অস্ত্রোপচার থেকে শুরু করে অতিসাম্প্রতিক কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা; মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সার্বজনীন জ্ঞান উন্নত করছে চিকিৎসা বিজ্ঞানকে !
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস আর মানব সভ্যতার ইতিহাস একই সুতোয় বাঁধা। যত মানুষ চিকিৎসা বিদ্যায় পারদর্শিতা এনেছে ততো উন্নত হয়েছে সভ্যতা। এই উন্নয়নের মুকুটে মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা আরেকটি নতুন পালক যোগ করেছেন। তাঁদের এসব কৃতিত্ব শুধু তাঁদের সময়কেই আলোকিত করেনি বরং বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত্তিও তাঁরা করে গিয়েছেন।
এক্ষেত্রে তাঁরা নিজস্ব ধ্যান ধারণার আঙ্গিকে গবেষণা চালানোর পাশাপাশি, বর্ধিত করেছেন প্রাচীন গ্রিক, পারসিয়ান, রোমান ও ভারত উপমহাদেশীয় চিকিৎসা ধারণাকে। তাঁদের মধ্যে ইবনে সিনা, আল-রাজি, আল জাহরাউই ছিলেন অন্যতম।
মুসলিম চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাস
প্রাচীন ইতিহাস
“চিকিৎসা গ্রহণ করো, কারণ আল্লাহ তা’আলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার জন্য তিনি প্রতিকার সৃষ্টি করেননি। শুধুমাত্র একটি রোগ ছাড়া, তা হলো বার্ধক্য।” — সহীহ আল বুখারী, ৫৬৭৮ নং হাদীস।
নবীজির এই বাণী পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার আগে স্থানীয় চিকিৎসা বলতে তেমন কিছু ছিলো না। সকলে বিশ্বাস করতেন যে, আজ যদি রোগের প্রতিকার, চিকিৎসা নাও পাই তবু এর প্রতিকার একদিন না একদিন হবেই।
তখন চিকিৎসা বলতে কোরআন, হাদীসের দেয়া জ্ঞান, মধু, কালিজিরা, জলপাই তেল, হিজমা, তাবিজ ইত্যাদি সর্বেসর্বা ছিলো। তবে কোন কোন লেখায় প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তখন মানসিক থেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসারও প্রচলন ছিলো।
মধ্যযুগ বা ইসলামী চিকিৎসার স্বর্ণযুগ (৭ম থেকে ১৩তম শতাব্দী)
৬২২ খ্রিস্টাব্দে নবীজি মদিনায় হিজরত করেন। এতে ইসলামের সাথে সাথে মুসলিম চিকিৎসা বিদ্যা মুসলিম-অমুসলিম তথা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি রোমান, মিশরীয়দের চিকিৎসাবিজ্ঞানের সাথে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটা পরিচিতিও ঘটে। এই সময়কালটি মুসলিম মনীষীদের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণার এক স্বর্ণযুগ ছিলো।
এই সময়কালের ইতিহাসের বোঝা যায় একটা ছোট্ট গল্পের মধ্য দিয়ে। চলুন গল্পটা শোনা যাক-
আধুনিক স্পেনের লিওন রাজ্যের শাসক ছিলেন ‘সানচো (১ম)’। তিনি রাজ্য শাসনে আনাড়ি ছিলেন। এরপর ৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি অভিজাত বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হন। মজার ব্যাপার হলো, তার এই অদক্ষতার কারণ হিসাবে বিদ্রোহীরা প্রচার করছিলেন, তিনি (সানচো) অনেক মোটা, আর তাইই তিনি রাজ্যশাসনে অক্ষম।
সানচো’র এই ঘোর বিপদে পরবর্তীতে এগিয়ে আসেন নাভারার রাণী এবং সানচোর দাদি টোডা আজনার। এক্ষেত্রে তাঁর দাদি আরেকটি স্প্যানিশ রাজ্য কডোভা’র খলিফার থেকে সাহায্য চান।
কডোভার খলিফা ৩য় আবদ আল-রহমান বিষয়টি হাতে নেন এবং তাঁর ইহুদী চিকিৎসক হিসদাই ইবনে শাপ্রুত কে বলেন এর একটা বিহিত করতে। শাপ্রুত সানচো’কে কঠোর ডায়েটে রাখেন এবং ধীরে ধীরে সানচো’র অসার মোটা শরীর ছিপছিপে গড়নের হয়ে যায়। পরে সানচো তাঁর রাজআসনে আবার বসতে সক্ষম হন।
এ সময়টাতে শুধু ডায়েটিং নয়, ব্যায়াম বা শরীরচর্চা থেকে শুরু করে শল্যচিকিৎসা, চোখের সার্জারি, সংক্রামক রোগের চিকিৎসা, ফুসফুসের রোগের চিকিৎসা, এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও নতুন নতুন চিকিৎসা বিদ্যার শাখা উন্মোচন হয়। এছাড়াও, বর্তমানের আধুনিক চিন্তার বিষয় ‘Medical Ethics’ বা চিকিৎসা নৈতিকতার মতো বিষয় নিয়েও তখন আলোচনার সূত্রপাত ঘটে।
আধুনিক চিকিৎসায় মুসলিমদের অবদান
১৯ শতকের শেষ থেকে বর্তমান আবধি সময়কাল এ আধুনিক যুগের অন্তর্ভুক্ত। আধুনিক চিকিৎসায় মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। এই সময়কালে মুসলিম বিজ্ঞানীদের গবেষণা পাশ্চাত্য বিজ্ঞানীদের গবেষণার সাথে তাল মিলিয়ে চলেছে। মুসলিম বিজ্ঞানীরা আন্তর্জাতিক গবেষণায় অবদান রাখছেন এবং অগ্রগতি সাধনও করেছেন।
এই সময়ে মুসলিম বিজ্ঞানীদের কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হলো-
-হেপাটাইটিস বি, গুটিবসন্ত ইত্যাদি রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার,
-রোবটিক সার্জারি নিয়ে গবেষণা,
-প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি,
-জেনেটিক বিষয়ে গবেষণা,
-রোগ সনাক্তকরণের আধুনিক প্রযুক্তি,
-ন্যানোটেকনোলজি ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও তাঁরা ইসলামের বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় যেমন- ক্লোনিং, মৃতদেহকে সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এতে এসবের গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিকভাবে যাচাই করার ক্ষেত্র সৃষ্টিতে তাঁরা অবদান রাখেন।
মুসলিম বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা বিদ্যা
ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায় যে, চিকিৎসা বিদ্যায় মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। তাঁদের গবেষণা, শিক্ষণীয় গ্রন্থ, দর্শন এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আজও আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যায় ব্যবহৃত হচ্ছে যথেষ্ট গুরুত্ব ও সম্মানের সাথে।
চলুন, কীর্তিময় এসব মনীষিদের সম্মন্ধে জানি-
আবূ আলী ইবনে সিনা (Avicenna)
৮৮০ খ্রি. বা মতান্তরে ৯৮০ খ্রিস্টাব্দে উজবেকিস্তানে এই বিশ্বখ্যাত বিদ্বান ব্যক্তিটির জন্ম। ইবনে সিনা’কে ইতিহাস থেকে বাদ দিলে ইতিহাস অসমৃদ্ধ থেকে যাবে। আবার বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান থেকে ইবনে সিনার নাম বাদ দিলে মূল চিকিৎসা বিদ্যাই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
এমনই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, ইবনে সিনা হলেন ঐতিহাসিকভাবে “প্রথম মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানী”। এছাড়াও তাঁকে “আধুনিক চিকিৎসার পিতা” বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত বই “আল–কানুন ফি আল–তিব্ব”(Canon of Medicine) চিকিৎসা বিদ্যার একটি অমর কীর্তি।
১১ শতাব্দীতে রচিত এই বইটিতে শারীরবিজ্ঞান, ঔষধবিদ্যা এবং রোগ সনাক্তকরণ, চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি ও চিকিৎসকের নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এই বইটির মাঝে দর্শনচিন্তারও প্রকাশ রয়েছে।
এখানে, ইবনে সিনা গ্রিক চিন্তাবিদ গ্যালেন এর চিকিৎসাপদ্ধতির সাথে মহামতি এরিস্টটল এর দর্শনচিন্তার একটি সংমিশ্রণ তৈরি করতে চেয়েছেন। দর্শনচিন্তা এবং চিকিৎসা বিদ্যা দুইয়ের কারণেই বইটি পুরো বিশ্বে বিখ্যাত। বর্তমানেও বইটি একইরকমভাবে সমাদৃত।
আল-রাজি (Rhazes)
৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান ইরানে আল-রাজির জন্ম। তিনি একাধারে চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ ছিলেন। তিনি সংক্রামক রোগসমূহ নিয়ে গবেষণা করেন এবং গুটিবসন্ত ও হাম, এ দুটো যে আলাদা জিনিস তা আবিস্কার করেন।
তার বই “কিতাব আল-হাওই” হলো চিকিৎসা বিষয়ক একটি এনসাক্লোপিডিয়া। মজার বিষয় হলো- এটি বর্হিবিশ্বে সমাদৃত। এছাড়াও, ক্লিনিকাল পর্যবেক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও শিশু চিকিৎসা নিয়ে তার ধারণাসমূহ আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যায় অতি গুরুত্বপূর্ণ।
ইবন আল-নাফিস (Ibn Al-Nafis)
ইবন আল-নাফিস ১২১৩ খ্রিস্টাব্দে সিরিয়ার দামেস্কে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কায়রোর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।
তাঁর বিখ্যাত আবিষ্কার হলো, তিনি “শ্বাসনালীর রক্ত পরিবহন তত্ত্ব” (Pulmonary circulation of blood) আবিষ্কার করেন যা একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার ছিলো। তাঁর গ্রন্থ “অভিজ্ঞান আল-আভিসেনা” (Commentary on the Anatomy of Avicenna) বর্তমান অ্যানাটমি’র (অঙ্গবিজ্ঞান) মৌলিক বিষয়গুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর বিষদ গবেষণা আধুনিক রক্তসংবহনতন্ত্র এবং হৃদরোগের চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
আল-জাহরাউই (Abulcasis)
আল-জাহরাউই ৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের কর্ডোভা রাজ্যের আল-জাহরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন ইসলামী স্বর্ণযুগের প্রধান শিক্ষা কেন্দ্র, কর্ডোভা থেকে তিনি চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন করেন।
এই কীর্তিমান চিকিৎসা বিজ্ঞানী বহির্বিশ্বে “অস্ত্রপ্রচার বিদ্যার পিতা” নামে সমাদৃত। তার বিখ্যাত বই “কিতাব আল-তাসরিফ” এ তিনি সার্জারি করবার কৌশল, মেডিকেল যন্ত্রপাতি ইত্যাদি নিয়ে নতুন নতুন ধারণা প্রদান করেন।
বর্তমানে তাঁর এসব কীর্তি পুরো ইউরোপ জুড়ে বিখ্যাত। বিশেষকরে, অপারেশনের পর রোগীর ক্ষতস্থান সেলাই করবার জন্য তার ‘ক্যাটগাট’ (পশুর অন্ত্র থেকে তৈরি একধরনের সুতা) এর ব্যবহার আজ অবধি সর্বাত্মকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এবং আন্তর্জাতিকভাবেও এটি একটি “শল্যচিকিৎসার মানদণ্ড” হিসাবে গৃহীত হয়েছে।
ইবনে রুশদ (Averroes)
ইবনে রুশদও ইসলামী স্বর্ণযুগের কেন্দ্র,কর্ডোভাতে জন্মগ্রহণ করেন ১১২৬ খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তীতে তিনি কর্ডোভার খলিফার চিকিৎসক নিযুক্ত হয়েছিলেন।
তিনি মূলত দার্শনিক হিসাবে পুরো বিশ্বে বেশি সমাদৃত হলেও তাঁর চিকিৎসা বিষয়ক লেখনী ফেলে দেবার মতোও নয়। তিনিই সর্বপ্রথম চিকিৎসার সাথে দর্শনচিন্তার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন। তাঁর এই ব্যতিক্রমী ধারার চিন্তা ইসলামী চিন্তা ও পশ্চিমা চিকিৎসা বিদ্যা, দু’দিকেই সমান জনপ্রিয়।
আল-মামুন
আল-মামুনের জন্মস্থান ইরাকের বাগদাদে (৭৮৬)। তিনি বাগদাদের খলিফা ছিলেন। জ্ঞানানুরাগী এই খলিফা, বাগদাদে নিজ উদ্যোগে একটি “House of Wisdom” প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রাচীন চিকিৎসা জ্ঞানকে উন্নত করার প্রয়াস দেখিয়েছিলো।
মুসলিম হাসপাতালের ইতিহাস
এতোক্ষণ জানলাম ইসলামী বিজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের সম্বন্ধে, এখন তাঁদের এসব আবিষ্কার অবশ্যই তাঁদের নিজস্ব চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু এর বাইরেও তো কিছু আছে। তা হলো,অভিজ্ঞতা! মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন করেছেন এবং অনুশীলন করেছেন। এক্ষেত্রে বোঝা যায় যে তখন এসবের জন্য হাসপাতাল ছিলো। চলুন জানা যাক মুসলিম হাসপাতালের ইতিহাস নিয়ে–
সভ্যতায় ইসলামের সবচেয়ে বড় অবদান হলো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। কবে নাগাদ প্রথম হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় তা ঠিক জানা যায় না। তবে ধারণা করা হয় ৮৭২ থেকে ৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে,কায়রোতে আহমদ ইবনে তুলুন (কায়রোর গভর্নর) “আহমদ ইবনে তুলুন হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা করেন।
এটিই মুসলিম বিশ্বের প্রথম হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি ছিলো প্রধানত দান (ওয়াকফ) এর অর্থ দ্বারা পরিচালিত। এখানে সাধারণ মানুষজন অসুখ-বিসুখে সেবা পেতেন। বৃদ্ধ এবং দুর্বলদেহের মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হতো। স্বয়ং আল-রাজি ভিক্ষুকদের অপারেশন করতেন!
মানসিকভাবে যারা অসুস্থ ছিলেন তাদের বসিয়ে রাখা হতো। এই হাসপাতালগুলোতে মুসলিম চিকিৎসকের পাশাপাশি ইহুদী চিকিৎসকরা সেবা দিতেন।
হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক কিভাবে তৈরি হতো?
শুরুর দিকে চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান হোক বা যে কোন বিষয়ের জ্ঞান হোক, জ্ঞানলাভের জায়গা ছিলো একটাই; আর তা হলো ‘মাদ্রাসা’। সব জায়গাতেই এই মাদ্রাসাগুলো একটি মসজিদের পাশে অবস্থান করতো।
পরবর্তীতে এই মাদ্রাসাগুলো বিশেষায়িত একাডেমিতে পরিণত হয়। আর হাসপাতালের সাথে মাদ্রাসাগুলোর সংযোগও এভাবে বাড়তে থাকে। তখন হাসপাতাল বলতে ছিলো কায়রো, হারান (আধুনিক তুরস্ক) এবং বাগদাদ এই তিন জায়গায়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এসব হাসপাতালে যেতেন রোগীদের কিভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, যত্ন নেয়া হচ্ছে তা দেখতে। এটাকে বর্তমান মেডিকেল কলেজগুলোতে ডাক্তারদের ইন্টার্নশিপের সাথে মেলানো যেতে পারে।
এভাবে নিয়মিত অনুশীলন, পর্যবেক্ষণ ও সাধনার মাধ্যমে একেকজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক গড়ে উঠতেন। আর এভাবেই ইসলামিক মেডিকেল গবেষণার ধারা অব্যাহত থাকে।
ভাবতে গেলে বিস্ময় হতে হয় যে, কোন প্রকারের প্রযুক্তিগত সাহায্য ব্যতিত অস্ত্রোপচারের মতো জটিল বিষয়ের আবিষ্কার কিভাবে সম্ভব হয়েছিল! আবার তাঁদের উক্ত ধারণা যে সময়ের সাথে সাথে ঝরে গিয়েছে তাও নয়। আজকের যুগেও ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের দেয়া বিদ্যার। সবশেষে মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞান সামগ্রিকভাবে একটি সমৃদ্ধ অধ্যায় যা মানব সভ্যতার উন্নয়নে চালিকাশক্তি।
সোর্স :
- https://www.nationalgeographic.com/history/history-magazine/article/muslim-medicine-scientific-discovery-islam
- https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC_%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE