!

কে-পপ স্টাইলিং: “কালার থিউরি” দিয়ে নতুন ট্রেন্ড তৈরি

কে-পপ শিল্পীরা শুধু মিউজিকের জন্য জনপ্রিয় নন, বরং, কে ওয়েভের সুবাদে তারা ফ্যাশন ট্রেন্ডও সেট করছে। কে-পপের দুনিয়ায় “স্কিন আন্ডারটোন অনুযায়ী স্টাইলিং” এখন বিশাল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কে-পপ স্টাইলিস্টরা প্রতিটি মেম্বারের স্কিন আন্ডারটোন বুঝে পোশাক ও চুলের রঙ বেছে নেয়। 

কে-পপ ফ্যানেরা নিজেকে প্রিয় আইডলের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে চায়, “আমার স্কিন টোন কি তাদের মতো?” কে-পপ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি “Personal Color Styling” নিয়ে অনেকরকম কনটেন্ট তৈরি করছে এখন, যা গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রভাব ফেলছে।

যেমন- তাদের মতে BTS-এর ভি শীতল আন্ডারটোনের বলে নীল, গ্রে, ও প্যাস্টেল রঙ পরেন। আবার BLACKPINK-এর লিসার উষ্ণ আন্ডারটোনের কারণে গোল্ডেন, ট্যান, ও উজ্জ্বল কমলা রঙে বেশি উজ্জ্বল দেখায়। NewJeans-এর মিনজির নিউট্রাল আন্ডারটোন থাকায় সে সবরকম রঙ ক্যারি করতে পারে। 

কে সেলিব্রেটি নিয়ে কালার এনালাইসিস শো এর দৃশ্য

এখন সাধারণ মানুষও ভাবছে— “আমি কীভাবে আমার ফ্যাশনে এই কনসেপ্ট আনতে পারি?”

কালার থিওরি ও বর্তমানে ফ্যাশনের প্রবণতা

কয়েক বছর আগেও ‘উষ্ণ না শীতল স্কিন টোন’ বিষয়টি শুধু মেকআপ আর্টিস্টদের জগতে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন TikTok, Instagram Reels, এবং Pinterest-এ AI কালার অ্যানালাইসিস টুলের মাধ্যমে মানুষ সহজেই নিজের আন্ডারটোন চেক করতে পারছে। 

টিকটক ট্রেন্ড এ ‘Personal Color Analysis’ কনসেপ্ট এখন ট্রেন্ডিং টপিক, যেখানে লোকজন নিজেদের ছবির ওপর ফিল্টার দিয়ে দেখে কোন রঙের পোশাক বা মেকআপ তাদের বেশি মানায়। Pinterest Fashion এ একসময় সাধারণ ফ্যাশন টিপস জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু এখন পিন্টারেস্টে ‘Seasonal Color Guide’ বা ‘Best Colors for Warm Skin Tone’ এর মতো গাইড লাখো মানুষ সার্চ করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার এই প্রবণতা মানুষকে নিজেদের স্টাইল নিয়ে বেশি সচেতন করছে এবং সবাই জানতে চাইছে— কোন রঙ আমার জন্য পারফেক্ট?

গ্লোবাল ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে রঙের বিজ্ঞান

এখন শুধু কে-বিউটি বা কে-পপ না, বরং পশ্চিমা ফ্যাশন ব্র্যান্ডেরাও এই ট্রেন্ডকে গ্রহণ করছে। যেমন জনপ্রিয় আর্টিস্ট রিহানার ব্র‍্যান্ড Fenty Beauty এর  ফাউন্ডেশন শেড কালেকশনে সবার একরকম স্কিন টোন ও আন্ডারটোন না, এ কথা বিবেচনা করে ৫০টিরও বেশি শেড রেখেছে। ZARA, H&M এর মতো পোশাকের ব্র‍্যান্ড এখন তাদের নতুন কালেকশনে রঙের নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি যুক্ত করেছে Warm, Cool, Neutral Shades।

বড় ডিজাইনাররাও Color Blocking & Personal Color Concept ব্যবহার করছেন। Versace বা Gucci এখন তাদের কালেকশনে ফ্যাশন মডেলের আন্ডারটোন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করছে। 

আপনার ত্বকের রঙের জন্য সেরা রঙ

স্কিন টোন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন আসলে কতটা বাস্তব? 

বর্তমানে স্কিনটোন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, এর সাথে এই বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে যে এই কনসেপ্টটা আসলে কতটা যুক্তিযুক্ত বা বাস্তব। কারণ, অনেকের কাছেই কোন রংয়ের পোশাক পরবে তা তার আত্নবিশ্বাস বা কনফিডেন্স এর ব্যাপার। এবং অনেক সেলিব্রেটিই আর সাধারণ মানুষরা এই কনসেপ্ট অনুসরণ করে না। আবার অনেকে এই কনসেপ্ট অনুসরণ করার পর আবার পুনরায় পূর্বের ধারণায় ফিরে এসেছে। অনেকে আবার একে সাগ্রহে গ্রহণও করেছে।

শেষ কথা, 

এটা শুধুই ট্রেন্ড না, বরং ভবিষ্যতের ফ্যাশন স্ট্যান্ডার্ড হতে পারে! স্কিন আন্ডারটোন ও কালার থিউরি নিয়ে বিশ্বজুড়ে এত আলোচনা হচ্ছে কারণ মানুষ সময়ের সাথে সাথে এখন আরও আত্নসচেতন হচ্ছে। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বোঝেছে, সবার জন্য এক রঙের পোশাক বা মেকআপ কাজ করবে না। কিন্তু, স্কিনটোন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন আমরা করি বা না করি এর লক্ষ্য একটাই, আনন্দ ও সাবলীলতার সাথে নিজেকে প্রকাশ করা। নিজে নিজের জন্য খুশি থাকা।

তথ্যসূত্র

  • Eiseman, L. (2017). The Color Answer Book: From the World’s Leading Color Expert. Capital Books.
  • Jackson, K. (2019). Color Theory for Fashion: The Ultimate Guide to Understanding and Applying Color in Clothing. Fashion Press.

Related posts

২০২৫ বসন্তে ফ্যাশনে নতুন ট্রেন্ড

অল্টারনেটিভ প্যারেন্টিং: শিশু লালনের সংজ্ঞা কি বদলে যাচ্ছে ?

এই গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কী খাবার খাবেন?

Leave a Comment

Table of Contents

    This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More