ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করা যতটা কঠিন, তার থেকেও বেশি কঠিন হচ্ছে সেই কনটেন্টের ভিউ ধরে রাখা। অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর লক্ষ্য করছেন, বর্তমানে চ্যানেলের ভিডিওগুলোতে ধীরে ধীরে ভিউ কমে যেতে শুরু করেছে। এই অবস্থাকে কেউ ‘অ্যালগোরিদম ফেইল’ বলে ব্যাখ্যা করছেন আবার কেউ বলছেন ‘ইউটিউব আর সাপোর্ট করছে না’। কিন্তু প্রকৃত বাস্তবতা অনেক বেশি টেকনিক্যাল।
এই ব্লগে আমরা খুঁজে দেখবো ইউটিউবে ভিউ কমে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো, এবং সেগুলোর পেছনে কীভাবে ইউটিউবের প্রযুক্তি ও অ্যালগোরিদমিক কাঠামো কাজ করে।
ইউটিউব অ্যালগোরিদম
ইউটিউব একটি রেকমেন্ডেশন-চালিত প্ল্যাটফর্ম। এর মানে হচ্ছে, ভিউয়াররা যা খুঁজে পায়, তার ৭০-৮০% আসে হোম ফিড, সাজেস্টেড ভিডিও এবং ব্রাউজ ফিচার থেকে। এই প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ থাকে মূলত ইউটিউব অ্যালগোরিদমের হাতে।
অ্যালগোরিদম (Algorithm) হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট কাজ বা সমস্যার সমাধানে কম্পিউটারের জন্য তৈরি ধাপে ধাপে নির্দেশনার সেট। ইউটিউবের অ্যালগরিদম একটি জটিল মেশিন লার্নিং মডেল। এই মডেল ব্যবহারকারীর প্রতিটি ইন্টারঅ্যাকশনকে ডেটা পয়েন্ট হিসেবে বিশ্লেষণ করে। এর মূল লক্ষ্য হলো “Watch Time” বাড়ানো। কারণ দর্শক যত বেশি সময় প্ল্যাটফর্মে থাকবে, ইউটিউবের আয় তত বাড়বে।
এই মডেলটি ভিডিওকে স্কোর করার সময় CTR (Click-Through Rate) এবং Session Time-এর মতো মেট্রিক্সকে প্রাধান্য দেয়। যদি আপনার ভিডিওর CTR কমে যায় (যেমন: ১০% থেকে ৩%), অ্যালগরিদম ধরে নেবে ভিডিওটি দর্শকের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। ফলে, ভিডিওটি সুপারিশ তালিকা থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে।
আবার ধরুন, আপনি একটি ভিডিও বানালেন যার থাম্বনেইল খুব আকর্ষণীয়। এর ফলে CTR বেড়ে হয়ে গেল ১২%। কিন্ত দর্শক ক্লিক করে ভিডিওর ২০ সেকেন্ড পরেই বেরিয়ে গেল। তখন অ্যালগরিদম সেটিকে Misleading হিসেবে চিহ্নিত করে। পরবর্তীতে রিকমেন্ডেশন বা সার্চ র্যাংকে ভিডিওটির সাজেশন দেয়া কমিয়ে দেয়। বিপরীতে, যদি CTR কম হয় কিন্তু Retention Rate বেশি হয়, তাহলে অ্যালগরিদম আপনাকে ধীরে ধীরে প্রমোট করতে শুরু করবে। এতে করে ইউটিউব বেশি বিজ্ঞাপন দেখানোর সুযোগ পায়।
মেটাডেটা অপটিমাইজেশনে ব্যর্থতা ও LSI কিওয়ার্ডের ভূমিকা
ইউটিউবের সার্চ ইঞ্জিন ভিডিওকে বুঝতে মেটাডেটা (টাইটেল, ডেসক্রিপশন, ট্যাগ) ব্যবহার করে। কিন্তু অনেক ক্রিয়েটর Keyword Stuffing-করে থাকেন। Keyword Stuffing হলো অতিরিক্ত সংখ্যায় কীওয়ার্ড ব্যবহার করার কৌশল। এর উদ্দেশ্য সার্চ ইঞ্জিনকে ভুল বুঝিয়ে কৃত্রিমভাবে একটি কনটেন্টকে র্যাংক করানো।
এটি অ্যালগরিদমকে বিভ্রান্ত করে। ফলে অ্যালগরিদম ভিডিওকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করে। উদাহরণস্বরূপ, “রেসিপি” সম্পর্কিত ভিডিওতে শুধু “রেসিপি” কথাটি বারবার ব্যবহার না করে LSI (Latent Semantic Indexing) কিওয়ার্ড যেমন “ঘরে তৈরি নুডুলস” যোগ করলে সার্চ ইঞ্জিন ভিডিওর কনটেন্টের গভীরতা বুঝতে পারে এবং ভিডিওকে রেকমেন্ড করে।
এছাড়াও, ভিডিওর ক্যাটাগরি ভুল সেট করলে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো যায় না। যেমন: একটি শিক্ষামূলক ভিডিওকে যদি “এন্টারটেইনমেন্ট” ক্যাটাগরিতে আপলোড করা হয়, তাহলে অ্যালগরিদম সেটিকে ভুল দর্শকের সামনে তুলে ধরবে। এতে করে ভিডিওর ভিউ কম আসবে।
অডিয়েন্স রিটেনশন গ্রাফ
ইউটিউব অ্যানালিটিক্সের Audience Retention Graph একটি লাইনের মাধ্যমে দেখায় দর্শকরা ভিডিওর কোন সময়ে স্কিপ করছে বা দেখা বন্ধ করে দিচ্ছে। গাণিতিকভাবে বললে, যদি গ্রাফটি প্রথম ৩০ সেকেন্ডে ৫০% নিচে নেমে যায় তাহলে অ্যালগরিদম ভিডিওটিকে লো-কোয়ালিটি কনটেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করে থাকে। এর প্রধান কারণ হলো ভিডিওর শুরুতে হুক (Hook) না থাকা। হুক হলো এমন একটি অংশ যা প্রথম ১৫ সেকেন্ডে দর্শককে বোঝায়, “এই ভিডিও তোমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ!”।
উদাহরণস্বরূপ, ভিডিও শুরু করতে পারেন এভাবে: “আজ আমি আপনাদের শেখাবো কীভাবে ১০ মিনিটে ফেসবুক হ্যাক করা যায়। কিন্তু সাবধান! এই ট্রিক শুধু সচেতনতার জন্য।” এ ধরনের হুক দর্শককে আটকে রাখে এবং রিটেনশন রেট বাড়ায়।
Audience Retention Graph আসলে এক ধরনের Behavioral Map। ধরুন ৫ মিনিটের ভিডিওর ১ মিনিটেই ৬০% দর্শক বেরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে হয়তো সেই ভিডিওর ইন্ট্রো বেশি লম্বা, অথবা ভিডিওর শুরুটা সাদামাটা। ইউটিউব একই রকম ভিডিও কম রিকমেন্ড করে। অন্যদিকে, ভিডিওর মাঝামাঝি যদি হঠাৎ পিক দেখা যায়, তাহলে বোঝা যায় সেই অংশে কিছু আকর্ষণীয় ঘটেছে। এটি থেকে আপনি ভবিষ্যতের কনটেন্ট স্ট্রাকচারে কী করবেন সেটার ধারণা পাবেন।
কনটেন্ট আইডি সিস্টেম ও কপিরাইট স্ট্রাইকের প্রভাব
ইউটিউবের Content ID System একটি স্বয়ংক্রিয় টুল। এই টুল ইউটিউবের ডেটাবেইজের সঙ্গে আপনার ভিডিওটা মিলিয়ে দেখে যে এতে কোনো কপিরাইটযুক্ত গান বা ভিডিও ক্লিপ আছে কিনা। যদি মিল থাকে, তাহলে আপনার ভিডিওটি মনিটাইজেশন হারাতে পারে বা ইউটিউব সরাসরি স্ট্রাইক দিতে পারে। তখন ইউটিউব আপনার ভিডিওটা আর বেশি মানুষের কাছে দেখানো হবে না। এই সমস্যা এড়াতে Royalty-Free মিউজিক ব্যবহার করুন। এছাড়াও, ভিডিও এডিট করার সময় ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সযুক্ত ফুটেজ ব্যবহার করতে পারেন।
ইম্প্রেশন শেয়ার ও ট্রাফিক সোর্স
ইম্প্রেশন শেয়ার হলো একটি মেট্রিক যা নির্দেশ করে আপনার ভিডিওটি সম্ভাব্য কতবার শো হওয়ার সুযোগ পেয়েছে বনাম কতবার শো হয়েছে। যদি ইম্প্রেশন শেয়ার কমে যায়, তার মানে অ্যালগরিদম আপনার ভিডিওকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে না। এর পেছনে একটি বড় কারণ হলো ট্রাফিক সোর্স ডাইভারসিটি-র অভাব। অনেক ক্রিয়েটর শুধু ইউটিউবের সুপারিশ সিস্টেমের উপর নির্ভর করে থাকে। কিন্তু বাইরের ট্রাফিকের (ফেসবুক, ব্লগ, ইমেইল নিউজলেটার) দিকে মনোযোগ দেয় না । উদাহরণস্বরূপ, আপনার ভিডিওর ৮০% ভিউ যদি শুধু ইউটিউবের সুপারিশ থেকে আসে, তাহলে অ্যালগোরিদমে একটু পরিবর্তন হলেই ভিউ অনেক কমে যেতে পারে। এর সমাধান হলো ভিডিও শেয়ার করার সময় একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা এবং ইন্টারনাল লিঙ্কিং (প্লেলিস্ট, এন্ড স্ক্রিন) বাড়ানো।
শ্যাডো ব্যান
“শ্যাডো ব্যান” শব্দটি যদিও ইউটিউবের অফিসিয়াল কোনো পরিভাষা নয়। তবুও এটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মাঝে বহুল আলোচিত একটি ধারণা। ২০২৫ সালে ইউটিউব তার সিস্টেমে আরও উন্নত ট্রাস্ট-সিগনাল মডেল এবং কমিউনিটি সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস যুক্ত করেছে। এটি চ্যানেলের আচরণ, কনটেন্ট কনসিস্টেন্সি এবং অডিয়েন্স রিঅ্যাকশন বিশ্লেষণ করে নির্ধারণ করে একটি চ্যানেল কতটা বিশ্বাসযোগ্য।
শ্যাডো ব্যান বলতে বোঝায়, আপনার ভিডিওগুলো ইউটিউবে “সার্চ”, “সাজেস্টেড”, এমনকি সাবস্ক্রিপশন ফিডেও স্বাভাবিক হারে দেখা যাচ্ছে না। এর সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত কারণ হতে পারে:
Repetitive Misleading Metadata: ভিডিওর টাইটেল, ট্যাগ বা ডেসক্রিপশনে একাধিকবার ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া।
Engagement Manipulation: সাবস্ক্রাইব/ভিউ বাড়ানোর জন্য অস্বাভাবিক কৌশল (যেমন সাব ফর সাব, ক্লিক ফার্ম ইত্যাদি)।
Comment Spam: একাধিক ভিডিওতে একই কমেন্ট, বা অন্যান্য চ্যানেলে বট কমেন্টিং।
Trust Score Algorithm: ইউটিউব এখন চ্যানেল-লেভেল ট্রাস্ট স্কোর ব্যবহার করে। অস্বাভাবিক আচরণ (যেমন: view drops, sudden CTR spikes) এই স্কোর কমিয়ে দিতে পারে।
অনেকেই মনে করেন শ্যাডো ব্যান একধরনের শাস্তি। কিন্তু বাস্তবে এটি হতে পারে অ্যালগরিদমিক Deprioritization। এর অর্থ হলো আপনার কনটেন্টকে ইউটিউব তার র্যাঙ্কিং সিস্টেমে কম গুরুত্ব দিচ্ছে। এটি মেশিন লার্নিং মডেল থেকে উদ্ভূত আচরণ।
ভিডিও লেংথ বনাম অ্যালগরিদমের প্রেফারেন্সিয়াল অপ্টিমাইজেশন
ইউটিউবের অ্যালগরিদম এখন কেবল ভিডিওর দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে না। আগে যেমন ১০ মিনিটের বেশি ভিডিও প্রমোট করতো। এখন তেমনটা আর নেই। ২০২৫ সালের ইউটিউব অ্যালগরিদম “Session-Level Optimization” ফিচারকে গুরুত্ব দেয়। অর্থাৎ কোন ভিডিও দর্শকের পুরো YouTube সেশনে কতটা ভূমিকা রাখছে। এটাই এখন মূল ফ্যাক্টর। এর মানে, আপনি যদি ৭ মিনিটের ভিডিও দিয়েও দর্শককে দীর্ঘ সময় ধরে YouTube-এ রাখেন (মানে তারা আপনার ভিডিওর পরেও কিছু দেখে), তাহলে অ্যালগরিদম সেটাকে পজিটিভ সিগন্যাল হিসেবে ধরে।
Shorts-এর উত্থানের ফলে ইউটিউব এখন লংফর্ম ও শর্টফর্ম কনটেন্টকে আলাদা ট্র্যাক করে। কিন্তু একই চ্যানেলে নিয়মিত Shorts এবং Long ভিডিও দিলে অ্যালগরিদম কখনো কখনো কনফিউজড হয়। এর সমাধান হলো শর্টসের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা অথবা কনটেন্ট ক্যালেন্ডার এমনভাবে সেট করা যাতে দুটো ফরম্যাটের মধ্যে স্পষ্ট ব্যালেন্স থাকে।
A/B টেস্টিং ও ডেটা-ড্রিভেন ডিসিশনের অভাব
২০২৫ সালে ইউটিউবে সফল হতে চাইলে ডেটা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো উপায় নেই। এখন YouTube Studio নিজেই Thumbnail Experiments নামে Thumbnail A/B Testing ফিচার চালু করেছে। এর মাধ্যমে আপনি একটি ভিডিওর জন্য তিনটি আলাদা থাম্বনেইল আপলোড করে দেখতে পারেন কোনটি CTR বেশি। এর পাশাপাশি, টাইটেল ও ডেসক্রিপশনের ক্ষেত্রে “Retention Forecasting” ব্যবহার করা যায়। এতে বোঝা যায় কোন টাইটেল দেখে দর্শক বেশি সময় থাকছে।
উদাহরণ: যদি “ভিডিও বানানোর সহজ উপায়” ও “স্মার্টফোন দিয়েই প্রফেশনাল ভিডিও বানান” এই দুই টাইটেলের মধ্যে দ্বিতীয়টি বেশি Retention দেয়, তাহলে সেটাই জিতবে।
এছাড়া audience segmentation অনুযায়ী থাম্বনেইল ডিজাইন করাও এখন একটি কৌশল। কিশোর বয়সী দর্শকদের জন্য বোল্ড কালার ও এমোজি চলতে পারে, আর প্রফেশনাল দর্শকদের জন্য মিনিমাল লুক কার্যকর।
সাবস্ক্রাইবার ভিউ ডিপেন্ডেন্সি ও অর্গানিক রিচের সম্পর্ক
অনেক ক্রিয়েটর মনে করেন, সাবস্ক্রাইবাররাই তাদের ভিডিওর মূল ভিউয়ার। কিন্তু ইউটিউবের ২০২৫ সালের ট্রাফিক ডেটা বলছে, গড়পড়তা কোনো চ্যানেলের ৮৫-৯০% ভিউ আসে Suggested Video, Browse Feature, Search ও External Sources থেকে।
সাবস্ক্রাইবারদের নোটিফিকেশন পাওয়ার হার মাত্র ১০–২০%, এবং তারা সব সময় ক্লিকও করেন না। তাই যদি আপনি শুধু সাবস্ক্রাইবারদের জন্য কনটেন্ট বানান, তাহলে অর্গানিক রিচ কমে যাবে।
প্রতিটি ভিডিওকে একটি আলাদা এন্ট্রি-পয়েন্ট হিসেবে বানাতে হবে যেন তা নতুন দর্শকের আকৃষ্ট করবে। এজন্য Search Intent-Based Titles, High CTR Thumbnails, ও Audience Retention Hooks ব্যবহার করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ, “Tech Unboxing” বললে হয়তো অনেক প্রতিযোগী পাবেন, কিন্তু “৩ হাজার টাকায় স্মার্টফোন? আনবক্সিং ও রিভিউ” বললে আপনি নির্দিষ্ট সার্চ কিওয়ার্ড ও আগ্রহী দর্শক ধরতে পারবেন।
জিওগ্রাফিক ও ডিভাইস টার্গেটিংয়ের প্রযুক্তিগত ত্রুটি
ইউটিউব এখন Geographic ও Device Context অনুযায়ী ভিডিও রেকমেন্ড করে। ২০২৫ সালে অ্যালগরিদম “Device-Aware Suggestion Layer” ব্যবহার করে মোবাইল, ট্যাবলেট ও ডেস্কটপের জন্য আলাদা ফিড কনফিগার করে। আপনি যদি মোবাইল ফার্স্ট ভিউয়ারের জন্য অপটিমাইজ না করেন (যেমন: ছোট টেক্সট, ক্লাটারড থাম্বনেইল), তাহলে আলগোরিদম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওর রিচ কমিয়ে দিতে পারে।
ইউটিউবের অ্যালগরিদম একটি জীবন্ত সিস্টেম। এটি দর্শকদের ব্যবহার থেকে শিখছে। ভিউ কমে গেলে হতাশ না হয়ে সমস্যাটিকে টেকনিক্যাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন। প্রতিটি মেট্রিক্স (CTR, Watch Time, Retention) নিয়ে কাজ করুন, A/B টেস্টিং করুন। কনটেন্টকে ডেটার আলোকে ঢেলে সাজান। অ্যালগরিদম শুধুই দর্শকদের চাহিদা মেটানোর একটি টুল। এই টুলকে কাজে লাগাতে শিখলেই ইউটিউবে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য মিলবে!
রেফারেন্স-
- https://support.google.com/youtube/thread/317485584/channel-views-suddenly-dropped?hl=en
- https://www.hollyland.com/blog/tips/why-did-my-youtube-views-go-down-overnight
- https://www.weshare.net/youtube/youtube-views-dropping/
- https://support.google.com/youtube/answer/7239739?hl=en
- https://followeran.com/en/blog/youtube-views-dropping/